তাড়াতাড়ি করে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলের তুলনা হয় না। অনেকেরই শখের বাহন এটি। কিন্তু এটি চালানোর জন্য চাই সতর্কতা। দুই চাকার যন্ত্র, তাই যেকোনো সময় ব্যালান্স হারিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অন্তত মাথাটা তো বাঁচানো চাই। তার জন্য আছে হেলমেট। বাজারে বাহারি নকশা ও রঙের হেলমেট আছে। তবু রাস্তাঘাটে অনেকেই আইনি জটিলতার সম্মুখীন হন শুধু হেলমেট না পরার কারণে। হেলমেট না থাকলে সেটি ভিন্ন কথা কিন্তু হেলমেট থাকা সত্ত্বেও অনেকে এটি মাথায় পরতে অনাগ্রহী। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে হেলমেটে বাতাস না ঢোকা। এর ফলে মাথা গরম হয়ে যায়, ঘাম হয়।
বাইকচালকদের এ সমস্যার বিষয়টি আমলে নিয়েছে উদ্ভাবকেরা। তাই তারা উদ্ভাবন করেছেন নতুন এক ধরনের হেলমেট। ভারতের এক উদ্ভাবক তৈরি করেছেন এয়ারকুলার যুক্ত হেলমেট। তার নাম সুন্দরারাজন কৃষ্ণান। তিনি অ্যাপটইন্টার টেকনোলজিসের সিইও।
এটি পরলে বাইরে তাপ যতই থাকুক না কেন, মাথা থাকবে ঠান্ডা। ফলে মোটরসাইকেলচালকেরাও হেলমেট পরতে উৎসাহী হবেন।
আবিষ্কারক বলেন, ‘বাইরের সাধারণ তাপমাত্রা থেকে এ কুলার হেলমেটটির ভেতরে ৬ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ঠান্ডা থাকবে।’
ডাস্ট ফ্রি এ কুলার হেলমেট মূলত চার্জে চলে। আবিষ্কারক এ হেলমেটের প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে চান।
এটি এখনো বাজারে ছাড়া হয়নি। আরও উন্নত প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরই এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।