সক্রেটিসের কথায়, ‘নো দাই সেলফ’। মানে নিজেকে জানুন। প্রত্যেক মানুষেরই নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি। নিজের সম্পর্কে জানলে আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে। নিজের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও জানা যায়। ফলে, কোন কাজটি আপনার দ্বারা সম্ভব আর কোনটি আপনার কাজ নয়, সেটি সহজেই নিরূপণ করা সম্ভব হয়।
নিজের ক্ষমতা অনেকাংশেই মনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা অনেকাংশেই নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে জানে না। ফলে দিন দিন হতাশায় নিমজ্জিত হওয়া ছাড়া তার আর কোনো পথ খোলা থাকে না। আপনি কি মানসিকভাবে দুর্বল? কী কী লক্ষণ থাকলে বুঝবেন যে আপনি দুর্বলচিত্তের মানুষ? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিশোধপরায়ণ: আপনি কি নিজেকে সফল করার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেন? যদি তা-ই হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আপনার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়।
ভালোবাসতে ভয় পাওয়া: যারা ভালোবাসতে ভয় পায় তারা মূলত দুর্বল মনের অধিকারী। ভালোবাসতে ভয় পাওয়া মানসিক অস্থিতিশীলতার লক্ষণ। অতীতে হয়তো আপনার মন ভেঙেছে। অতীত দ্বারা বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে বিচার করা ঠিক হবে না। ভালোবাসতে ভয় পাওয়া উচিত নয়।
সব সময় রেগে যাওয়া: আপনি যেভাবে চাইছেন, কোনো কাজ সেভাবে না হলে আপনি কি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন? তাহলে আপনি মানসিকভাবে দুর্বল। আপনার উচিত হবে সবকিছু সহজভাবে নেওয়া। একটি সীমার মধ্যে থেকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে আপনাকে।
অনুভূতির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া: সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার অনুভূতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি মানসিকভাবে দুর্বল। আপনার উচিত হবে বিচক্ষণ হয়ে ওঠা। আবেগের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
অন্যের অনুভূতিকে ব্যবহার করা: ‘তুমি যদি আমাকে পছন্দ করো, তাহলে আমার জন্য তুমি এটা করো’- এটা হচ্ছে অন্যের অনুভূতিকে ব্যবহার করা। আপনি যদি এভাবে অন্যের অনুভূতি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনি মানসিকভাবে দুর্বল।
এসব অভ্যাস বা আচরণ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হয়ে আসুন। এতে আপনার নিজেরই ভালো হবে।