ফ্যাশন-সচেতন মানুষমাত্রই ঘড়ি পরতে পছন্দ করেন। এটি বাঁ হাতেই পরা হয় বেশি। এমনকি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সিংহভাগ মানুষই বাঁ হাতে ঘড়ি পরে। এর পেছনে রয়েছে ইতিহাস আর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও।
একটা সময় ছিল, যখন ঘড়ি নামের এ যন্ত্র পকেটে নিয়ে ঘোরা হতো। সময় দেখার প্রয়োজন পড়লে মানুষ পকেট থেকে বের করেই দেখত। কিন্তু ঘড়ি পকেট থেকে বেরিয়ে বাঁ হাতের কবজিতে উঠে আসার পেছনে রয়েছে ‘বোর যুদ্ধ’-এর অবদান। সে সময় সৈনিকেরা চামড়ার ফিতায় ঘড়ি এঁটে কবজিতে পরা শুরু করে। এর কারণ ছিল মিলিটারি অপারেশনের প্রতি মিনিটকে তারা নথিবদ্ধ করে রাখত। এ কারণে বারবার পকেট থেকে ঘড়ি বের করা ছিল সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় বাঁচাতে সৈনিকেরা কবজিতে ঘড়ি বাঁধা শুরু করে।
তবে সে সময়কার ঘড়ি ছিল খুবই ঠুনকো। যুদ্ধের সময় ডান হাত ব্যবহৃত হতো বেশি। তাই ডান হাত দিয়ে বেশি কাজ করার সময় কোথাও কোনো আঘাত পেয়ে যাতে ঘড়ি ভেঙে না যায়, সে জন্য ঘড়িটি বাঁধা হতো বাঁ হাতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চল চলে এসেছে হাল ফ্যাশনে। আর বর্তমান সময়ের যে স্মার্ট ঘড়ি, সেটি ডান হাতে পরার চেয়ে বাঁ হাতে পরাই ভালো। এতে করে স্মার্ট ঘড়িটিকে সহজেই অপারেট করা যায়। তা ছাড়া কাজের সময় ডান হাত গতিশীল থাকে বিধায় সময় দেখার ক্ষেত্রে বাঁ হাতে ঘড়ি পরলে তা কাজে কোনো বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে না, সহজেই দেখে নেওয়া যায় সময়।