মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায়ের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে ঘুষ হিসেবে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বুধবার এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম এসব অভিযোগ করেন। হাতেম বলেন, সম্প্রতি পোশাকশিল্পের মালিকেরা ঠিকমতো ভ্যাট দেয় কি না, তা খতিয়ে দেখতে অডিট শুরু করেছে এনবিআর। নিয়ম অনুসারে পরিবহন খরচ, প্যাকেজিংসহ অন্যান্য ব্যয়ের ওপর ভ্যাট দিতে হয়।
তিনি বলেন, এখন মিসেলিনিয়াস (অন্যান্য) ব্যয়ের ওপরও ভ্যাট দেওয়া হচ্ছে কি না দেখা হচ্ছে। এর মানে অন্যান্য খরচের মধ্যে বিভিন্ন কার্য সম্পাদনের জন্য যে ঘুষ দেওয়া হয়, সেটাও যুক্ত আছে। এ জন্য আমাদের (গার্মেন্টস মালিক) ঘুষের ওপরও ভ্যাট দিতে হচ্ছে।
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আয়করের ওপর ব্যবসায়ী ও সাধারণ পর্যায়ে একধরনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু ভ্যাটের বিষয়ে সেই ধরনের গ্রহণযোগ্যতা এখনো সেই পর্যায়ে নেই। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাট আদায় কম হয়। এ কারণে আমাদের অডিট প্রক্রিয়ায় যেতে হয় এবং প্রতিটি অডিটে অনাদায়ী ভ্যাট আদায় হতে দেখা যায়।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ পোশাক কারখানা লোকসান দিয়ে ব্যবসা করছে। মাত্র ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মুনাফা করছে। কিন্তু সবাইকে ভ্যাট, ট্যাক্স ও উৎসে কর দিতে হচ্ছে। এ জন্য লস দিয়ে ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা খুবই কষ্ট হচ্ছে।