মোজা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েনি এমন মানুষ সংখ্যা কম। বিশেষ করে মোজার গন্ধ নিয়ে। অনেকের মোজাতেই গন্ধ হয়। ফলে কোনো পার্টি কিংবা মিটিংয়ে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু মোজায় গন্ধ হয় কেন? সাধারণত আমাদের হাত ও পায়ের তালুতে প্রচুর স্নায়ু থাকে। তারই কিছুক্ষণ গরমে থাকলে হাত বা পায়ের তালু ঘামে। আর সেই ঘাম থেকেই সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
মোজার গন্ধ থেকে রেহাই পেতে পারেন সুতির মোজা ব্যবহার করে। আবার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনলেও মোজায় গন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন। খুব মসলাযোগে রান্না হওয়া কোনো খাবার খেলে তা মানুষের বিপাক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। বদহজম বা পেটে অম্লের কারণেও ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। তাই মসলাদার খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
যাদের চা কফির অভ্যাস আছে তাদের জন্য দুঃসংবাদ। যেকোনো উত্তেজক পানীয় শরীরে হরমোন নির্গমনে প্রভাব ফেলে। ফলে ওসব পানীয় থেকে সহজেই ঘাম হয়। মোজার দুর্গন্ধ এড়াতে চাইলে চা ও কফি কম পান করাই ভালো।
মোজায় যাতে দুর্গন্ধ না হয়, সে উদ্দেশ্যে মাঝেমধ্যেই জুতা রোদে দিন। আলো-বাতাস পৌঁছুলে জুতার ভেতর ছত্রাক ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমে যায়।
একই মোজা পরপর দুদিন ব্যবহার করার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন। আলাদা আলাদা মোজা ধুয়ে ধুয়ে পরিধান করলে দুর্গন্ধের প্রকোপ থেকে রেহাই পাবেন।
মোজা পরার আগে পা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে উপকার পাবেন। পা ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পা ধুয়ে নিতে পারেন। এতে করে পা ঘামানোর প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারবেন।
পা যাতে না ঘামায়, সে জন্য পায়ে পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটা অনুচিত। এতে করে পায়ের রোমকূপ বন্ধও হয়ে যায়। ঘাম বের হতে না পারলে শরীরের ভেতরে অন্যান্য সমস্যা বৃদ্ধি পায়।