ট্যাবুতে আচ্ছন্ন মানুষেরা এমন অনেক কথাই বলে, যেগুলো আসলে গুজব ছাড়া কিছুই নয়। মেয়েদের রূপসজ্জার বিষয়েও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিধিনিষেধের ছড়াছড়ি। কিন্তু সময় অনেক আগেই বদলেছে। নীতিপুলিশের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই নিজের ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে নারী সমাজ এমন অনেক সিদ্ধান্তই নিচ্ছে, যা সমাজের প্রগতির পক্ষে ইতিবাচক। তাই সাজগোজের বিষয়েও নারী এখন অনেকটাই স্বনির্ভর। এই কথাগুলো বলা হচ্ছে, কারণ, সাজসজ্জার বিষয়ে এমন কিছু গুজব সমাজে ঘুরে বেড়ায় যেগুলো আসলেই ভিত্তিহীন। এই যেমন লাল রঙের লিপস্টিক সব সময়ে ব্যবহার করা উচিত নয়, কেবল কোনো পার্টিতে বা পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে কদাচিৎ লাল লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে- পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই কথাগুলোকে কোনোভাবেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।
মনে রাখা উচিত সেই ইংরেজি প্রবাদ, ‘দেয়ার ইজ নো রং টাইম ফর রেড লিপস্টিক’। অর্থাৎ লাল লিপস্টিক ব্যবহার করার জন্য সময়ের কোনো বিধিনিষেধ হয় না। পোশাকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাপ লিপস্টিক সব সময়েই আকর্ষণীয়। মনে রাখা উচিত নারীর মুখসৌন্দর্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওষ্ঠ। আর ওষ্ঠদ্বয়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে লাল লিপস্টিকের জুড়ি মেলা ভার। অতএব নীতিপুলিশদের কথা না শুনে নিজের মনের ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। লাল রঙের বিভিন্ন শেডযুক্ত রুবি ওয়ু, নিওর ১০, কালারপপের ক্রিপার লিপস্টিকে নারীর শুধু সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে না, বরং নারী হয়ে ওঠে ব্যক্তিত্বময়ী। তাই ওষ্ঠদ্বয়কে রাঙিয়ে তুলতে ইচ্ছেমতো লাল লিপস্টিক ব্যবহার করুন। কে কী বলছে, তা পাত্তা না দিলেও চলবে।