বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয় কফি। চায়ের পরপরই এর জনপ্রিয়তা। মানুষের কফি পানের ইতিহাস ৫০০ বছরের পুরোনো। পৃথিবীতে প্রথম কফি পানের প্রমাণ পাওয়া যায় পঞ্চদশ শতাব্দীতে, ইয়েমেনে।
শরীর চাঙা করার পাশাপাশি কফির রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে ব্ল্যাক কফি পান করলে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি পায়। এ তথ্য মিলেছে গবেষণায়। এক কাপ কালো কফিতে আছে ২০ শতাংশ ভিটামিন, ১০ শতাংশ ক্যালরি ও খনিজ।
আয়ু বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ব্ল্যাক কফির রয়েছে আরও কিছু গুণাগুণ।
ডায়াবেটিস রোধে: নিয়মিত কফি পান ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তা ছাড়া যারা ব্ল্যাক কফি পান করেন, তাদের কঠিন ব্যাধি হওয়ার শঙ্কা সাধারণ মানুষের চেয়ে ২৪ শতাংশ কম।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস: ব্ল্যাক কফি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এক কাপ কফিতে থাকে ভিটামিন বি২, বি৩, বি৫, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি।
কফি যখন পথ্য
হৃদরোগ প্রতিরোধে: ব্ল্যাক কফি হৃদপিণ্ডের বন্ধু। এটি হৃদরোগ সারিয়ে তুলতে বিশেষভাবে কার্যকর। এমনকি নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়: লিভারের যত্ন নেয় ব্ল্যাক কফি। এটি লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, স্কিন ক্যানসার এবং রেক্টাল ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করে ব্ল্যাক কফি।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: ব্ল্যাক কফি মগজকে সক্রিয় রেখে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। তা ছাড়া এটি নার্ভকে সচল রাখে।
ওজন কমায়: চিনি ছাড়া কফি পান করলে তা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
পেট পরিষ্কার রাখে: কফি পান করলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। চিনি ছাড়া কফি পান করলে শরীরে ক্ষতিকর টক্সিন ও ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
মন সতেজ রাখে: কফি মন সতেজ রাখে। ফলে মন সব সময় প্রফুল্ল থাকে। ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে ব্ল্যাক কফি। গবেষণা বলছে, ব্ল্যাক কফি সুইসাইডাল টেন্ডেন্সিও কমিয়ে দেয়।
যৌবন ধরে রাখে: চিনি ছাড়া কফি পান করলে অনেক দিন পর্যন্ত যৌবন টিকে থাকে। এ ছাড়া পার্কিনসন রোগও আটকাতে সক্ষম এই কফি৷