রান্নাঘরের তোয়ালে থেকে খাবারে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ওই গবেষণা বলছে, অপরিষ্কার তোয়ালে থেকে তৈরি হয় প্যাথোজেন গ্যাস। পরিবারের আয়তন, খাবারের প্রকারভেদ ইত্যাদি নানা কারণে গবেষণায় দেখা গেছে পরিবার কতটা বড়, তার ফলে খাবারের প্রকারভেদ, তোয়ালের ব্যবহার ইত্যাদি নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে খাবারে ছড়িয়ে যেতে পারে জীবাণু। মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুশীলা ডি বিরাঞ্জিয়া হরদয়াল এমনটা জানিয়েছেন।
মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণায় প্রায় এক মাস ধরে ১০০টি তোয়ালে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ৪৯ শতাংশ তোয়ালেতে জীবাণু পাওয়া গেছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, যে পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি, যে বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে, সেসব পরিবারের তোয়ালের মধ্যে জীবাণুও অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, রান্নাঘরে বাসনপত্র মোছা কিংবা তোয়ালে দিয়ে বাসন ধরা, হাত মোছা, রান্নার জায়গা পরিষ্কার করাসহ একাধিক কাজে তোয়ালে ব্যবহৃত হয়। একই তোয়ালে দিয়ে নানা ধরনের কাজ করায় তাতে মাত্রাতিরিক্ত জীবাণুর সৃষ্টি হয়।
এ গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপরেও তোয়ালের মাধ্যমে খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। তবে শুকনো তোয়ালের চেয়ে ভেজা তোয়ালেতে জীবাণু ছড়ায় বেশি। আর রান্নাঘরের তোয়ালে থেকে যে বিষাক্ত প্যাথোজেন তৈরি হয়, তার জন্য দায়ী রান্নাঘরের দূষণ।