গ্রাহকদের সেবা প্রদান এবং বৈশ্বিক মহামারিতে তাদের উজ্জীবিত রাখার লক্ষ্যে, দারাজ বাংলাদেশের সহযোগী ও অ্যাপভিত্তিক খাবার ডেলিভারি সেবা প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি তাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে, হাংরিনাকির প্রত্যাশা সবাই পরিবারের সাথে ঘরে থেকে সুরক্ষিত থাকুক। উল্লেখ্য, রেস্টুরেন্ট, রাইডার এবং ক্রেতাদের মাঝে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেয়ার মধ্য দিয়ে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভুমিকা রাখবে হাংরিনাকি।
এ প্রতিকূল সময়ে ভোজনপ্রেমীরা যেনো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন, তাই সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাংরিনাকি’র রাইডাররা ডেলিভারি দিতে আর রেস্টুরেন্টগুলোর খাবার পরিবেশনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
লকডাউনে ক্রেতাদের আরও উন্নত সেবাদানে হাংরিনাকি বিভিন্ন অফার, ভাউচার, রেস্টুরেন্ট ডিল ও প্রিপেমেন্ট অফার নিয়ে এসেছে। ভোজনরসিকরা ঊরফ৫০, ঊরফ১০০, ঊরফ২৫০ ভাউচার ব্যবহার করে খাবার উপভোগ করতে পারবেন। এই ভাউচারগুলো আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এছাড়াও, এই সময় ডেলিভারি ফি থাকবে মাত্র ১৯ টাকা। পাশাপাশি তাড়কা, অ্যারাক্স বাংলাদেশ, মি. মানিক ফুডস, কফি ওয়ার্ল্ড, দুরুম টার্কিশ ডোনার, স্ট্রিট ওভেন ও দ্য গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরিসহ আরও অনেক রেস্টুরেন্টে রয়েছে বিভিন্ন ডিল ও অফার।
এছাড়াও, হাংরিনাকি দিচ্ছে প্রিপেমেন্ট ডিসকাউন্ট। ক্রেতারা বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এইচএসবিসি, ইউসিবি ও নগদ দিয়ে মূল্য পরিশোধ করে উপভোগ করতে পারবেন ক্যাশব্যাক অফার ও ডিসকাউন্ট।
গ্রাহকদের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে হাংরিনাকি এখন তাদের প্লাটফর্মে কুরবানির ছাগল সরবরাহ করছে, যেখানে একজন গ্রাহক কেবল অর্ডারই করতে পারবেন না, পাশাপাশি ছাগল কোরবানীর যাবতীয় পরিষেবা এবং রান্নার পরিষেবাও পেতে পারেন।
হাংরিনাকি’র কমার্শিয়াল হেড আবু সালেহ দিদার বলেন, ‘এই সঙ্কটকালীন সময়ে, প্রত্যেকের ঘরে থাকা উচিত। সুরক্ষিত থাকা এবং ভাইরাস সংক্রমণ রোধের এটিই একমাত্র উপায়। সবাইকে নির্দেশিকা মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে হাংরিনাকি এবং এর রাইডাররা দৃঢ় মনোবলের সাথে ক্রেতাদের সেবাদানে প্রস্তুত, যাতে তাদের জন্য করোনা মহামারি বড় কোনো হতাশার কারণ না হয়। ঘরে থাকুন, হাংরিনাকি’তে অর্ডার করুন এবং আপনার ও আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।’
উল্লেখ্য যে, ঈদ প্রায় চলে এলেও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখনও কমেনি। ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে হাংরিনাকি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে যাতে ঈদের সময় জীবন ঝুঁকিতে ফেলে ক্রেতাদের ঘরের বাইরে যেতে না হয়।