মানুষের সৌন্দর্য তার চুলে। ঘন, কালো ও লম্বা চুল সকল নারীই প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সবার চুল তো আর প্রত্যাশা অনুযায়ী লম্বা হয় না।
চুল লম্বা করতে অনেকে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তবু কাঙ্ক্ষিত ফল পান না অনেকেই। অনেক ক্ষেত্রে আবার হিতে বিপরীত হয়ে যায়। চুল হয়ে পড়ে দুর্বল ও রুক্ষ।
চুলের বৃদ্ধি না হওয়ার জন্য কে দায়ী? আপনি নাকি চুলের প্রসাধনী। বাস্তবতা হচ্ছে চুল লম্বা না হওয়ার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে আপনি নিজেই দায়ী। আপনার লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব পড়ে আপনার চুলে। এ ছাড়া কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে চুলের বারোটা বেজে যায়। আসুন, জেনে নিই সেই ভুল অভ্যাসগুলো।
ভূল চিরুনির ব্যবহার: চিকন কাঁটার চিরুনি ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়। এতে করে চুলে জট বেঁধে যেতে পারে। তা ছাড়া চুল গোড়া থেকে দুর্বল হয়ে ঝরে পড়তে পারে। তাই চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে মোটা কাঁটার চিরুনি ব্যবহার করাই ভালো।
রাতের যত্ন: রাতে চুল বেঁধে ঘুমানো উচিত। নতুবা বালিশের ঘষায় ঘষায় চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে করে আপনার চুল লম্বা না-ও হতে পারে।
একই রকম হেয়ারস্টাইল: রাতে চুল বেঁধে তথা খোঁপা করে ঘুমালেও, চুল বেশির ভাগ সময়ে খোঁপা করে রাখা অনুচিত। কেননা চুলেরও অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। বেঁধে রাখলে চুলের ভেতর বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
তেল না দেওয়া: আমরা অনেকেই চুলে তেল ব্যবহার করি না। কিন্তু সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে তেল ব্যবহার করা উচিত। তেল হচ্ছে চুলের খাবার। তেল ব্যবহার না করলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যেতে পারে। এর ফলে চুল লম্বা হতে পারে না।
পুষ্টিকর খাবারের অভাব: প্রাত্যহিক খাবারে ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাবে চুল ঝরে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন নারীর প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৫ থেকে ১৮ গ্রাম আয়রন খাওয়া উচিত। এতে করে চুল ভালো থাকবে।
ময়শ্চারাইজারের অভাব: প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা অনুচিত। এতে করে চুল থেকে প্রয়োজনীয় তৈলাক্ত পদার্থ দূরীভূত হয়ে যায়। ফলে ময়শ্চারের অভাবে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। সপ্তাহে বড়জোর তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরামর্শ দেন রূপবিশেষজ্ঞরা।
প্রতিদিন নতুন নতুন পণ্যের ব্যবহার: চুলের প্রসাধনী ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে সেটা আপনার চুলের সঙ্গে খাপ খাবে কি না, সেটা যাচাই করে নিন। ঘন ঘন নিত্যনতুন পণ্য ব্যবহার করা উচিত হবে না। এতে করে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
নিয়মিত চুল ট্রিম করুন: দুই থেকে তিন মাস পরপর চুল ট্রিম করে নিতে পারেন। ট্রিম করার সময়ে দুমুখো চুল ছেঁটে ফেলা হয়। এতে চুল দ্রুত বাড়তে পারে।