এখন চলছে লিচুর মৌসুম। সুস্বাদু এই ফলে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা দেহের সুস্থতায় অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
লিচুতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুর ৬৬ ভাগই হলো ক্যালরি। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমা করে।
লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের একধরনের উপাদান। একে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।
এই ফল ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভনয়েডস বা ভিটামিন ‘পি’ স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যন্ত উপযোগী।
শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘সি’ গুরুত্বপূর্ণ। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে এই পুষ্টি উপাদান রয়েছে । যা ত্বক, হাড় ও কোষের সজীবতা রক্ষা করে।
লিচুকে বলা হয় ভিটামিন ‘বি’-এর শক্তিঘর। এ ছাড়া থায়ামিন, নায়াসিন নামের ভিটামিনগুলোর সমন্বয়ে লিচুর কার্যকরী ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ভিটামিন শরীরের বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়। লিচুতে থাকা পটাসিয়াম ও খনিজ উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।