আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ইউ-গো এবং জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জাগো উইমেন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাজধানীর গুলশানের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ‘ব্রিজিং ফিউচারস: জাগো উইমেন স্কলার্স কনেক্ট’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ ও এই উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকেরা একত্রিত হয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। উদ্যোগটির মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথে অন্তরায় দূরীকরণ এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনের পথ উন্মোচন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জনানো হয়।
২০২২ সালে শুরু হওয়া এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মেধাবী, তবে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল নারী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করছে। মাসিক বৃত্তির পাশাপাশি প্রোগ্রামটির আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শদান কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পেশাগত সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এ পর্যন্ত ২৭৬ জন শিক্ষার্থী এই সুবিধা পেয়েছেন, এবং চলমান তৃতীয় কোহর্টের মাধ্যমে প্রোগ্রামটির প্রভাব আরও বিস্তৃত হচ্ছে।
ইউ-গো’র প্রোগ্রাম পরিচালক টম মনরো বলেন, ‘শিক্ষা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়। দুই কন্যার বাবা হিসাবে আমি জানি, মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ পাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমি চাই আপনাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হোক।’
অনুষ্ঠানে মেন্টরশিপ, ক্যারিয়ার গাইডেন্স এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্বের দিকগুলোও উঠে আসে। পেশাগত খাতে কীভাবে সফল হওয়া সম্ভব, নিজের উন্নয়নের জন্য কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিজেকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থী এবং পৃষ্ঠপোষকেরা আলোচনা করেন।
জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাখসান্দ বলেন, ‘তরুণ শিক্ষার্থীদের জীবন পরিবর্তনের জন্য আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা। উচ্চশিক্ষা অর্জনে যারা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, এই প্রোগ্রাম তাদের উদ্দেশ্যেই।’
জাগো ফাউন্ডেশন, ইউ-গো এবং দাতাদের সমর্থনে জাগো উইমেন স্কলারশিপ প্রোগ্রামটির কার্যক্রম ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। ‘ব্রিজিং ফিউচারস: জাগো উইমেন স্কলারস কানেক্ট’-এর মতো উদ্যোগ নারী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: জাগো ফাউন্ডেশন-এর সৌজন্যে