ব্যস্ত জীবন। ঘড়ির কাঁটায় মুখ গুঁজে চলছি আমরা সবাই। আধুনিক যাপনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আলগা হয়ে যাচ্ছে সম্পর্কের বাঁধন। সন্তান-সন্ততিদের সময় দেওয়া তো দূরের কথা, নিজের জন্যও সময় পাওয়া যায় না এক মুহূর্ত। কিন্তু শিশুর বিকাশে বাবা মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে শিশুর প্রথম ১০ বছর।
একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব সেভাবেই গঠিত হয়, যা ওকে ওর প্রথম ১০ বছরের শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আজকাল পশ্চিমা সংস্কৃতি ঢুকে পড়েছে আমাদের নিজস্ব বলয় ডিঙিয়ে। সন্তানকে রাখছি আলাদা ঘরে। ও বড় হচ্ছে নিতান্তই নিঃসঙ্গ অবস্থায়। কিন্তু এটা কি শিশুর জন্য ভালো? চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, শিশুকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমালে শিশুর মানসিক বিকাশ উন্নত হয়, বুদ্ধিতেও প্রভাব ফেলে। চলুন, জেনে নিই বাবা ম-য়ের সঙ্গে ঘুমালে কেন শিশু ভালো থাকবে।
বিছানায় ঠাঁই: শিশুকে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নিজেদের বিছানাতেই ঠাঁই দিন। এতে করে শিশু নিজের জিনিসপত্র ভাগাভাগি করে নিতে শিখবে। পাশাপাশি বাবা-মায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো হবে।
হঠাৎ অসুস্থ: যেকোনো সময় যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। শিশু যদি একাকী থাকে, তাহলে ও ওর অসুস্থতার কথা নিজের ঘর থেকে বের হয়ে বাবা-মায়ের কাছে না-ও বলতে পারে। তাই শিশু অবস্থায় শিশুকে নিজের বিছানায় রাখুন, বিশেষ করে রাতের বেলা।
নিরাপত্তা: একা থাকলে শিশু নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। যত দিন পর্যন্ত না শিশুর ব্যক্তিগত বোধ ও নিজস্ব জগৎ তৈরি হয়, তত দিন শিশুকে নিজেদের বিছানায় রাখুন। এতে করে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়বে। পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পাবে।
হরমোনাল সমস্যা: মনোবিদদের মতে, যেসব শিশু ঘুমানোর সময় বাবা-মায়ের স্পর্শ পায়, তাদের হরমোনাল সমস্যা কম হয়। শিশুকে গান বা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ালে শিশুর কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়।
অভিভাবক: সন্তান বাবা-মায়ের কাছে ঘুমালে বাবা-মাও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। একটু পরপর গিয়ে শিশুর খোঁজ নিতে হয় না।