নবজাতক শিশুর ত্বকের পরিচর্যায় অনেক সময়ই বাবা–মা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। কী গ্রহণ করবেন আর কী বর্জন করবেন, সেটা নির্ণয় করতে হিমশিম খান অনেকেই। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ভেষজ উপাদান।
এ বিষয়ে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ শুভাশিনি এনএস জানান, নবজাতকদের ত্বক প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। এমন ত্বকে তেল, ক্রিম, শ্যাম্পু, সাবান ইত্যাদি যেকোনো ধরনের পণ্য ব্যবহারের আগে সাবধান হতে হবে। কারণ, শিশুর যত্নে যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা হয় তাতে থাকে থ্যালেটস ও খনিজ তেল, যা শিশুর ত্বকে দ্রুত শোষিত হয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই শিশুর পরিচর্যায় ভেষজ উপাদানে তৈরি প্রসাধন ব্যবহার করাই নিরাপদ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন, জেনে নিই কীভাবে ভেষজ উপাদান দিয়ে শিশুর যত্ন নিতে হয়।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ত্বক, ফুসকুড়ি, চুলকানি নিরাময়ে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। কারণ এতে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান।
ভেটিভার ঘাস তেল: এই তেলে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকরোধী উপাদান। যা ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে। এই তেল ঘামরোধী ও অ্যাসট্রিনজেন্ট উপাদানের জন্য পরিচিত। এই তেল ব্যবহার শিশুকে সারাক্ষণ শুকনো রাখবে।
ছোলা-মটর: ছোলা-মটরভিত্তিক শ্যাম্পু শিশুর চুলে আরও ঝলমলে ভাব আনে। তা ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট যা জ্বালাপোড়া কমায়, চামড়া পরিষ্কার রাখে ও পুষ্টি জোগায়।
নিশিন্দা: নিশিন্দাতে আছে ব্যাকটেরিয়া দমনীয় উপাদান, যা ত্বকের সংক্রমণ, লালচে ভাব, ও প্রদাহ দূর করে। ডায়াপার পরার কারণে হওয়া ফুসকুড়ি থেকেও নিশিন্দা মুক্তি দিতে পারে।
লিভেন্ডার: এটিও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। পাশাপাশি মিষ্টি সুবাস ছড়ায়। যা শিশুর মনে প্রশান্তি আনে ও শিশুর ঘুমে সাহায্য করে।
কালামাইন: গরমের সময়ে ঘামাচি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি থেকে বাঁচতে কালামাইন ব্যবহার করা যেতে পারে। তা ছাড়া কালামাইন লোশনও শিশুর জন্য বেশ উপকারী।
পদ্ম: পদ্মতে রয়েছে স্কিন কন্ডিশনিং উপাদান, যা শিশুর ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।