একটা সময় প্রেমে ব্যর্থ হলে দেবদাস বনে যেতেন অনেকেই। আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। সেসব দিন গেছে। এখন ব্রেকআপ যেন ডাল-ভাতের মতোই সহজ হয়ে গেছে। সকালে ব্রেকআপ হলে বিকেলেই জুটিয়ে নিচ্ছে নতুন কাউকে। এ তো গেলো প্রেমের কথা। বিয়েতেও ডিভোর্সের সুর। কিছু হলেই ডিভোর্স। সারা বিশ্বেই বাড়ছে ডিভোর্সের হার। কিন্তু এবার এসব ভাঙনের লাগাম টেনে ধরছে চাইছে চৈনিকরা। ব্রেকআপ হলেই গুনতে হবে জরিমানা। তা সেটা মেয়ের দিক থেকেই হোক কিংবা ছেলের। সে দেশে এ নিয়ে এসছে নয়া বিধি। যে সম্পর্ক ভাঙবে সে-ই বাধ্য হবে জরিমানা গুনতে। জরিমানা প্রদান করতে হবে প্রাক্তন সঙ্গীকে।
শুধু তা-ই নয়, প্রেমের সময় যত খরচাপাতি পকেট থেকে বেরিয়েছে, সেটিও যুক্ত হবে জরিমানার সঙ্গে। যেমন, রেস্তোরাঁর বিল, উপহারের খরচ, বেড়ানোর মূল্য—সবটাই ধার্য হবে জরিমানার অঙ্কে।
চীনে এ বিধি চালু করার পর থেকে মূলত পুরুষেরাই বেশি পড়ছে জরিমানার খপ্পরে। এ থেকে বোঝা যায় সে দেশে ব্রেকআপের নাটের গুরু মূলত পুরুষেরাই। তবে যদি পারস্পরিক সমঝোতার মধ্যে দিয়ে ব্রেকআপ হয়, তাহলে মেয়ে ছেলে উভয়কে গুনতে হবে জরিমানা।
এ বিধি চালু হওয়ার পর দেখা গেছে, চিনে এই জরিমানার কবলে পড়ছেন মূলত পুরুষেরাই, এতে স্পষ্ট, সেখানে সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুরুষেরাই। যেখানে পারস্পরিক সমঝোতায় সম্পর্ক ভাঙছে, সেখানে জরিমানা দিচ্ছেন উভয়েই।