দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে শারীরিক ও স্নায়বিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায় যাকে সংক্ষেপে হিট স্ট্রোক বলে। এই গরমে স্কুল-আদালত, অফিস হাটবাজার ইত্যাদি জায়গা অথবা বিশেষ করে যে জায়গাগুলোতে গাছপালা কম সেখানে প্রচন্ড গরমে যে কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, এটি খুবই জরুরি অবস্থা যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
হিট স্ট্রোক মূলত দুই প্রকার ক্লাসিক্যাল হিট স্ট্রোক এবং এক্সারসাইজ ইনডিউসড শরীরচর্চা বা পরিশ্রমজনিত হিট স্ট্রোক।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ: কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বোঝায় যায় কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে কি না। যেমন শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া প্রায় ১০৪ থকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ঘাম না হওয়া, গায়ের ত্বক গরম হয়ে যাওয়া, নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অস্বাভাবিক আচরণ, খিচুনি, অবচেতন হয়ে পড়া, চোখে ঘোলা দেখা ইত্যাদি হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
কী করতে হবে: হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথম ঠান্ডা স্থানে নিয়ে আসতে হবে। রোগীকে চিত করে শুইয়ে দিয়ে পা ও নিতম্ব উঁচু করে দিতে হবে। শরীরের জামাকাপড় ঢিলে করে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে অথবা একটি বড় তোয়ালে পানিতে ভিজিয়ে রোগীর শরীরে তা চেপে ধরতে হবে যতক্ষণ না রোগীর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘন ঘন ঠান্ডা ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
যারা গরমে খুব বেশি ঘামেন অথবা গরমে অনেক কঠোর পরিশ্রম করেন তাদের হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তাই একটু সচেতন থাকলে আর হিট স্ট্রোকে করণীয় কী, তা জানলে হিট স্ট্রোক থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।