মাঝেমধ্যেই আমাদের হেঁচকি ওঠে। খুব গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা কোনো কাজের সময়ে হেঁচকি ওঠা কতটা বিরক্তিকর, সেটা কমবেশি আমরা সবাইই জানি। যদিও এটি কোনো রোগ নয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘হেঁচকি’কে সিঙ্ক্রোনাস ডায়াফ্র্যাগমাটিক ফ্লাটার বা সিংগাল্টাস নামে চেনে।
হেঁচকি ওঠার বেশ কিছু কারণ আছে। অতিরিক্ত ভরা পেটে হেঁচকি ওঠার প্রবণতা বেশি থাকে। অল্প সময়ে অনেক খাবার খেলে। বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল গ্রহণ করলে কিংবা বেশি প্রয়োজনের বেশি শ্বাস নিলেও হেঁচকি উঠতে পারে। ধূমপানের কারণেও হেঁচকি ওঠে। এ ছাড়া হঠাৎ পেটের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে এবং মানসিক চাপ বা উত্তেজনার কারণে হেঁচকি উঠতে পারে।
যে কারণেই হেঁচকি উঠুক, সেটি থামানোর জন্য কিছু কৌশল রয়েছে।
এক গ্লাস ঠান্ডা পানি ধীরে ধীরে পান করুন, হেঁচকি বন্ধ হবে। কোনো কিছু দেখে বা শুনে হঠাৎ করে অবাক হলে হেঁচকি চলে যায়।এক চামচ চিনি মুখ নিযে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়।এক হাতে নাক টিপে ধরে ঢোক গিলুন। ৩০ সেকেন্ড পর পর ঢোঁক গিলতে থাকুন, হেঁচকি থামবে। ১৫ সেকেন্ড জিভ বের করে রাখলেও হেঁচকির সময় উপকার পাওযা যায়।
সাধারণত কিছুক্ষণের মধ্যে হেঁচকি কমে যায়। তবে দীর্ঘ সময়েও যদি না কমে, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।