১৮ বছর পূর্ণ করছে দেশের জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স। এ উপলক্ষে ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্সের এসকেএস টাওয়ার শাখায় আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, এ ছাড়া থাকছে কেক কাটা ও রেড কার্পেট ফটোসেশন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, করপোরেট ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র ও বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ । আরো থাকছে হলিউডের সাম্প্রতিক আলোচিত ছবি ‘দ্য উইম্যান কিং’ এর প্রিমিয়ার শো। আরেকটি বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা থাকছে এদিন। স্টার সিনেপ্লেক্সের ফেসবুক পেইজের পাঁচ লাখ লাইক পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে স্টার সিনেপ্লেক্সের ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দেয়া হয়, স্টার সিনেপ্লেক্সের সঙ্গে নিজের সুন্দর স্মৃতি, মজার গল্প কিংবা নস্টালজিক কোন ছবি শেয়ার করে জিতে নেয়া যাবে পুরো এক বছর স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমার প্রিমিয়ার শোয়ের আমন্ত্রণসহ আকর্ষণীয় আরও অনেক পুরস্কার। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন মারজুকা আহমেদ চৌধুরী। তিনি পাবেন এক বছর স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমার প্রিমিয়ার শোয়ের আমন্ত্রণ। দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাঁচজন পাবেন মুভি ভাউচার এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাঁচজন পাবেন স্টার সিনেপ্লেক্সের টি শার্ট।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাত্রা শুরু করে স্টার সিনেপ্লেক্স। নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সাউন্ড সিস্টেমসহ নানা অভিনবত্বের মধ্য দিয়েদেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের আকৃষ্ট করে প্রেক্ষাগৃহটি। বর্তমানে একটি ভিআইপি হলসহ মোট পাঁচটি হল রয়েছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। এ ছাড়া ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার এবং মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার এবং সামরিক জাদুঘরে এর শাখা রয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও চালু হচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। চট্টগ্রাম এবং বগুড়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন শাখা। ঢাকার উত্তরা, কুমিল্লাসহ দেশব্যাপী আরও সিনেপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান। ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দর্শকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে আমরা বরাবরই সচেষ্ট। পথচলার শুরু থেকে দর্শকরা আমাদের যে ভালোবাসা দিয়ে আসছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। দর্শকরা সঙ্গে আছেন বলেই আমরা আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।‘
জিনা প্রিন্স-বাইথউড পরিচালিত ‘দ্য উইম্যান কিং’ ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পরপরই সিনেমাটি ঝড় তুলেছে উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে। ভায়োলা ডেভিসের নেতৃত্বে অ্যাকশন মহাকাব্য ‘দ্য উইম্যান কিং’ এর নির্মাণ বাজেট ৫০ মিলিয়ন ডলার। প্রথম সপ্তাহ শেষেও ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে নিজেদের দখল ধরে রেখেছে। এর মধ্যে নতুন কিছু সিনেমা মুক্তির পরও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে এটি। ১৮০০-এর দশকে পশ্চিম আফ্রিকার ডাহোমি রাজ্যের সর্ব-মহিলা সেনাবাহিনী ‘অ্যাগোজি’ সম্পর্কে নির্মিত চলচ্চিত্রটি টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে আত্মপ্রকাশের পর বেশ উজ্জ্বল পর্যালোচনা পেয়েছে। বিখ্যাত রটেন টমেটোসে ৯৪ শতাংশ রেটিং পেয়েছে ছবিটি।এমনকি থিয়েটার শ্রোতারাও ঠিক ততটাই উৎসাহী বলে মনে হচ্ছে। বিরল ‘এ প্লাস’ সিনেমাস্কোর পাওয়া সিনেমাটি আগামী সপ্তাহগুলোতে আরো শক্তিশালী আয় করতে যাচ্ছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দ্য উইমেন কিং তাদের রাজ্য ডাহোমি এবং ওয়ো সাম্রাজ্যের মধ্যে বিরোধকে ততটা পরিষ্কার করে না যতটা প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে। দাস ব্যবসায় ওয়ো সাম্রাজ্যের নিযুক্তির উপর ডাহোমির ক্ষোভ, উল্লেখযোগ্যভাবে, এই কারণে জটিল যে এর নেতারা একইভাবে তাদের সহকর্মী আফ্রিকানদের দাসত্বে বন্দী করেছে এবং তাদের বিক্রি করে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছে। এই ঐতিহাসিক মহাকাব্য চলচ্চিত্রটি ‘অ্যাগোজি’ -এর গল্প অনুসরণ করে নির্মিত হয়েছে, যেখানে দেখা যায় একটি সর্ব-মহিলা যোদ্ধা দল যারা ১৭ থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকান রাজ্য ডাহোমিকে রক্ষা করেছিল। ভায়োলা ডেভিস একজন জেনারেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যিনি ১৮২০-এর দশকে সৈন্যদের পরবর্তী প্রজন্মকে তাদের প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধ করতে শেখান। দর্শকদের মতে এটি একটি বজ্রময় বিজয়ী আখ্যান। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে প্লট পর্যন্ত সবকিছুই সিনেমাটিকে প্রাণবন্ত রাখে। সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে ছবিটির চিত্রগ্রহণ হয়েছে। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। পরিচালক বলেন,‘ডিজাইনার আকিন ম্যাকেঞ্জির চমৎকার কাজের পাশাপাশি, আমরা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস হাইলাইট করতে চেয়েছিলাম এবং এমন চিত্র তৈরি করতে চেয়েছিলাম যা এই নারীদের প্রতি ন্যায়বিচার করবে। আমরা একটি চকচকে বাণিজ্যিক সিনেমা বানাতে চাইনি, কিন্তু একটি ঐতিহাসিক মহাকাব্য যা খুব সুন্দর এবং খাঁটি ছিলো।’