আইকিয়া ফাউন্ডেশন ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় ৩০টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান বা তরুণ উদ্যোক্তাকে ব্যবসার জন্য মূলধন দেবে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি)। এ ছাড়া দশ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ এবং চার হাজার তরুণের চাকরির ব্যবস্থা করতে চার বছরমেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের প্রিন্স কন্সটান্টিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সোনিয়া বশির কবির এবং বিওয়াইএলসির প্রতিষ্ঠাতা এজাজ আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় নিম্ন আয়ের পরিবারের ১০ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিভিন্ন দক্ষতার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেন তারা কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে। ৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও নিয়োগকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া দক্ষতা উন্নয়নে বেন্ডেড পদ্ধতিতে অনলাইন ও ক্লাসরুমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স কন্সটান্টিন বলেন, এই প্রকল্পটি দেশের দক্ষ কর্মী তৈরির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের অভাব নিরসন করবে। এজাজ আহমদ বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মূলধন সরবরাহ ছাড়াও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কো-ওয়ার্কিং স্পেস প্রদান করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে উদ্যোক্তদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ হতে পারে বলে জানান তিনি। বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে নুষপ.ড়ৎম-ওয়েব সাইটে। হ্যারি ভারওয়েজ বলেন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মকে দক্ষতাসহ জীবিকা নির্বাহের সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের দিকে নিতে সহায়তা প্রদান করবে। সোনিয়া বশির কবির বলেন, বেকারত্ব দূর করার অন্যতম উপায় হলো নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। বিওয়াইএলসির নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে কাজ করার আশাও ব্যক্ত করেন তিনি।