করোনা ভাইরাসের কারণে একের পর এক সিনেমার মুক্তি পিছিয়েছে আর দর্শকদের অপেক্ষার দিন বেড়েছে। ২০২০ সালে মুক্তির তালিকায় থাকা অনেক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে ২০২১ সালে। এ তালিকায় বিশেষ আগ্রহের একটি নাম ‘ডিউন’। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক ছবির ভক্তরা এই ছবির জন্য রীতিমত মুখিয়ে আছেন। এরইমধ্যে ছবিটির ফার্স্টলুক প্রকাশ করে ভক্তদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নির্মাতা ডেনিস ভিলেনিউভে। এরপর প্রথম ট্রেলারেই দর্শকদের মাত করেন। ওয়ার্নার ব্রস ইন্ডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশের পর নতুন আলোচনার সৃষ্টি করে। করোনাকালে অন্য অনেক সিনেমার মত এটিও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেয়া হবে বলে গুঞ্জন ছিলো। সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে সিনেমাটি বড় পর্দাতেই মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেন প্রযোজকরা। এরপর থেকে দর্শকদের অপেক্ষার পালা। ২০২০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো সিনেমাটি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ হয়। অবশেষে প্রায় এক বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ডিউন’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি।
ফ্র্যাঙ্ক হার্বার্টের ১৯৬৫ সালের উপন্যাস ডিউন অবলম্বনে একই নামে বড়পর্দার জন্য সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অস্কার মনোনীত পরিচালক ডেনিস ভিলেনিউভে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন টিমোথি চালামেট, রেবেকা ফার্গুসন, অস্কার আইজ্যাক, জোশ ব্রোলিন, স্টেলান স্কার্সগার্ড, ডেভ বুটিস্টা, চ্যাং চেন, জেনডায়া, স্টিফেন ম্যাককিনলি হেন্ডারসন ও অস্কারজয়ী জ্যাভিয়ের বারডেমসহ আরও অনেকে। টিমোথি ও জেনডায়ার রসায়ন দেখা যায় ছবির ট্রেলারে। একের পর এক নতুন চরিত্র হাজির হয় সামনে, শ্বাসরুদ্ধকর ভিজ্যুয়াল, মহাকাব্যিক যুদ্ধের দৃশ্য আর এমন কিছু দানবীয় চরিত্র যা আগে কখনও দেখা যায়নি। সেই সাথে প্রেরণামূলক কথাগুলো দাগ কাটে দর্শকের মনে। ছবিতে টিমোথির নাম পল অ্যাট্রেইডেস। এমন কিছু ক্ষমতা ও আশীর্বাদ নিয়ে তিনি জন্ম নিয়েছেন যা তার নিজেরই অজানা। মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর গ্রহে তাকে সংগ্রাম করতে হবে তার পরিবার ও নিজের লোকদের রক্ষা করতে। এটাই এখন বিস্ময়ের সঙ্গে দেখার বিষয়, কীভাবে মানসিকভাবে উদ্দীপিত এ নায়ক মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। তা হলো, নিজের ভয়কে জয় করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। ডিউক লেটু বিপজ্জনক মরু গ্রহ আরাকাইসের সেবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেটি কেবল মহাবিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এক পদার্থের একমাত্র উৎস, যা মানব জীবনকে দীর্ঘায়িত করে এবং মানব চিন্তাশক্তির স্তরকে প্রসারিত করে। লেটু যদিও জানত যে এই সুযোগটি তার শত্রু হারকুনেন্স এর দ্বারা তৈরী একটি ফাঁদ, তবুও তিনি তার উত্তরাধিকারী ছোট ছেলে, আরাকাইসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ডিউন হিসেবে পরিচিত পল এবং পল এর দৈব মাতা ও লেটু’র উপপত্নী লেডি জেকিকাকে সঙ্গে নেন। লেটু সেই মূল্যবান পদার্থের খনির কার্যভার নিয়ন্ত্রণ করেন, যাতে দৈত্য স্যান্ডওর্মস এর উপস্থিতিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরী হয়।