মাস্টারকার্ড ‘ম্যাজিক্যাল বার্সেলোনা’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। ৫ মার্চ রাজধানী একটি হোটেলে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে দুই মাসের এই ক্যাম্পেইনটির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। দেশে এবং বিদেশে ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে মাস্টারকার্ডের ডেবিট, ক্রেডিট এবং প্রি-পেইড কার্ডে কেনাকাটা করে পুরো শীতকাল জুড়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ পান কার্ড হোল্ডাররা।
ক্যাম্পেইনে ‘ড্রিম প্রাইজ’ বিজয়ী এ কে এম ফজলুল হক পাচ্ছেন সঙ্গীসহ স্পেনের বার্সেলোনাতে ৪ দিন ৩ রাত থাকার রোমাঞ্চকর একটি সফর, যার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে মাস্টারকার্ড। ক্যাম্পেইনের অন্যান্য বিজয়ীরা পাচ্ছেন রোমাঞ্চকর ভ্রমণ প্যাকেজ ছাড়াও গ্যাজেট, রিস্ট ওয়াচ, ডাইনিং এবং লাইফস্টাইল ভাউচারের মতো আকর্ষণীয় সব পুরস্কার।
১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা মাস্টারকার্ডের ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কমপক্ষে ৪টি লেনদেন সম্পন্ন করে পয়েন্ট অর্জন করেন। দেশের বাইরে ২৫ মার্কিন ডলার বা এর চেয়ে বেশি মূল্যমানের প্রতিটি কেনাকাটার জন্য ৩ পয়েন্ট, দেশের ভেতরে ই-কমার্স কিংবা অন্যান্য যেকোনো লেনদেনে ১০০০ টাকা বা এর চেয়ে বেশি টাকার রিটেল লেনদেনে ২ পয়েন্ট অর্জন করেন মাস্টারকার্ড কার্ডহোল্ডাররা। এছাড়া নতুন ইস্যুকৃত (অক্টোবর ২০১৯ থেকে জানুয়ারির ২০২০ মধ্যে) মাস্টারকার্ড ক্রেডিট,ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে ই-কমার্স অথবা অন্যান্য রিটেল লেনদেনে ১০০০ টাকা বা এর চেয়ে বেশি টাকার কেনাকাটা করে ৩ পয়েন্ট অর্জন করেন কার্ডহোল্ডাররা। সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহকারী কার্ডহোল্ডারদের পুরস্কৃত করেছে মাস্টারকার্ড।
ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, নিজ চোখে বিশ্বকে ঘুরে দেখার অমূল্য অভিজ্ঞতা অর্জনে ‘মাস্টারকার্ড’ কার্ডহোল্ডারদেরকে উৎসাহী করে তোলার অন্যতম প্রয়াস হলো এই ‘ম্যাজিক্যাল বার্সেলোনা’ ক্যাম্পেইন। মাস্টারকার্ড অভিজ্ঞতার মূল্য বোঝে। আর এই ক্যাম্পেইনের ‘ড্রিম প্রাইজ’ হিসেবে স্পেনের বার্সেলোনাতে সঙ্গীসহ ৪ দিন ৩ রাতের সফরটি নিঃসন্দেহেই স্মরণীয় একটি স্মৃতি। কার্ডহোল্ডারদেরকে তাদের আবেগের কাছাকাছি আনার প্রয়াসে এই ধরণের আরও ক্যাম্পেইন চালুর নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মাস্টারকার্ড।
এই ক্যাম্পেইনের সাথে পার্টনার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংযুক্ত ছিল: এবি ব্যাংক, আল-আরাফা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, দ্যি প্রিমিয়ার ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।