skip to Main Content
ফেস অব এশিয়ায় জারিফ ও আকলিমার বাজিমাত

‘ফেস অব এশিয়া’য় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন ‘ফেস অব বাংলাদেশ’ জারিফ শাবাব ও আকলিমা আতিকা কণিকা। তাদের অর্জন ফ্যাশন ও মডেলিংয়ের বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করছে।

৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৪, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল। ফেস অব এশিয়া, এশিয়া ওপেন কালেকশন, এশিয়া মডেল অ্যাওয়ার্ড– এই তিন অংশ থাকে ইভেন্টটিতে। ফেস অব এশিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আর্কা ফ্যাশন উইকে ফেস অব বাংলাদেশ নির্বাচিত হন জারিফ শাবাব, আকলিমা আতিকা ও দিল আফরোজ হাসান।

জারিফ শাবাব

২৭টি দেশের নির্বাচিত ৫০জন মডেল সুযোগ পেয়েছেন ফেস অব এশিয়ায়। এটি এ প্রতিযোগিতার ১৫তম আসর। বাংলাদেশের জন্য সুখবর হচ্ছে ফেস অব এশিয়ার শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নিয়েছেন মডেল জারিফ শাবাব। পাশাপাশি ‘ভোটিং রাউন্ড’-এ সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মডেলিং প্রতিযোগিতায় ভোটিং রাউন্ড বিজয়ী প্রথম হয়েছেন এই বাংলাদেশি। আকলিমা কণিকা হয়েছেন তৃতীয়। আর নারী মডেলদের মধ্যে প্রথম। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

মূল আয়োজনের আগে দুই সপ্তাহের গ্রুমিং সেশনে জারিফের সক্রিয় অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কিন কেয়ারের সুপরিচিত কোরিয়ান ব্র্যান্ড এক্সআইইএল এই মডেলের ডায়নামিক কনটেন্ট ফিচারের জন্য পছন্দ করে। এ ছাড়া এশিয়া ওপেন কালেকশনে ডব্লিও হোমি, লাইন হোমি, এটুআর, ফোটন গার্মেন্ট-এর মতো টপ ডিজাইনারদের কাস্টের জন্যও নির্বাচিত হন তিনি।

আজরা মাহমুদের সঙ্গে জারিফ শাবাব ও আকলিমা আতিকা কণিকা

ফেস্টিভ্যালজুড়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন জারিফ। বেশ কিছু প্রমোশনাল শুট করেছেন সেখানে। আইকনিক হাই ওয়ান রিসোর্টসহ বেশ কিছু হাই প্রোফাইল ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি জারিফের প্রাপ্তির ঝুলিতে যোগ হয় ‘আমাঙ ম্যাগাজিন অ্যাম্বাসিডরশিপ’ পুরস্কার। এ ছাড়াও বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

আকলিমা আতিকা কণিকা স্পনসর অ্যাওয়ার্ড ‘ইউ অ্যান্ড আই’ জিতে নিয়েছেন। লাইন কালেকশন, ডাক ডাইভ, গ্রিডিলাস ও এভিটার রানওয়েতে তার উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

সব মিলিয়ে বলা যায়, এ বছর এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের উপস্থিতি সাফল্যে পরিপূর্ণ।

আকলিমা আতিকা কণিকা

উল্লেখ্য, এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল আসলে তিনদিনের একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। এখানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মডেলরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। এই ইভেন্ট প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতি উৎসব এশিয়ার পপ সংস্কৃতি, শিল্প ও এশিয়ার মডেল, ফ্যাশন আর বিউটি ইন্ডাস্ট্রিকে এশিয়াব্যাপী প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এশিয়ার মডেল ও শিল্পীদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়।

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: সংশ্লিষ্টদের সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top