সম্পাদকীয়
বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছোট-বড় অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কেবল ছিন্নমূলই নয়, যারা কর্মহীন বা কাজ হারিয়েছে, তাদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করছে এসব সংগঠন। এমনকি বিশেষ দিনে ভালো খাবার ও বস্ত্রের বন্দোবস্ত করছে। এই সংগঠনগুলোর উদ্যোক্তা ও সদস্যদের প্রায় কেউই ধনাঢ্য বা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি নন। অনেকেই তো অসচ্ছল। কেউ কেউ আবার শিক্ষার্থী। কেউ ছোটখাটো চাকরি কিংবা ব্যবসা করেন। এরা সংগঠিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এটা জেনে ও ভেবে আশ্বস্ত হয়েছি। মনের গহিনে সুখ বোধ করেছি। আশান্বিত হয়েছি। মনে হয়েছে, আমরা সত্যিই একদিন উঠে দাঁড়াব। নিশ্চয় উজ্জ্বল ও সুন্দর দিন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ, আমরা কেউ একা নই।
জীবন বহমান। তাতে সবকিছুর মতো উৎসবও আসে। সে জন্য আমাদের তৈরি হতে হয়। দিনগুলো যেন আরও রঙিন হয়ে ওঠে জীবনযাপন আর উৎসব উদ্যাপনের জন্য। তা কি সাদামাটা হবে? মোটেই না। আমাদের খাদ্যসংস্কৃতির চলিষ্ণুতায় ভোজন এক বিশেষ রূপ পরিগ্রহ করে উৎসবে। তা বিশেষ খাবারের মতো তৈজসের সৌন্দর্যে স্পন্দিত হয়ে ওঠে। প্রাসঙ্গিকভাবেই এবারের ক্যানভাসে মূল রচনা তৈজসের কারুকাজ। এই শিল্পাঙ্গিকের মধ্যে অনেক আগে থেকেই মানুষের রুচি ও সৌন্দর্যবোধের প্রকাশ ঘটে চলেছে। বাসনকোসনের নকশা এবং গড়নে কালে কালে এসেছে রূপান্তর। উপকরণেও যুক্ত হয়েছে মাটি থেকে পাথর, ধাতু, সিরামিক, প্লাস্টিক এমনকি উদ্ভিজ্জ তন্তু। এসব বিবেচনায় প্রধান রচনার পাশাপাশি পত্রস্থ হয়েছে ধাতব বাসনকোসন, মৃৎপাত্র, জৈবতৈজস নিয়ে নিবন্ধ। রাখা হয়েছে ডাইনিংয়ে পাত্র, চামচ বা ছুরির ব্যবহারবিধি-সম্পর্কিত রচনা। এ সংখ্যার পোর্টফোলিতেও স্থান পেয়েছে আটটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি তৈজসপত্র থেকে বাছাই করা এমন সব সামগ্রী, যেগুলো নতুন ও আকর্ষণীয়। ট্রেন্ডি তো বটেই। এই পোর্টফোলিও আপনাদের কিচেন ও ডাইনিংয়ের সম্ভারে যোগ করবে নতুন এক মাত্রা। তাহলে পাতে কী থাকছে এবার? মাংসের পিঠা, সবজি মাংস, চকলেট মাংস, মাংসের স্যুপ, হাড়ের উপকারিতা ইত্যাদির আয়োজন বাড়িয়ে তুলবে উৎসবের আমেজ।
এ সংখ্যার ফ্যাশন ও বিউটি বিভাগটিও সাজানো হয়েছে আসন্ন ঈদ উদ্যাপনের বিভিন্ন বিষয় দিয়ে। যেমন সিরামিক জুয়েলারি, সিরামিক ইয়ার্ন, মুক্তাকথন, ভিটিলিগো, মারমেইড হেয়ার, রিমুভিং স্পেক মার্কস, মনোডোজিং, ময়শ্চার স্যান্ডউইচ ইত্যাদি।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সুন্দর থাকুন।