দেশের সঙ্গিতাঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একমাত্র এআই আর্টিস্ট আইজাক-এর প্রথম অ্যালবাম ‘কৃত্রিম জগত’ মুক্তি পেয়েছে। অনন্য এই প্রজেক্টের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন কানাডা প্রবাসী এআই-প্রেমী কাজী আহমেদ। অ্যালবামে আটটি গান রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি গানের কম্পোজিশন দুই দশক আগে ব্যান্ড ইউ-টার্ন এবং অল্টারনেশন নামক ব্যান্ডের সাথে করেছিলেন কাজী আহমেদ। জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে সেই গানগুলোকে এবার বাস্তবরূপে প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যালবামে প্রতিটি কন্ঠ এবং বাদ্যযন্ত্র এআই প্ল্যাটফর্ম ‘সুনো’ ব্যবহার করে যত্নের সাথে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় গানের লিরিক্সকে একটি নির্দিষ্ট আকার ও স্টাইলে সাজানো হয়। কাজী আহমেদ প্রতিটি ট্র্যাককে ৩০-৩৫টি ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করেন এবং এআই প্ল্যাটফর্ম ‘লালাল’-এর মাধ্যমে আলাদা ট্র্যাকগুলোকে সমন্বিত কম্পোজিশনে সাজান।
নতুন অ্যালবাম নিয়ে কাজী আহমেদ বলেন, “একটি সারপ্রাইজ ট্র্যাক বাদে এই অ্যালবামের বাকি গানগুলো সম্পূর্ণরূপে সুনো এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে৷ প্রতিটি কণ্ঠ, সুর, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্য তৈরি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া আমার মতো নতুনদের সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।”
এআই এবং আমাদের বাস্তব জগতের সমন্বয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে অ্যালবামের নাম ‘কৃত্রিম জগত’ রাখা হয়েছে। অ্যালবামের মূল আকর্ষণ এআই আর্টিস্ট আইজাক। নামটি স্যার আইজ্যাক নিউটন-এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিস্বরূপ রাখা হয়েছে। কাজী আহমেদ ২০০০ দশকের শুরুতে আর্টসেল, ব্ল্যাক, ক্রিপ্টিক ফেইট-এর মতো আইকনিক ব্যান্ডস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ যাত্রা শুরু করেন। বরাবরই তিনি দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে ভূমিকা রাখতে চেয়েছেন, এবং ২০০১-২০১০ সালের মধ্যে তিনি অসংখ্য গানও লিখেছেন, যার মধ্য থেকে ৭টি গান এই অ্যালবামে জায়গা করে নিয়েছে।
সম্প্রতি, সুনো এআই-এর মাধ্যমে কাজী আহমেদ তার লিখা গানগুলো প্রকাশের সম্ভাবনা দেখতে পান। তিনি বলেন, “এই গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে শেয়ার করার অনুভূতি অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক। শ্রোতারা গানগুলোর আবেগ, অর্থ ও সৌন্দর্য বুঝতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।”
‘কৃত্রিম জগত’ অ্যালবামটি স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক এবং ইউটিউব মিউজিকে পাওয়া যাচ্ছে।
ফুয়াদ/ক্যানভাস অনলাইন