রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে সম্প্রতি ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ। ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। গত শনিবার (১১ নভেম্বর ২০২৩) ফিলিপাইনের ম্যানিলার মেট্রোপলিটন থিয়েটারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।
করভি রাকসান্দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চেয়ারম্যান, তৃতীয় অরেলিও আর. মন্টিনোলা এবং সিনেটর রামোন বি. ম্যাগসেসে, জুনিয়র। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ২০০২ সালের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য ভেনারেবল পমনিয়ান সুনিম। সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডি খ্যাত লিজা অ্যারানেতা-মার্কোস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, জাগো ফাউন্ডেশনের দূরদর্শী নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন করভি রাকসান্দ। জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল এবং ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রামটি তারই অধীনে পরিচালিত হয়। ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সংগঠনে বর্তমানে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। অন্যদিকে, জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বলে রাখা ভালো, রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারকে ‘এশিয়ার নোবেল’ বলা হয়। এ পুরস্কার সারা এশিয়া মহাদেশে সমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত মোট ৩৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই কাতারে এবার যোগ দিলেন বাংলাদেশ থেকে রাকসান্দ।
এ বছর বিভিন্ন বিভাগে মোট চারজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশের করভি রাকসান্দ-সহ আরও রয়েছেন ভারতের রবি কান্নান আর., ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল-ফেরার, এবং পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস। এই বছরেই, ৩১ আগস্ট সকালে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর এই নামের সারিতে বাংলাদেশের রাকসান্দ স্থান করে নেন সামাজিক এবং স্থিথিশীল উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রামোন ম্যাগসেসের স্মরণে ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড প্রবর্তন করে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। নিষ্ঠা, সাহস ও আত্মত্যাগের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে যারা এশিয়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই পুরস্কারের আয়োজন।
- সারাহ্/ অনলাইন ডেস্ক