জাপানিজ অ্যানিমেকে অনেকেই কার্টুন ভেবে ভুল করে থাকেন। আসলে এটি জাপানের বড় একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। গত প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়েছে মন মাতানো সব অ্যানিমে সিরিজ। অ্যানিমেশন বলে অনেকে এই অ্যানিমেগুলোকে শিশুদের জন্য বানানো ভেবেও ভুল করে থাকেন। আসলে জাপানি অ্যানিমেশন এখন বয়স, লিঙ্গ, জাতির সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে সবার বিনোদনের উৎস হিসেবে। ১৯০০ সালের দিকে জাপানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্মলগ্ন থেকে অ্যানিমের যাত্রা শুরু। গত একশো বছরের যাত্রায় অ্যানিমে জাপানের প্রধান একটি সাংস্কৃতিক শক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছে। জাপানে বিখ্যাত অ্যানিমেশন সিনেমা যেগুলো, সর্বকালের সেরা তালিকাতেও তাদের নাম পাওয়া যাবে।
অ্যানিমেশন সিনেমায় সাধারণ সব কথোকপনে লুকিয়ে আছে গোপন আর গভীর বার্তা। এই যে ‘মোমোতারোস ডিভাইন সী ওয়ারিয়র্স’ চলচ্চিত্রের কথাই ধরা যাক। পরিচালক ওসামু তেজুকা জাপানি রূপকথা মোমোতারোকে সিনেমার পর্দায় তুলে আনলেন। ছোট্ট মোমোতারো দৈত্যদের সাথে লড়াই করতে যায়। আসলে এটি ছিল বিশ্বযুদ্ধে জাপানের তরুণ প্রজন্মকে অংশ নেওয়ার আহ্বান। অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় জাপান পৃথিবীকে কম কিছু দেয়নি। ওসামু তেজুকা তো কেবল শুরু! এরপর হায়াও মিয়াঝাকি, ইসাও তাকাহাতা, কাতসুহিরো ওতমো- এমন আরও কত নামই রয়ে গেছে বাকি। হালের আরেকটি জনপ্রিয় ছবি ‘মাই হিরো একাডেমিয়া ম্যাঙ্গা’। এ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া এই সিরিজের দুটি ছবি জাপানে দারুণ সাড়া পেয়েছে। মন জিতে নিয়েছে জাপানের বাইরের বিভিন্ন দেশের দর্শকদেরও। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সিরিজের তৃতীয় ছবি ‘মাই হিরো একাডেমিয়া: ওয়ার্ল্ড হিরোস মিশন’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাপানের জনপ্রিয় নির্মাতা কেনিজ নাগাসাকি। যথারীতি এ ছবিটিও বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে দর্শকরা। জাপানের পর গেল অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সেখানেও আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া গেছে বলে বক্স অফিস রিপোর্টে জানা যায়। এবার বাংলাদেশে আসছে ‘মাই হিরো একাডেমিয়া: ওয়ার্ল্ড হিরোস মিশন’। ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে এ ছবি। ৯ ডিসেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সর মহাখালী এসকেএস টাওয়ার শাখায় ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ।