চলছে সব্যসাচী হাজরার ‘ব্রাহ্মী টু বাংলা’ প্রদর্শনী। ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে। সেখানে একই সঙ্গে একইসঙ্গে প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে তার তৃতীয় প্রকাশনা ‘অ-ইন দ্য কোয়েস্ট অফ বাংলা টাইপোগ্রাফি’। এই প্রদর্শনী ও প্রকাশনার মূল উপজীব্য হলো অক্ষরবিন্যাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা হরফকে নান্দনিক ও ব্যবহারিকভাবে বিশ্লেষণ।
১৪ জুন মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনী শেষ হবে ২৫ জুন। চলবে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ও শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর, শিল্পী অভিনেতা আফজাল হোসেন এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ।
আয়োজকরা বলেছেন, ‘মুখের ভাষার মতো লেখার হরফও প্রতিনিয়ত রূপ বদলায়। সময়, প্রযুক্তি, মাধ্যম, প্রয়োগ, বৈষয়িক বোঝাপড়া ও নন্দনতাত্ত্বিক নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভিন্নতা পায় হরফের আদল ও ব্যঞ্জনা। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবনে হাতে লেখার প্রয়োজন সীমিত হয়ে আসছে। কিন্তু হস্তাক্ষর ও লেখাঙ্কনের অনুশীলন অক্ষরবিন্যাস সংশ্লিষ্টদের জন্য খুবই জরুরি। মুদ্রিত বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপ বিগতকালের হস্তাক্ষরের অনুকরণেই গৃহীত। অক্ষরবিন্যাসের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা নিয়ে চর্চার প্রয়োজনে বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপকে প্রকৃতভাবে চেনা, জানা ও আত্মস্থ করার তাগিদে এই প্রয়াস।’
সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘গ্রন্থটির বিষয়বস্তু হলো মুদ্রিত বাংলা হরফ। মূলত প্রমিত বাংলা হরফের পরিক্রমা দেখানো হয়েছে এখানে। আমি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা প্রচণ্ডভাবে অনুপ্রাণিত। এই বই এবং প্রদর্শনী ১৯৫২ সালের সব ভাষা শহীদ এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।’