সম্প্রতি দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ তার ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘সেলার সামিট ২০২৫’ সফলভাবে আয়োজন করেছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সহস্রাধিক বেশি বিক্রেতা অংশীদার, শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এবং শিল্পে অগ্রগামী ব্যক্তি একত্রিত হয়। ‘হ্যাপি সেলিং’ থিমের ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত এই সম্মেলন দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে, ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসকে আরও শক্তিশালী করতে দারাজের ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনী পরিকল্পনাসমূহ উন্মোচন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্মেলনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল দারাজের নতুন ঘোষণা। বর্তমানে দুই শতাধিক শীর্ষস্থানীয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে দারাজ কাজ করছে। শিগগিরই এই সংখ্যা ৫০০-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি, দারাজ বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে একটি ‘ওয়ান-স্টপ সলিউশন’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোকে সহস্রাধিক ইনফ্লুয়েন্সার ও অ্যাফিলিয়েটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যাদের সার্বিকভাবে ৫০ লক্ষের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। এই প্রচেষ্টা বিক্রেতাদের জন্য তাদের পণ্যগুলোকে আরও বিস্তৃতভাবে ক্রেতাদের কাছে প্রচার এবং ব্যবসার প্রসারে একটি নির্বিঘ্ন উপায় সরবরাহ করবে।
দারাজ তাদের আসন্ন মেগা ক্যাম্পেইন ৯.৯, ১০.১০ ও ১১.১১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়, যেখানে বিক্রেতারা তাদের বিক্রি দ্বিগুণ করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনগুলো দারাজের শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পরিষেবা এবং দারাজ মার্কেটিং সলিউশনস (ডিএমএস)-এর মতো টুলসের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিক্রেতাদের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য মূল সুযোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
সেলার সামিটে প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ড পার্টনারকে সম্মাননা জানানো হয়। এর মধ্যে ডেটল ‘সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে; লটো, হেয়ার এবং রিয়েলমি যথাক্রমে প্লাটিনাম, গোল্ড এবং সিলভার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়। ডিএমএস সুপারস্টার অ্যাওয়ার্ড পায় টেটন এবং ওয়েলেসিয়াকে বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়। শপ্রোবিডি ‘বেস্ট চয়েস সেলার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে এবং ইউনিলিভার ‘বেস্ট চয়েস ব্র্যান্ড পার্টনার’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সবশেষে, টিভি হাট অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, নিউ উদয় ইলেকট্রনিক্স, রিস্ট ওয়াচ, ফার্নিচার প্লাস, লুক শপ বিডি, গ্যালাক্সি হেলথকেয়ার, মুড স্ট্রিংস এবং বাটা ‘মার্কেটপ্লেস লিডার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি, ই-ক্যাবের প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের সমন্বয়ক মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, ‘দারাজ শুধু একটি মার্কেটপ্লেস নয়, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্সের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম তৈরি করছে। বিক্রেতা, ব্র্যান্ড এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোকে (এসএমই) ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দারাজ দেশের অনলাইন অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে।’
দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দারাজ গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বেন ই বলেন, ‘আলিবাবা ইকোসিস্টেমের ২০ বছরেরও বেশি ই-কমার্স দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে, দারাজ বাংলাদেশে গ্রাহক, ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতাদের জন্য অভিজ্ঞতাকে ক্রমাগত উন্নত করছে। প্রযুক্তি, লজিস্টিকস ও মার্কেটিং সলিউশনসে চলমান বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আরও বড় প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে দারাজ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের স্বার্থে বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড অংশীদারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: দারাজ বাংলাদেশ-এর সৌজন্যে

