বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন বিউটি রিটেইলার সাজগোজের উদ্যোগে ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয় ফেঞ্চুগঞ্জের শতবর্ষী কাসিম আলী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ সময় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এস এম জাহিদুর রহমানের উদ্যোগে কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ ও গার্লস ফ্যাসিলিটিজ কর্নারের যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম জাহিদুর রহমান, সাজগোজ-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা সরদার মোহাম্মদ মিলকী মাহমুদ, সাজগোজ-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সিনথিয়া শারমিন ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ নূরুল হুদা, ডা. তাসলিমা জাহান চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম মানিক, পিপিএম হাইস্কুলের শিক্ষক দিলরুবা মাহমুদ এবং সূচনা প্রকল্পের পুষ্টি কর্মকর্তা রোকশানা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল জাবিদ।
সাজগোজ-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা সরদার মোহাম্মদ মিলকী মাহমুদ বলেন, কাসিম আলী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সাজগোজ ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করবে সারা বছর। এ ছাড়া কিশোরীদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদানেও সহায়তা করবে। আমরা এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই।
সরদার মোহাম্মদ মিলকী মাহমুদ জানান, বন্ধু ইউএনও জাহিদুর রহমান জুয়েল যখন তার এই মহৎ উদ্যোগের কথা জানান, তখনই বন্ধুর সঙ্গে স্বেচ্ছায় এই উদ্যোগে যুক্ত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কাসিম আলী স্কুলের ছাত্রীদের জন্য ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা ও ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামসহ আরও উদ্যোগ নিয়ে সাজগোজ ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এস এম জাহিদুর রহমান জুয়েল জানান, তিনি তার এলাকার এমপি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি স্যারের) কাছ থেকে পেয়েছেন অকুণ্ঠ সমর্থন। পাশাপাশি উপজেলার সব অফিসাররাও স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন তার এই কর্মযজ্ঞে। শুধু মহিলা অফিসারদের নিয়ে গঠন করে দিয়েছেন একটি আলাদা মনিটরিং টিম, যেন মেয়ে শিক্ষার্থীরা কোনো সংকোচ বোধ না করে।
ইউএনও এ এস এম জাহিদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই পাইলট প্রজেক্ট সফল ও সার্থক হবে। যদি কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে, তবে এটি আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আমি স্বপ্ন দেখি ফেঞ্চুগঞ্জের প্রতিটি স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় এই রকম সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ গার্লস ফ্যাসিলিটিজ কর্নার থাকবে। আর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা হবে সারা দেশের জন্য একটি রোল মডেল।