হরাইজন
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ফ্যাশন শোতে আসমা সুলতানা
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ করেন আসমা সুলতানা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মাল্টিব্র্যান্ড আউটলেট এক্সট্যাসি এবং এর সহযোগী ব্র্যান্ড জোয়ান অ্যাশ অ্যান্ড জারজেইনের প্রধান ডিজাইনার হিসেবে। ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ফ্যাশন শো নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাশন শোর উদ্দেশ্য হলো আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস তৈরি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর দুটি রেকর্ড গড়েছে আয়োজনটি। একটি হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ফ্যাশন শোর আয়োজন করা। অপরটি সবচেয়ে বেশি দেশের মডেলদের অংশগ্রহণ।’ আসমা জানান, মাদ্রিদের একটি বিলাসবহুল ক্যাসিনোতে আয়োজিত এবারের অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৭৫টি দেশের নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার ও ৪০০ মডেল অংশগ্রহণ করেছেন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এ কারণে নিজেকে গর্বিত মনে করেন।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্ট নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে অংশ নেন আসমা সুলতানা। এরপর সেখান থেকে তিনি প্যারিসের আরেকটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ইভেন্টে যোগ দেন। সেখানে অবস্থানকালেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পান তিনি।
সামার ক্যাপসুল কালেকশন
নতুন সামার কালেকশন নিয়ে হাজির হচ্ছে বিখ্যাত স্প্যানিশ ফ্যাশন ওয়্যার ব্র্যান্ড মাসিমোদ্যুতি। এই লিমিটেড এডিশন ক্যাপসুল কালেকশন বাজারে আসছে ব্র্যান্ডটির স্প্রিং-সামার ২০১৯ কালেকশন হিসেবে। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন ব্র্যান্ড মাসিমোদ্যুতির নামটি ইতালিয়ান হলেও আদতে এটি একটি স্প্যানিশ ব্র্যান্ড। যার সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইনডিটেক্স গ্রুপের মাধ্যমে। প্রডাক্ট আউটলাইনে সব ধরনের ফ্যাশন অনুষঙ্গ থাকলেও ব্র্যান্ডটি মূলত ওমেন্স ওয়্যার এবং মেন্স ওয়্যারের জন্যই বিখ্যাত।
নতুন এই ক্যাপসুল কালেকশনে রয়েছে নারী ও পুরুষের বিভিন্ন সামার আউটফিট। এগুলোর ডিজাইন ও বুননে ব্যবহৃত হয়েছে ক্ল্যাসিক প্যাটার্ন। যেন পোশাকগুলো প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবন, ছুটির দিন বা অবসর—সব সময়ই মানিয়ে যায়। এগুলোয় ব্যবহৃত হয়েছে লিনেন, সিল্ক ও কটন। আর বিভিন্ন প্রাকৃতিক, ভাইব্রেন্ট, মেরিন ও খাকি রঙ। এগুলো খুব সহজেই পোশাকে স্নিগ্ধতা এনে দেয়। ব্র্যান্ডটির এক মুখপাত্রের ভাষ্য, নতুন এই কালেকশনের পোশাকগুলো খুব আরামদায়ক এবং কিছুটা লং ধাঁচের। খানিকটা ঢিলেঢালা ফিটিং এনে দেবে ভিন্ন ধাঁচের লুক। নতুন এই সামার ওয়্যারড্রবে রয়েছে লাইট ওয়েট হাই ওয়েস্টেড ট্রাউজার, শর্টস, জ্যাকেট, ক্যামিসোল, টি-শার্ট, অল ইন অল নেভি জাম্পস্যুট ইত্যাদি। সব পোশাকে ব্যবহৃত হয়েছে পরিবেশবান্ধব কাঁচামাল।
জিভাঁশির নতুন মুখ
বর্তমান ফ্যাশন বিশ্বের আলোচিত দুটি শব্দ ট্রেন্ডসেটার এবং ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার। অর্থাৎ যারা ফ্যাশনকে প্রভাবিত করে। যাদের হাত ধরে সৃষ্টি হয় নতুন নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড। আমেরিকান গায়িকা ও অভিনেত্রী আরিয়ানা গ্রান্ডে এমনই একজন। সম্প্রতি ২৫ বছর বয়সী এই ‘ফ্যাশন গডেস’ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডার হিসেবে যুক্ত হতে যাচ্ছেন বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ লাক্সারি ব্র্যান্ড জিভাঁশির সঙ্গে।
ফ্যাশন ও স্টাইলিংয়ের জগতে জিভাঁশি বেশ আলোচিত। লাক্সারি প্রডাক্ট এবং সুগন্ধি ও পারফিউমের জন্য প্রসিদ্ধ এই ফরাসি ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু ১৯৫২ সালে। ডিজাইনার জিভাঁশির হাত ধরে। বর্তমান অঘোষিত রীতি অনুযায়ী বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর হাল ধরে আছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি, গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সাররা। এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই জিভাঁশিও। বিভিন্ন কালেকশনের আইকন ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডার হিসেবে ব্র্যান্ডটি এখন পর্যন্ত নিয়োগ করেছে কিম কার্দাশিয়ান, বিয়ন্সে, নাওমি ক্যাম্পবেল, ম্যাডোনার মতো সেলিব্রিটিদের। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সাবেক ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর রিকার্ডো টিসকির। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ক্লেয়ার ওয়াইট কেলার নতুন ফল কালেকশনের আইকন হিসেবে ঘোষণা করেছেন আরিয়ানা গ্র্যান্ডের নাম।