ফিচার I কাস্টমাইজড শুজ
নিজের পছন্দমতো জুতা ব্র্যান্ডের কালেকশনে পাওয়া না গেলে অনেকেই হাজির হন কাস্টমাইজড জুতার দোকানে। আবার কেউ আছেন এমন জুতাই পরেন। কোথায় সেই দোকানগুলো? লিখেছেন শিবলী আহমেদ
ফি বছরই ফ্যাশনে আসে নতুনত্ব। পুরোনোকে ঝেড়ে সাজসজ্জায় এ বছরও কিছু যোজন-বিয়োজন হয়েছে। ইকোফ্রেন্ডলি ফ্যাশনে ঝুঁকেছে বিশ্ব। পোশাক, জুতা ও ফ্যাশনের অন্যান্য অনুষঙ্গেও তাই। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, শীতপ্রধান দেশগুলোতে এবার ঠান্ডা জেঁকে বসবে। তাই জুতা তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোও শীত ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। পালকের আবরণে ঢাকা হয়েছে জুতার টপ। এ ছাড়া হিলের চারপাশে আঁটা পালক উষ্ণতা ছড়াবে। দেখতেও চমৎকার। চলতি বছরে জুতার ট্রেন্ডের মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য। তবে ফিতার চল উঠে যাবে না এ বছর। আড়াআড়ি ফিতায় নকাশাদার জুতাও হালের ট্রেন্ড। সারা বছরই ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়াবে ফিতার জুতা। যদিও এর আগে অনেকবার এটি ট্রেন্ডি ছিল।
ট্রেন্ড ধরে রেখেছে এমব্রয়ডারিও। চামড়া কিংবা কাপড়ের উপর এমব্রয়ডারির জটিল নকশা জুতার ফ্যাশনে নতুনত্ব এনেছে এ বছর। বুটের উপরেও এমন কাজের জুতা চলছে। এবারের ট্রেন্ড স্কাল্পচার হিলস। বোঝা যাচ্ছে, প্লেন হিলের দিন ফুরিয়েছে। এর বদলে হিলের উপর থাকবে কারুকার্য। ভাস্কর্যের মতো। অফিস কিংবা পার্টিতে, উভয় স্থানের জন্যই প্রযোজ্য এ ধরনের জুতা। জিনস ও টি-শার্টের সঙ্গে মানিয়েও যাবে বেশ। ট্রেন্ড ধরে রাখছে বাকলসও। অর্থাৎ, চিকন হিল ছাড়াও মোটা হিল পরতে পারবেন। নারীর ফ্যাশনকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাকলস। জুতায় নটিক্যাল ভাইবস আপনাকে করতে তুলবে ফ্যাশন ডিভা। এটিও হালের ট্রেন্ড। কাপড়ের ফিতা কিংবা চামড়ার বদলে দড়ির ব্যবহার এ ধরনের জুতাকে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। ফ্লোয়িং ড্রেস ও স্কার্টের সঙ্গে মানিয়ে যায় নটিক্যাল ভাইবস। একটু উজ্জ্বল রঙে যাদের আসক্তি, তাদের জন্য এ বছরের ট্রেন্ড ব্রাইড চাংকি স্নিকার। বিশ্বে এবারের ফ্যাশন ট্রেন্ড এগুলোই। দেশ-বিদেশ থেকে এসব জুতা কিনতে পারেন অথবা দেশের ভেতরে কাস্টমাইজ করে বানাতে পারেন।
ঢাকায় কাস্টমাইজড জুতার কিছু ‘হাব’ গড়ে উঠেছে। যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে ধানমন্ডি ১৫-এর জুতার দোকানগুলো। একই রকম বাজার গড়ে উঠেছে মিরপুর ২ নম্বর কাঁচাবাজারের পাশেও। মাধব শুজ অ্যান্ড লেদার কালেকশন, এসপি শুজ, মায়ের আশীর্বাদ, নিউ উপমা সজল শুজ অ্যান্ড লেদার কালেকশন, বিশ্বনাথ শুজ, নিউ লিবার্টি শুজ, ভাই ভাই শুজ, লেদার পয়েন্ট, ফাহিদা শুজ, নিউ বৈশাখী শুজসহ বেশ কিছু জুতার দোকান আছে সেখানে। এসব দোকানে রেডিমেড জুতাও আছে। একই চিত্র দেখা যায় ধানমন্ডি ১৫-তে। যেটা বর্তমানে ধানমন্ডি ৮। বাসস্ট্যান্ডে নেমে কিছুটা পশ্চিমে গেলেই এক সারিতে চোখে পড়বে মারিয়া শুজ, জোনাকি শুজ, এ এস ফুটওয়্যার, মাইওয়ান, গোলাপ শুজ, বাবুল শুজ, নিউ বাবুল শুজ, নিউ সঞ্জীব শুজ, ভিআইপি শুজ, পাপ্পু শুজ, রিমঝিম শুজ, রোড স্টার শুজ, আরাফাত শুজ, সেভেন স্টার শুজ ও জনি শুজ। মিরপুর ২ নম্বরের মতোই এখানে রেডিমেড জুতার পাশাপাশি কাস্টমাইজড জুতা পাওয়া যাবে।
হালের ট্রেন্ড অনুযায়ী যারা জুতা বানাতে চান, তারা মিরপুর ২ নম্বরে না গিয়ে ধানমন্ডি ১৫-তে গেলে সুফল পাবেন। যাদের তাড়া বেশি, জরুরি ভিত্তিতে জুতা তৈরি করাতে চাইছেন, তাদের জন্য মিরপুর ২ নম্বরই ভালো। যে নকশার জুতা তৈরি করাতে চাইছেন, সেটির ছবি প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে দোকানে। সে ক্ষেত্রে জুতার উপর, নিচ ও পাশ— তিন দিকের ছবি তোলা প্রয়োজন। রঙিন ছবি হলে ভালো হয়। কী ধরনের চামড়া চান, কাঙ্ক্ষিত নকশায় আরও কী কী যুক্ত করতে চান— এই সবকিছু জুতা প্রস্তুতকারীকে বাতলে দিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষার পর ডেলিভারি পাবেন। মিরপুরের মাধব শুজ অ্যান্ড লেদার কালেকশনের রাম দাস, নিউ লিবার্টি শুজের বাদল দাস, ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের জোনাকি শুজের তপু দাস এবং এ এস ফুটওয়্যারের শু ডিজাইনার এস এম বেলাল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল কাস্টমাইজড জুতার আদ্যোপান্ত।
ক্রেতারা যেসব ডিজাইন নিয়ে এসব দোকানে জুতা বানাতে আসেন, সেগুলোর বেশির ভাগই ইংল্যান্ড ও আমেরিকান ডিজাইন। দোকানদারেরাও সেসব ডিজাইন নিয়ে গবেষণা করেন এবং আগেভাগে অনুরূপ ডিজাইনের জুতা তৈরি করে রাখেন। বিদেশি ডিজাইনের জুতার ‘কপি’ কেবল ধানমন্ডিতেই মেলে। মিরপুরে হয় না। সেই কপি শতভাগ মেলে না। এমনকি কাস্টমাইজড করাতে চাইলেও তা শতভাগ অনুরূপ হবে না। একটু এদিক-সেদিক হবেই। শতভাগ কপি করা সম্ভব নয়, এমন কথা জুতা তৈরিকারীরাই বলেছেন। আবার তারা আগে থেকে বিদেশি জুতার যে কপি তৈরি করে রেখেছেন, সেখান থেকেও এক জোড়া জুতা পছন্দ করে তা কাস্টমাইজড করার সুযোগ আছে।
এসব দোকানে গরু ছাড়াও মহিষের চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করা হয়। চামড়া সংগ্রহ করা হয় সাভারের হেমায়েতপুরের ট্যানারি থেকে। খুব ভালো মানের চামড়া চলে যায় বিদেশে। খুব সামান্য কারণে যেগুলো বাতিল হয়ে যায়, সেগুলো সংগ্রহ করেন জুতা তৈরিকারীরা। বাতিল বলতে সেই চামড়া যে মানহীন বা পচা, তা কিন্তু নয়। প্রতি ফুট চামড়া খুব নিখুঁত হতে হয়। ফুটে কোনো দাগ বা সামান্য ছিদ্র থাকলে তা বাতিল হয়ে যায়। সেই চামড়াগুলোই আসে স্থানীয় জুতার বাজারে। সরাসরি নয়। হাজারীবাগের সংগ্রহশালায় আসে।
আর্টিফিশিয়াল চামড়াও আছে। পশুর চামড়া হলেই যে জুতা ভালো ও দামি হবে, তা নয়। এমন অনেক জুতা আছে, যেগুলোর দাম আর্টিফিশিয়াল চামড়া দিয়ে বানানো সত্ত্বেও চামড়ার জুতার দাম বেশি। কেননা, আর্টিফিশিয়াল চামড়ার দাম বেশি। টাসেল শুর কথাই ধরা যাক। এতে চকচকে ভাব আনতে আর্টিফিশিয়াল চামড়ার ব্যবহার অবধারিত। সাধারণ চামড়ায় চকচকে ভাব আসবে না। তাই পার্টি জুতা তৈরিতে আর্টিফিশিয়াল চামড়ার কদর বেশি। এই চকচকে ভাব আনতে চামড়ার উপর লেমিনেশন করতে হয়। এই কাজ হয় চট্টগ্রামে। সেই চামড়াও রপ্তানি হয় বিদেশে। যাদের লিংক-লবিং আছে, তারা চট্টগ্রাম থেকে তা কিনতে পারেন। এ এস ফুটওয়্যারে লেমিনেশন করা চামড়ার টাসেল পাওয়া যায়। তৈরি করিয়েও নেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে দাম হবে প্রায় সাড়ে তিন গুণ। সাধারণ চামড়ার এক জোড়া টাসেলের দাম যেখানে দুই হাজার টাকা, সেখানে লেমিনেশন করা চামড়া দিয়ে তৈরি জুতার দাম পড়বে সাত হাজার টাকা।
এবার আসা যাক সোল তথা জুতার তলার বিষয়ে। দেশের সাভার ও গাজীপুরে জুতার সোল তৈরির কারখানা আছে। চীন থেকে এক প্রকার দানা আসে। নাম পিইউ পাউডার। এটিই সোল তৈরির প্রধান কাঁচামাল। খুচরা ব্যবসায়ীরা সেখান থেকেই সোল-শিট কিনে আনেন। পরে গ্রাহকের পায়ের মাপ অনুযায়ী কেটে নেন। বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের ধুলাবালির কথা চিন্তা করে সোল তৈরিকারীরা কালো রঙের সোলই বেশি তৈরি করেন। তবে অর্ডার বিপুল হলে রঙিন সোলও তৈরি করে দেন তারা।
জুতা সেলাইয়ের জন্য প্রয়োজন বিশেষ সুতা। সেটা পাওয়া যায় সদরঘাটে। ঢাকার প্রায় সব জুতা প্রস্তুতকারীই সুতা আনেন সেখান থেকে। অন্যান্য উপাদান যেমন মেটাল ও বকলেস— এগুলো তৈরি হয় পুরান ঢাকার বংশালে। দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের আঠা ব্যবহৃত হয়। চীনের পিইউ গাম ছাড়াও বাংলাদেশে তৈরি নাহার বন্ড আঠা ব্যবহার করা হয় জুতার জোড়াতালিতে। এ ছাড়া হালকা আঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয় সলিউশন। দোকানিরা জানালেন, মূলত এই আঠা ও সেলাইয়ের উপর নির্ভর করে জুতার স্থায়িত্ব। শক্ত জোড়ায় পিইউ গাম ব্যবহার করেন তারা। এর ব্যয় কিছুটা বেশি। মিরপুর ও ধানমন্ডি, উভয় স্থান থেকে কেনা বা বানিয়ে আনা জুতায় ছয় মাসের ওয়ারেন্টি পাবেন।
মিরপুর ২ নম্বরে জুতা বাজারের উৎপত্তি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের ইতিহাস জানা গেছে। সেখানে জুতার কারবার শুরু হয় মূলত ১৯৮৮ সালে, সঞ্জীব শুজ ও বাবুল শুজের মাধ্যমে। তখন দোকান ছিল না। পথে বসে দুজন ব্যক্তি জুতা তৈরি করতেন। এখানকার সুনাম গোটা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ার পেছনে প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর অবদান আছে। ফ্যাশন-সচেতন এ নায়ক তার পায়ের বুট তৈরি করতেন ধানমন্ডি ১৫ থেকে। পরবর্তীকালে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও এখান থেকে জুতা বানানো শুরু করেন। এভাবেই এ স্থানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
মিরপুর কিংবা ধানমন্ডি— এ দুই স্থানের কোথাও মেয়েদের জুতা তৈরি করা হয় না। কেন? এর উত্তরে বেলাল মাহমুদ জানিয়েছেন, তারা নিজেদের পোশাকের মতোই জুতার ব্যাপারে শৌখিন ও বিলাসী। তাদের জুতায় অনেক কারুকাজের প্রয়োজন পড়ে। আবার খেয়াল রাখতে হয় সেই জুতা যেন হালকা থাকে। এ দুই গুণ অটুট রাখা কিছুটা জটিল। তাই মেয়েদের জন্য বিদেশি জুতাই উপযুক্ত। সেগুলো যেমন বাহারি তেমন হালকা।
কাস্টমাইজড বা রেডিমেড, কোনো জুতার ডিজাইনেরই নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই। শুর ক্ষেত্রে দু-একটি ডিজাইনের নাম আছে। যেমন বেলি চাকোয়া ও নাগিন। বেলি চাকোয়ার আছে দুটি ধরন। শর্ট শেপ ও পয়েন্টেড শেপ। বাজার থেকে জুতা কেনার চেয়ে এসব জুতা বানাতে খরচ পড়বে বেশি। কেননা, বানাতে গেলে নতুন করে প্যাটার্ন কাটতে হয়। একজন শ্রমিককে আলাদাভাবে এক জোড়া জুতার পেছনে সময় দিতে হয়। তবে বেশ টেকসই বলে এগুলোর ক্রেতা মার্কেটিং এক্সিকিউটিভরা। বেলালের ভাষ্য, আমাদের জুতাগুলো যদি প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করেই পরা হয়, তবু তা এক বছর টিকবে।
ব্র্যান্ডের জুতাগুলোর সঙ্গে স্থানীয় জুতার মার্কেটের পণ্যের ফারাক হচ্ছে ফিনিশিংয়ে। ব্র্যান্ডের জুতার ফিনিশিং মেশিনে হয়। স্থানীয় বাজারগুলোতে তা হয় হাতে। মেশিনের ছোঁয়া নেই। তাই বলে ব্র্যান্ডের জুতার চেয়ে এসব স্থানের জুতার চাহিদা মোটেও কম নয়। রোজার মাস থেকে ঈদ পর্যন্ত তাদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না, কাজের চাপে। তবে আর যে ধরনের জুতাই তৈরি হোক না কেন, এসব জায়গায় কেডস তৈরি সম্ভব নয়।
কাস্টমাইজড জুতার একটু ভিন্ন চিত্র দেখা যায় রাজধানীর বনানীতে। যাত্রাবিরতি বিল্ডিংয়ে ফুটলুস বিডি, ১৭ নম্বর রোডের লা মোড এবং ই ব্লকের ১২ নম্বর রোডের ১৪২ নম্বর হোল্ডিংয়ে অবস্থিত ঢাকা বুট বার্ন কাস্টমাইজড জুতা তৈরি করে থাকে। তবে ঢাকা বুট বার্ন সম্প্রতি কাস্টমাইজড জুতা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ম্যানেজার মেহেদি রাসুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এখন তাদের জুতায় অনেক বেশি ভ্যারাইটি আছে। তাই তারা কাস্টমাইজড করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এখানেও পুরুষ ও শিশুদের জুতা পাওয়া যায়। নারীদের নয়। পুরুষের জুতার মধ্যে অক্সফোর্ড, লোফার, চটি ও সেন্ডেল আছে। কেডস নেই। জুতাগুলো হাতে তৈরি। তাদের কারখানা ওয়ারীতে। আলাদা ডিজাইনার কাজ করেন জুতাগুলোর নকশার নেপথ্যে। ডিজাইনাররা কোনো বিদেশি ডিজাইন কপি করেন না। সবই তাদের সৃষ্টি। সোল তৈরি হয় তাদের কারখানাতেই। এ ছাড়া এসব জুতা পিওর লেদার দিয়ে তৈরি। জুতা তৈরিতে মহিষের চামড়াও ব্যবহার করা হয়। পার্টি শুগুলোয় চামড়া ছাড়া অন্য ফ্যাব্রিকও ব্যবহৃত হয়। আসন্ন ঈদের জন্য নতুন ৩০০ জোড়া জুতা তৈরি করে রেখেছেন তারা। হাতে তৈরি জুতা বলে উৎপাদন খরচ কম হয়। এ কারণে তাদের জুতাগুলো ক্রেতাদের ক্রয়সাধ্যের মধ্যেই আছে। ধানমন্ডি, ওয়ারী, মালিবাগ, উত্তরা ও বনানীতে তাদের শাখা আছে।
ঈদ উপলক্ষে সেজেছে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ওরিয়নও। যুক্ত করছে এক হাজারের বেশি নতুন ডিজাইনের জুতা। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স এবং যমুনা ফিউচার পার্ক ছাড়াও ঢাকার বেশ কিছু জায়গায় তাদের আউটলেট আছে।
ছবি: আশরাফুল ইসলাম নিলয় ও ক্যানভাস
মডেল: তর্ষা ও রুপম