ইভেন্ট I ‘ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯’
এশিয়ান মডেল ফেস্টিভ্যাল ২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ায়। আগামী জুনে। এতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের মডেলরা। লিখেছেন শিবলী আহমেদ
ফ্যাশনের কোনো সীমা নেই। এটি সব স্থানের, সবার। ফ্যাশন প্রকাশের একটি মাধ্যম হচ্ছে মডেলিং। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠেয় ‘এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল ২০১৯’-এ অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। প্রয়োজন ছিল উপযুক্ত কজন মডেলের। সেই উদ্দেশ্যে যাচাই-বাছাই ও গ্রুমিং শেষে নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচজন। ‘ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।
ফেস অব বাংলাদেশ-এর আয়োজক ক্রসওয়াক কমিউনিকেশন। এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মারুফের ওপর ন্যস্ত ছিল এ মহাযজ্ঞের ভার।
ফেস অব বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গেলে শুরু করতে হবে ২০১৭ সাল থেকে। এশিয়ান মডেল ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ থেকে মডেল নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিল কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান করবান। এর তরফ থেকে খোঁজা হয়েছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি, যার হাতে পুরো ব্যাপারটি সঁপে দেওয়া যায়। খুঁজে পাওয়া গেল এম এ মারুফকে।
মারুফের প্রয়োজন ছিল এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালের আদ্যোপান্ত জানা। ২০১৮ সালে তিনি কজন সহযোগীসহ যান কোরিয়ার ফেস্টিভ্যালে। এটি ছিল একটি পাইলট প্রজেক্ট মাত্র। সঙ্গে নেন বাংলাদেশি মডেল স্মরণ রহমানকে। সরেজমিনে দেখে পুরো বিষয়টি নখদর্পণে নিয়ে আসেন মারুফ। ফিরে এসে ২০১৯-এর প্রতিযোগিতার জন্য আটঘাট বাঁধতে শুরু করেন। শুরুতে এখানে-সেখানে ধরনা দিয়েও মিলছিল না পৃষ্ঠপোষক। স্পন্সর ছাড়াই সাহস নিয়ে মাঠে নেমে যায় মারুফের প্রতিষ্ঠান ক্রসওয়াক। এর পরপরই সাড়া দেয় স্যান্ডালিনা। সঙ্গী হয় পারসোনা, ক্যানভাস ম্যাগাজিন, প্রথম আলো ডটকম, লা মেরিডিয়ান ও এবিসি রেডিও। শুরু হয় ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯-এর পথচলা।
চলতি বছরের ৮ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করেন মডেলরা। আবেদনপত্র তৈরি হয় তিলোত্তমা করে। যাতে একজন মডেলের ক্ষুদ্রতম বৈশিষ্ট্যের তথ্যও উঠে আসে। হোক তা বাহ্যিক কিংবা অভ্যন্তরীণ। আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে মেয়েদের উচ্চতা চাওয়া হয় পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি। ছেলেদের ছয় ফুটের ওপর। এ ছাড়া কার ট্যাটু আছে কার নেই, কার পিয়ার্সিং আছে কার নেই, চোখ ও চুলের রঙ, চুলে ডাই করা আছে কি না, এসব তথ্যও চাওয়া হয়েছিল। মাত্র ১০ দিনে পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। শুরু হয় প্রাথমিক বাছাই। ভুল তথ্য প্রদানকারীরা বাদ পড়েন প্রথমেই। পরে শতভাগ সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় ৩০ জন ছেলে ও ৩০ জন মেয়েকে। তাদের ডাকা হয় ইন্টারভিউতে। দুদিন ধরে ইন্টারভিউ চলে। ২১ ও ২২ মার্চ। নগরীর সীমান্ত স্কয়ারে। সেখানে চারটি সেগমেন্টে মডেলদের বিচার করা হয়। ওভারঅল লুক অ্যান্ড ফিটনেস, ফটোজেনিসিটি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও ইন্টেলিজেন্সি।
প্রতিটি সেগমেন্টে তিনজন করে বিচারক ছিলেন। ওভারঅল লুক অ্যান্ড ফিটনেসে স্কিন হেয়ার অ্যান্ড মেকআপের জাজ ছিলেন নুজহাত খান দিশা, অ্যাপিয়ারেন্স অ্যাজ পার এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল গাইডলাইনে পার্ক বিউম সু, হাইট, ওয়েট অ্যান্ড ওভারঅল ফিটনেসে মোমিন এইচ রন। ফটোজেনিসিটিতে ক্যামেরা অ্যাপিয়ারেন্সের জাজ ছিলেন যৌথভাবে রিয়াদ আশরাফ ও রফিক রাফ, পোজিং দেখেছেন মুকুল, এক্সপ্রেশনের জাজমেন্ট করেছেন রেদওয়ান রনি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজে ওয়াক-এর জাজ ছিলেন বুলবুল টুম্পা, পশ্চার দেখেছেন যৌথভাবে উর্ফি আহমেদ ও আজরা মাহমুদ। লাইফস্টাইল অ্যান্ড ফ্যাশন সেন্স-এর জাজ শাহরুখ আমিন। ইন্টেলিজেন্সে কমিউনিকেশন স্কিলের জাজ ছিলেন গাজী শারমিন। কনফিডেন্স দেখেছেন যৌথভাবে মুনির হাসান ও প্রীত রেজা। ওভারঅল প্রেজেন্টেশনের জাজ ছিলেন শিমু নাসের। তিনটি সেগমেন্টে ১২টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০০ নম্বর ছিল। জাজমেন্ট শেষে সেখান থেকে ১২ জন ছেলে এবং ১২ জন মেয়ে নির্বাচিত হন। মূলত ১০ জন করে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে ১২ জন করে নির্বাচন করা হয়েছে। কেননা, অনেক সময় নির্বাচিত মডেলদের নানা প্রতিবন্ধকতা, যেমন পরীক্ষা কিংবা পারিবারিক অসম্মতিসহ আরও অনেক বাধা আসে। বিড়ম্বনা এড়াতেই ১২ জন করে নেওয়া হয়। তারপর ২৪ জন মডেলকে পাঠানো হয় গ্রুমিংয়ে।
গ্রুমিং সেশন বেশ কঠিন। কঠোর রুটিনে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে গ্রুমিং হয়েছে তাদের। সেখান থেকে মোট চারজন ঝরে পড়েন। অবশিষ্ট ছিল ১০ জন ছেলে এবং ১০ জন মেয়ে। তারা হলেন শিরিন শিলা, তাহমিদ আরেফিন হক, সাহেলা মজুমদার নিধি, অমিত রায়, জয়নব আলম জুঁই, রাইয়ান খান, মানসী কান্তা সরকার, মারুফ রহমান, রেবেকা সুলতানা, হাসনা শাখওয়াত, কেয়া, রোমান ইসলাম, আইরিন হোসেন, ফয়সাল আহমেদ, রুবায়াত তাসনিম প্রীতি, শাহরিয়ার তানভীর, তামান্না ইসরাত সোহানী, মেহেদী হাসান পলাশ, নাইমা খন্দকার সোনাম ও নিহাল মোফাসসাল।
২৭ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছে গ্রুমিং পর্ব। শুরু হতো প্রতিদিন সকাল সাতটায়। চলতো বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তাঁদের প্রত্যেকের ডায়েট অনুযায়ী আলাদা খাবার দেওয়া হতো। দৈনিক তিনবার। এমনকি মডেলদের বাসায় গিয়েও দেখা হয়েছে যে তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে খাচ্ছেন কি না। ডায়েট কনসালট্যান্ট ছিলেন মোমিন এইচ রন। এক্সিকিউট করেছে পারসোনা। পারসোনা হেলথও যুক্ত ছিল। মেয়েদের হেলথ-ওয়েলনেসের দেখভাল করেছে পারসোনা।
গ্রুমিং পর্বে ছিল ২০ নম্বর। সেখানে মডেলদের ডিসিপ্লিন, অ্যাডাপ্টেবিলিটি অব নলেজ, কথা বলার ধরন, আচার-আচরণ, মডেল কতটা স্বতঃস্ফূর্ত, কতটা রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড— এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়েছে।
ফেস অব বাংলাদেশের গ্রুমিং পার্টনার ছিল আজরা মাহমুদ গ্রুমিং অ্যান্ড কাস্টিং স্টুডিও। মডেলদের গ্রুমিং নিয়ে আজরা মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি একজন পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করতে যেসব জিনিস প্রয়োজন পড়ে, গ্রুমিংয়ের মাধ্যমে সেগুলো দিতে। শুধু বাহ্যিক দিকগুলোই নয়, এক্সপ্রেশন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, পশ্চারের জায়গাতেই আমরা সীমিত ছিলাম না। ভেতর থেকে একজন মানুষকে সুন্দর করে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন পড়ে, আমরা সেগুলোর ওপর ফোকাস করেছি। উদাহরণস্বরূপ, পারসোনালিটি ডেভেলপমেন্ট, কনফিডেন্স ডেভেলপমেন্ট, বাচনভঙ্গি— এ রকম অনেক কিছুতেই আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের গ্রুমিং সেশনে অনেক ভালো ভালো শিক্ষক যুক্ত ছিলেন। স্টাইলিশ হিসেবে ছিলেন মাহমুদুল হাসান মুকুল। তিনি কাজ করেছেন এক্সপ্রেশন নিয়ে। ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমিন টিংকু মডেলদের দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে কাপড় পরতে হয়, কার গড়নে কী ধরনের কাপড় মানায়। ইংরেজি টিচার ছিলেন সংগীতা।
সবাই মিলে একজন পারফেক্ট ইনডিভিজ্যুয়াল মডেল তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। যাতে তারা আমাদের দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। এখানে আসা মডেলদের বয়স ২০-এর ঊর্ধ্বে। ২০ বছর ধরে একজন মানুষ যেভাবে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত, তাকে কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহে ভেঙে নতুন করে তৈরি করা কঠিন। হয়তো খুব দ্রুত পরিবর্তন দেখা যাবে না। তবে তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই পরিবর্তন দেখা যাবে। আমরা গ্রুমিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি রাখিনি।’
মডেলদের একটা সেশন ছিল প্রি-স্ক্রিনিং। এটি কোরিয়ানরা করিয়েছেন। প্রতিটি দেশের ইন্টারন্যাশনাল মডেলদের কিছু গাইডলাইন থাকে। তা মেনে প্রি-স্ক্রিনিং করা হয়েছে। মডেলের ওয়েট, ট্যালেন্ট, এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খতিয়ে দেখা হয়েছে স্ক্রিনিংয়ে। সেখানে ছিল ২০ নম্বর।
গ্রুমিং চলাকালেই বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে কথা বলেছে ক্রসওয়াক। মডেলদের পোশাক কারা দেবেন, সেই বিষয়ে কথা হয়েছে। মারুফ বলেন, ‘মডেলদের মনোযোগ ধরে রাখাও অনেক বড় একটা কাজ ছিল। তাদের অন্য কাজ থেকে ফিরিয়ে রেখে গ্রুমিংয়ে লাগিয়ে রাখাটাও ছিল কাজের অংশ।’
২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর লা মেরিডিয়ানে হয়েছে ‘ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। সেদিনই বিচারকদের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত হয় পাঁচ মডেল। বিচারক ছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, মুন ডি জিন, জি ইয়ং য়্যু, সুং কি এবং নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী আব্দুন নূর তুষার। ফিনালেতে বিচারকদের কাছে ছিল ৬০ নম্বর। গ্রুমিং, প্রি-স্ক্রিন এবং ফিনালের দিনে প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে গড় করে রানারআপ ও বিজয়ী নির্বাচন করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হন মারুফ রহমান ও শিরিন শিলা। রানারআপ হন মেহেদী হাসান পলাশ ও সাহেলা মজুমদার নিধি। যদিও সিউলে বাংলাদেশ থেকে চারজন মডেল যাওয়ার কথা ছিল। মডেলদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে কোরিয়ানরা আরও একজনকে নির্বাচন করেন। পঞ্চমজন হচ্ছেন মানসী কান্তা সরকার।
নিজের আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে মডেল মারুফ রহমান বলেন, ‘অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা। খুবই ভালো লাগছে। কারণ, এত দিনের একটা গ্রুমিং সেশনের পর বাংলাদেশের হয়ে ইন্টারন্যাশনাল একটা প্ল্যাটফর্মে পারফর্ম করতে যাচ্ছি। এই অর্জনের জন্য আমার বড় বোন এবং বাবা খুবই খুশি হয়েছেন।’
খুশির ছাপ ফুটে উঠেছিল শিরিন শিলার মুখমন্ডলেও। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিল। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। আমার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।’
রানারআপ মেহেদী হাসান পলাশও ছিলেন উৎফুল্ল। বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে খুবই এক্সাইটেড ফিল করছি। হ্যাঁ, আমার মনের ভেতর ছিল যে আমি পারব। এ অর্জনে আমার বাবা অনেক খুশি হবেন। বাবার অনুপ্রেরণা না থাকলে আমি হয়তো এত দূর আসতে পারতাম না।’
ফটোসেশনের অবসরে সাহেলা মজুমদার নিধি বলেন, ‘আমার এ মুহূর্তের অনুভূতি বলে বোঝানোর মতো না। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি আরও এগিয়ে যেতে পারি, আরও ভালো করতে পারি।’
নিজের নাম ঘোষণা হওয়ার পর চমকে উঠেছিলেন মানসী কান্তা সরকার। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে এটা সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।’
ফেস অব বাংলাদেশ ২০১৯-এর গ্র্যান্ড ফিনালে উপস্থাপনা করেন শ্রাবণ্য তৌহিদা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট রুবানা হক।
রাহিল ও দৃশ্যের যন্ত্রসংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ফ্যাশন শো। পুরো অনুষ্ঠানে ছিল চারটি কিউ। ট্র্যাডিশনাল কিউতে শাহরুখ আমিনের কাপড়ে র্যাম্পে হাঁটেন মডেলরা। মডার্ন ফিউশন কিউতে মেয়েদের পোশাক দিয়েছেন রিমা নাজ এবং ছেলেদের পোশাক দিয়েছেন ফ্যাশন হাউজ রাইজ। ইভনিংওয়্যার কিউতে ছেলেদের পোশাক দিয়েছে ওটু এবং মেয়েদের পোশাক দিয়েছেন জাহীন খান। আরেকটি ছিল সাধারণ কিউ। ফ্যাশন শোর কোরিওগ্রাফে ছিলেন আজরা মাহমুদ ও বুলবুল টুম্পা।
অনুষ্ঠানে নাচ ও গানের আয়োজনও ছিল। নৃত্য পরিবেশন করেন পূজা সেন গুপ্ত। গান পরিবেশন করেন সভ্যতা, শোভন, রাজ। এ ছাড়া ফাইরুজ নাজিফা এবং জেফার রহমানও গান পরিবেশন করেন গ্র্যান্ড ফিনালেতে।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মডেলদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। করবান অ্যাওয়ার্ড এবং মিস কনজেনিয়াল অ্যাওয়ার্ড পান নাইম খন্দকার সোনাম। কোকোমে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন সাহেলা মজুমদার নিধি। ইডিজিসি অ্যাওয়ার্ড যায় শাহরিয়ার তানভীরের হাতে। মাইজিনোমবক্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন শিরিন শিলা। বককাস অ্যাওয়ার্ডসহ মিস্টার কনজেনিয়াল অ্যাওয়ার্ড পান মারুফ রহমান। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সেরা পাঁচের নাম ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ী পাঁচজনকে নিয়ে আরেকটি গ্রুমিং চলছে। ১২ মে পর্যন্ত। ওয়েট, বডি, হেয়ার, স্কিন গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে এবারের গ্রুমিংয়ে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে। সেই অনুযায়ী গ্রুমিং। এ পাঁচ মডেলের জীবনের গল্প নিয়েও কাজ করা হবে। এ ছাড়া তাদের ট্যালেন্ট এক্সপোজ করা, সেলিব্রিটি ইমেজ ম্যানেজ করা শেখানো হচ্ছে। ১৩ মে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন পাঁচ মডেল। ১৫ মে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল বুট ক্যাম্প শুরু হবে। প্রায় ২৫ দিনব্যাপী এটি চলবে।
এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল ২০১৯-এ শতাধিক মডেল প্রতিযোগিতা করবেন। তাদের মধ্য থেকে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে বিজয়ী হবেন। বাংলাদেশি পাঁচ মডেলের সঙ্গে একজন স্টার মডেলও যাবেন। তিনি কেমন হবেন, সেই গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে কোরিয়া থেকে। সেই অনুযায়ী স্টার মডেল খোঁজা চলছে। জানা গেছে, জুন মাসের ৭, ৮ ও ৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল।
ছবি: ক্যানভাস