হরাইজন
‘রোসা ডি অরো’ পদক
ইতালির বিখ্যাত ‘রোসা ডি অরো’ পদকে ভূষিত হয়েছেন প্রখ্যাত ডিজাইনার ম্যাডিসন কক্স। এটি দেশের একটি সম্মানজনক পদক, যা দ্য গোল্ডেন রোজ নামেও পরিচিত। প্রতিবছরই আর্ট ও ডিজাইনিংয়ে অবদানের জন্য একজনকে এই পদকে সম্মানিত করা হয়। এর শুরু ১৯৮৪ সালে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার, প্রতিবছর কে পদকটি পাবেন, তা নির্ধারণ করেন আগের বছরের বিজয়ী।
‘রোসা ডি অরো’র নীতি অনুযায়ী এবারের জন্য ম্যাডিসন কক্সকে উপযুক্ত মনে করেছেন আগের বছরের পদকজয়ী ইতালির একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক রবার্তো কালাসো। ম্যাডিসন কক্স আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডিজাইনার। তিনি ‘ডিজাইনার গার্ডেনার’ হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে একই সঙ্গে প্যারিসের ‘পিয়েরে বার্জ, ইয়ভেস সেইন্ট লরেন্ট ফাউন্ডেশন এবং মারাকেচের জার্দিন মাজোরেল বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে বলা হয় ইয়ভেস সেইন্ট লরেন্ট ব্র্যান্ডের সবচেয়ে গুণী ডিজাইনার। যার হাত ধরেই ইয়ভেস সেইন্ট লরেন্ট যথাযথ দিকনির্দেশনা পেয়েছেন। এই ডিজাইনারই প্রথম আমেরিকান, যিনি ১৯৯৭ সালে লন্ডনের চেলসি ফ্লাওয়ার শোতে ডিজাইনিংয়ের জন্য সিলভার গিল্ট মেডেল পেয়েছেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে ‘প্রাইভেট গার্ডেন্স অব প্যারিস’ এবং ‘আর্টিস্ট’স গার্ডেন্স’ ব্যাপক প্রশংসিত।
হাই এজ স্নিকারে শহিদ কাপুর
বলিউড অভিনেতা শহিদ কাপুর সব সময়ই নিজেকে উপস্থাপন করেন চমকপ্রদ ভিন্নধর্মী আউটফিটে। তার ফ্যাশন স্টেটমেন্টে ফ্যান ফলোয়াররা সব সময়ই মুগ্ধ। লোকাল দেশি অ্যাটায়ার থেকে শুরু করে পুরোদস্তুর জেন্টলম্যান লুক— সবকিছুতেই তার আধিপত্য। এবারও তিনি গণমাধ্যমের সামনে এসেছেন তার নতুন ট্রেন্ডি আউটফিটে। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন নিজের সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘কবির সিং’ নিয়ে। এরই এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে শহিদ হাজির হন নেক্সট জেনারেশন স্নিকার পরে।
‘কবির সিং’-এর এই প্রচারণা অনুষ্ঠানের জন্য শহিদ বেছে নিয়েছিলেন ব্রিটিশ ডিজাইনার হাউজ পল স্মিথের একটি ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ফ্লোরাল শার্ট এবং ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার পবন সাচদেবার ডিজাইন করা একটি গাঢ় নেভি ব্লু জ্যাকেট। যার বাঁ পাশে ছিল হোয়াইট অ্যাবস্ট্রাকড ডিজাইন। সঙ্গে ছিল হোয়াইট চিনো। কিন্তু এই আউটফিটে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে শহিদের নতুন ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানা হাই এজ স্নিকার।
শহিদের এই হাই এজ স্নিকারে রয়েছে একটি ফিউচারিস্টিক ও রোবটিক ধাঁচ। এটি ডলশে অ্যান্ড গ্যাবানার টু টোন সুপার কিং স্নিকার নামেই পরিচিত। স্নিকার জোড়ার উপরিভাগে রয়েছে মিররড মেটালিক লেদারের উপর কন্ট্রাস্ট ডিজাইন। এবং নিচে ব্যবহৃত হয়েছে তীক্ষè ও এজি হাই সোল; যা স্নিকারটিকে দিয়েছে রোবটিক ও অ্যাসথেটিক লুক।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের এই নেক্সট জেনারেশন সুপার কিং স্নিকারের বাজারমূল্য ৭৯৫ ইউরো। অর্থাৎ এই সিগনেচার আইটেম কিনতে খরচ করতে হবে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
সিয়েস মারজানের চমক
ফ্যাশন জগতের একটি খ্যাতনামা ব্র্যান্ড সিয়েস মারজান। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন অঙ্গনে এর সুনাম ব্যাপক। ২০১৬ সালে ডিজাইনার স্যান্ডার লাকের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে নিউইয়র্কভিত্তিক এই লাক্সারি ব্র্যান্ড। খুব অল্প সময়েই এটি পৌঁছে গেছে খ্যাতির শীর্ষে। ওমেন্স ওয়্যার সিয়েস মারজানের প্রধান আকর্ষণ হলেও এখনকার চাহিদা অনুযায়ী এই ফ্যাশন হাউস মেনস ওয়্যারেও সমৃদ্ধ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় ব্র্যান্ডটির প্রথম মেনস কালেকশন এক্সিবিশন।
সিয়েস মারজানের মেনস ওয়্যার কালেকশনের ডিজাইনার স্যান্ডার লাক নিজেই। সূচনালগ্ন থেকেই ব্র্যান্ডটিতে মেনস ওয়্যারের উপস্থিতি থাকলেও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল ওমেন্স ওয়্যারের থেকে। এখন পর্যন্ত এই ডিজাইনার নিজের ওমেন্স ওয়্যার কালেকশনের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে কিছু ক্যাপসুল মেনস ওয়্যার প্রদর্শন করেন। এ ছাড়া তার মেনস কালেকশনের আর কোনো একক প্রদর্শনী হয়নি। কিন্তু গেল নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে লাক মেনস ওয়্যার কালেকশন দিয়ে পুরোপুরি বাজিমাত করেন। এর মূল কারণ ছিল বোল্ড কালারের ব্যবহার, উদ্ভাবনী টেক্সচার ও সহজ বুনন। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই স্যান্ডার লাক এই মেনস ওয়্যার কালেকশন এক্সিবিশনের আয়োজন করেন। প্রদর্শনী সম্পর্কে লাক বলেন, যেহেতু আমার পড়াশোনার পুরোটাই মেনস ফ্যাশনের ওপর, তাই এটা অনেক কাছের একটি কাজের জায়গা। সেই আবেগ থেকেই আমার এই নতুন স্বপ্নের সূচনা। আমি বিশ্বাস করি, সিয়েস মারজানের এই নতুন উদ্যোগ ব্র্যান্ডটিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। ২২ জুন প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় এই এক্সিবিশন।
ছবি: সংগ্রহ