সম্পাদকীয়
জীবনধারা পাল্টে গেছে, কর্মক্ষেত্রেও ঘটেছে পরিবর্তন। নানা দিকে তা ব্যাপ্ত, শাখা-প্রশাখাও বেড়েছে ঢের। এই বদল আর বিস্তার প্রভাব ফেলেছে আমাদের যাপনচিত্রে। করপোরেট ড্রেসের কথাই যদি ধরি, দেখি যে, তা আর আগের মতো নেই। কারণ কি কেবল পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের প্রভাব? নাকি সময়ের চাহিদা? আমার মনে হয়, কর্মক্ষেত্রে যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে গত তিন দশকে, তাতেই ঘটেছে এমনটি। বিভিন্ন সেক্টরে নতুন নতুন কাজের ধারা ও ধারণা তৈরি হয়েছে। গত শতাব্দীর শেষ দশকে গড়ে ওঠা আইটি সেক্টরের কথাই ধরুন। সেখানকার কর্মপ্রক্রিয়া শুধু নয়, কাজের সময়পরিধিও ভিন্ন। এমনকি অফিসই কেবল এর স্পেস নয়, বাড়িতে, গাড়িতে, হোটেলেও কাজটি সেরে নেওয়া যায়। ফলে, ড্রেস কোড এই পেশাজীবীদের জন্য প্রযোজ্য না হলেও চলে। অন্যদিকে উৎপাদনশীল খাতের পাশাপাশি প্রসারিত হচ্ছে সৃষ্টিশীল বাণিজ্যের একটি জগৎ, যেখানে ধরাবাঁধা নিয়মের চেয়ে বড় করে দেখা হয় কাজের নতুনত্বকেই। এর প্রভাব পোশাকেও পড়ছে। এসব জায়গায় আমরা ফরমাল ড্রেসের পরিবর্তে ক্যাজুয়াল বা সেমি ফরমাল ড্রেসের প্রাধান্য দেখছি। সুতরাং বলা চলে, কাজের প্যাটার্ন প্রভাব ফেলছে ড্রেসের ওপর এবং এর তরঙ্গ ব্যাংক আর অন্যান্য আর্থিক কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও আছড়ে পড়ছে। ফলে, সেমি ফরমালের দিকে ঝুঁকছে সবাই।
ক্যানভাসের এই সংখ্যা করপোরেট জগৎ নিয়েই। এখানকার খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে পার্টি মেকআপ পর্যন্ত সবই এবারের সূচিতে স্থান পেয়েছে। আছে করপোরেট জগতের কৃতী ব্যক্তির সাক্ষাৎকারও। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবশেষে বিয়োগান্ত দুটি সংবাদ। বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক কমরেড মোজাফফর আহমদ এবং স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আমাদের মাঝে নেই। এই দুজনের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
ভালো থাকুন সবাই।