সম্পাদকীয়
শুরু হলো গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নতুন বছর ২০২০। একুশ শতকের তৃতীয় দশকও। পুরোনোর হিসাব-নিকাশ ফেলে নতুন করে একেকটি দিন শুরুর পালা।
ক্যানভাসের বছরটিও সূচিত হচ্ছে সেভাবে। মানে নতুন কিছু সেগমেন্টের সংযোজন। ফ্যাশন, বিউটি, লাইফস্টাইল, ফুড— প্রতিটি বিভাগেই। আইডিয়াগুলো নতুন। কেননা, এর আগে এসব নিয়ে মুদ্রিত আকারে কাজ হয়নি।
ফ্যাশনের রেড কার্পেট মানেই ফ্যান্টাসির জগৎ। সেখানে মডেলরা যে পোশাক পরে হাঁটেন, পরিধেয় হিসেবে বাস্তবে তা অকল্পনীয়। সামাজিক পরিবেশের প্রশ্নও এতে জড়িত। তবে এমন নয় যে, সেখানকার সব পোশাকই পরিত্যাজ্য। কিছু ড্রেস আছে, যেগুলো পার্টিতে বা বিশেষ কোনো উপলক্ষে পরা যায়। সেসব নিয়েই আমরা বছরজুড়ে মাতব ‘ফ্রম রানওয়ে’ সেগমেন্টে।
সৌন্দর্যচর্চায় প্রচলিত উপাদান নিয়ে অনেক কথাই তো হলো। এবার নতুন কিছু উপকরণ সম্পর্কে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। এগুলো সত্যিকার অর্থেই প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ। কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব। ‘রূপরসদ’ নামের নতুন একটি সেগমেন্ট সৃষ্টি করা হলো এ নিয়ে সচিত্র তথ্য উপস্থাপনের জন্য।
চেহারার খুঁত ঢাকতে না পারলে পুরো মেকআপই বৃথা। কিন্তু কীভাবে নিখুঁত হবে মুখশ্রী? জবাবের জন্য নতুন আয়োজন— ‘সাজসারাই’।
যে খাবারগুলো আমরা উপভোগ করি, তৃপ্তি পাই, সেসবের অতীতটি কেমন? কীভাবেই-বা আজকের স্বাদে খাবারটির উত্তরণ ঘটল? ‘স্বাদশেকড়’ এ বিষয়ে নতুন আলাপ জুড়ছে এ সংখ্যা থেকেই।
আশা করি, ক্যানভাস নতুন বছরে আপনাদের আরও প্রয়োজনীয় ও আনন্দদায়ক সঙ্গী হয়ে উঠবে।
বছরের শেষ মাসে আমরা হারিয়েছি কৃতী মানুষ ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান অসামান্য। তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা।
নতুন বছর সুখকর হোক। সবার জন্য।