হরাইজন
স্বয়ংক্রিয় হোটেল
হোটেলকক্ষে প্রবেশমাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিথির পায়ের কাছে চলে এলো স্যান্ডেল। বসার চেয়ার, কুশন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল- সেভাবেই চলে যাচ্ছে নির্ধারিত জায়গায়। অনেকেই ভাবতে পারেন কল্পকাহিনিনির্ভর কোনো সিনেমায় দেখানো হয়েছে এমনটা। আসলে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিশান জাপানের ইয়োকোহামায় নির্মাণ করেছে স্বয়ংক্রিয় হোটেল। নিশানের স্বয়ংক্রিয় প্রোপাইলট পার্কিং প্রযুক্তির আদলে এই প্রোপাইলট পার্ক রিয়োকান হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সবকিছুতেই থাকছে প্রযুক্তির ব্যবহার। ২০১৬ সালে স্বয়ংক্রিয় চেয়ার উদ্ভাবন করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল নিশান। ক্যামেরা আর সেন্সরের মাধ্যমে চেয়ারগুলো নিজেই চলার দিক ও গতি ঠিক করতে পারে। এবার প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে এসেছে প্রোপাইলট পার্ক রিয়োকান হোটেল। এখানে স্লিপার থেকে আসবাব- সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে।
তবে কষ্টের বিষয় হলো, নির্ধারিত অতিথিদের নিয়ে শুধু এক দিনের জন্য খোলা হবে হোটেলটি। নিশান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো এক প্রতিযোগিতায় নির্বাচন করা হবে অতিথিদের। ২৪ মার্চ খোলা হবে হোটেলটি। কাঠ দিয়ে তৈরি হোটেলটি প্রথম দেখায় অতিথির কাছে জাপানের অন্য হোটেলগুলোর মতোই মনে হবে। তবে ভেতরে ঢোকার পর চমকে যেতে হবে। চাকাওয়ালা স্বয়ংক্রিয় স্লিপারগুলো নিজেই সামনে হাজির হবে। পায়ে দিয়ে কক্ষে পৌঁছে খোলামাত্র স্লিপারগুলো আবার চলে যাবে অভ্যর্থনাকক্ষে নতুন অতিথির জন্য। নিশানের মুখপাত্র নিক ম্যাক্সফিল্ড বলেন, গাড়ির ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রযুক্তি অনেক জটিল হয়। এতে উচ্চ ক্ষমতার চারটি ক্যামেরার প্রয়োজন হয়, যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ছবি ধারণ করতে পারে। প্রোপাইলট পার্ক রিয়োকান হোটেলের প্রযুক্তি ততটা জটিল নয়। বোতাম চেপে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ।
ওয়ারদাহ ইন্সপায়ারিং বিউটি
‘ওয়ারদাহ কসমেটিকস’ বাংলাদেশে আয়োজন করছে অনলাইন ফ্যাশন ও সৌন্দর্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ওয়ারদাহ ইন্সপায়ারিং বিউটি’। প্রতি মাসের কোনো এক শুক্রবার দুপুরে, দুজন বিশেষজ্ঞ অতিথি থাকেন এই অনুষ্ঠানে। দর্শক ছাড়াও ফেসবুক কিংবা সরাসরি টেলিফোনে যেকোনো নারী ফ্যাশন ও সৌন্দর্য নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন অতিথিদের কাছে। জেনে নিতে পারেন আসন্ন ঋতুর সাজ ও পোশাক-পরিচ্ছদের টিপস। ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ নাহিলা হেদায়েত এবং ফ্যাশন ডিজাইনার রোকসানা মারিয়াম রশিদ। দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের পাশাপাশি তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। ওয়ারদাহ ইন্সপায়ারিং বিউটির মূল ভাবনা হচ্ছে, নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে তার সৃজনশীল কাজের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। এর মাধ্যমে মানুষ ও সমাজকে উপকৃত করতে পারাটাই হলো মৌলিক সৌন্দর্য। এর বিকাশ ঘটিয়ে নারীকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবার জন্য এই অনুষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে এটি একটি সহায়ক মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সাইমন অ্যান মি বিশ্বাস করে। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার বাংলা ট্রিবিউন, ক্যানভাস, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, আইস টুডে, কালের কণ্ঠ, রেডিও স্বাধীন, সময় টেলিভিশন, দারাজ ডটকম ও ইউনিমার্ট। চলতি বছর এটি ১২ পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব দেখা যাবে ৯ মার্চ, শুক্রবার দুপুরে। এতে অতিথি থাকবেন বিউটি এক্সপার্ট নাভিন আহমেদ ও ফ্যাশন ডিজাইনার আজরিন আলম। অনুষ্ঠানটি দেখতে লগ-ইন করতে হবে www.facebook.com/wardahbangladesh ।
ভ্যালেন্টাইন লাইভ ফ্যাশন শো
ফ্যাশন শোর রানওয়েতে সব সময়ই ফ্যাশন মডেলদের উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এবার এর ভিন্নতা দেখা গেল ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রেম’স কালেকশনের ভ্যালেন্টাইন লাইভ ফ্যাশন শোতে। যেখানে ব্র্যান্ডটির ভ্যালেন্টাইন কালেকশন গায়ে জড়িয়ে রানওয়েতে উপস্থিত হন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সংবাদ পাঠক, পাঠিকা এবং অনুষ্ঠানের প্রেজেন্টাররা। ভালোবাসার রঙে নিজেদের রাঙিয়ে প্রথমে একক ও পরে দ্বৈতভাবে মঞ্চে উপস্থিত হন তারা।
ফ্যাশন শোর শুরুতে প্রেম’স কালেকশনের ডিরেক্টর ও প্রধান ডিজাইনার প্রেম বম্বানী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবাইকে ভ্যালেন্টাইন ডের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমার নাম এবং ব্র্যান্ডের সাথে “প্রেম” শব্দটি জড়িত। সেদিক থেকে যত রকম ভালোবাসার পোশাক আপনারা চান, আমার এখানে পাবেন। শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে নয়, বছরজুড়ে বিভিন্ন অকেশন ছাড়াও প্রেম’স কালেকশনের প্রতিটি পোশাকে ভালোবাসার ছোঁয়া পাবেন। বাঙালি নারীর শাড়িই প্রথম পছন্দ। সে কথা মাথায় রেখে দেশের প্রায় সব ধরনের শাড়ির পাশাপাশি ভারতের ১৬টি রাজ্যের বিখ্যাত সব শাড়ির কালেকশন রয়েছে। নিউজ ব্রডকাস্টার এবং প্রোগ্রাম প্রেজেন্টারদের নিয়ে এই আয়োজনে শাড়ি, স্যুট, গারারা, গাউন, প্রিন্স কোট, এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজসহ সব পোশাকে রয়েছে আমার ডিজাইন ভাবনা।’ ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গুলশান ১-এর প্রেম’স কালেকশনের নিজস্ব শোরুমে আয়োজন করা হয় ভ্যালেন্টাইন লাইভ ফ্যাশন। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় শিল্পীরা ফ্যাশন শোটি উপভোগ করেন।