ফিচার I আরেশবা
‘ইওর স্টেটমেন্ট লাক্সারি ওয়্যার’ ট্যাগলাইনে মার্চের শেষ সপ্তাহে যাত্রা শুরু করে ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘আরেশবা’। স্টেটমেন্ট এবং লাক্সারি—একই সঙ্গে দুটোই মিলবে ব্র্যান্ডটির প্রতিটি আউটফিটে। অল্প প্রচেষ্টায়ই যারা নিজেকে একটু ‘এক্সট্রা’ দেখাতে চান, তাদের কথা মাথায় রেখেই আরেশবার কাজ শুরু করেন সাবা চৌধুরী। এথনিক ওয়্যারের একটি ছোট ঈদ কালেকশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ব্র্যান্ডটি। তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের পোশাক নিয়ে খুব শিগগির তাদের নতুন কালেকশন বাজারে আসছে।
ফ্যাশন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় সাবার ফ্যাশনের প্রতি ঝোঁক শুরু থেকেই। ছোটবেলা থেকেই খুব স্টাইলিশ কাপড়চোপড় পরতেন। নিজের কাপড় নিজে ডিজাইন করায় উৎসাহী ছিলেন বরাবরই। সাবা বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে সব সময় কাপড় কিনতে এবং জামা বানাতে শপিং মলগুলোতে যেতাম। মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার। হয়তো আমার মধ্যে এ ব্যাপারটা তার কাছ থেকেই এসেছে। ইচ্ছা ছিল কয়েক বছর আগে শুরু করার। কিন্তু কর্মজীবনের কিছু টানাপোড়েনের কারণে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হলো। সুন্দর করে গুছিয়েই নিজের স্বপ্নটা পূরণ করতে চাই।’ সাবা তার ফ্যাশন ব্র্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম কথা বলেন বন্ধু মহিউদ্দিন মাহিমের সঙ্গে। মাহিমও অনেক দিন ধরে নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছিলেন। সাবার পরিকল্পনায় মাহিম ভরসা পান। পরে দুজন মিলে পার্টনার হিসেবে আরেশবা নিয়ে কাজ শুরু করেন।
আরেশবার প্রথম কালেকশনের পুরোটাই ঈদকেন্দ্রিক। থিম ‘কালারস অব সামার’। গ্রীষ্মে প্রকৃতি যেসব রঙে নিজেকে সাজায়, সেগুলো মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে আরেশবার প্রথম প্রডাক্ট লাইন। সাবা জানান, গ্রীষ্মের ‘বোল্ড অ্যান্ড হ্যাপি’ ভাইবকেই পোশাকে নিয়ে আসার চেষ্টা ছিল এ কালেকশনের মাধ্যমে। ব্যবহার করা হয়েছে প্যালেটের উজ্জ্বল সব রং। সঙ্গে অনন্য সব প্রিন্টের মিশেল আরেশাবার ঈদ কালেকশনকে করে তুলেছে অন্যতর। রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে উজ্জ্বল সবুজ, কমলা, বেগুনি আর ম্যাজেন্টা। গ্রীষ্মের গরমের কথা চিন্তা করেই ভারী কাপড় এড়িয়ে কাজ করা হয়েছে সিল্ক আর লিনেন দিয়ে। এমবেলিশমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কারচুপি আর লেস। ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও স্বস্তি প্রাধান্য পেয়েছে। তাই পাঞ্জাবিগুলো তৈরি করা হয়েছে প্রিন্টেড জ্যাকেট ফ্যাব্রিক দিয়ে। অতিরিক্ত কোনো কাজ করা হয়নি এসব পাঞ্জাবিতে। তবে যারা প্রিন্ট ছাড়া একটু ব্যতিক্রম কিছু চান, তাদের জন্য এই কালেকশনে থাকছে ভিন্নধর্মী পাঞ্জাবি। যার বাটনে আলাদা ডিটেইলিং ছাড়াও কলার ও স্লিভে থাকছে কনট্রাস্ট।
আরেশবা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে সাবা বলেন, ‘ইচ্ছা আছে ব্রাইডাল ওয়্যার এবং কতুর নিয়ে কাজ করার। তবে ভবিষ্যতে যা-ই ডিজাইন করি না কেন, আমি চাই ফ্যাব্রিক ও রং নিয়ে অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্টাল ও বোল্ড হতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা নিজেদের ফ্যাশনেবল করে তুলে ধরার জন্য একটা ওয়ান-স্টপ সলিউশন খুঁজছি এবং আমার মতোই যাদের ফ্যাশনের প্রতি অনেক কৌতূহল, তারা আরেশবার ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন। আমাদের বিশ্বাস, আপনি হতাশ হবেন না। কারণ, আরেশবার প্রতিটি ডিজাইনই এখনকার ফ্যাশনিস্তাদের পছন্দ, ট্রেন্ড, কমফোর্ট—সবকিছু মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে।’
শিরীন অন্যা
ছবি: আরেশবা