ব্লগার’স ডায়েরি I ফ্যাশন ফ্যাসিনেশন
প্রতিবছরই নতুন ট্রেন্ড যুক্ত হয় ফ্যাশন স্টেটমেন্টে। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ওয়্যারড্রোবেও আনতে হয় নানা পরিবর্তন। এই সময়ের তরুণ-তরুণীরা কমবেশি ফ্যাশন-সচেতন। তারা নিজেদের ট্রেন্ডি রাখতেই বেশি পছন্দ করে। সে জন্যই কাপড় কেনার সময় ট্রায়াল দিয়ে দেখার প্রচলন বাড়ছে। ট্রায়ালে প্রাথমিকভাবে পোশাকের ফিটিং ও ম্যাচিং গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ভিনটেজ এবং রেট্রো স্টাইলগুলো ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে নতুনভাবে। সত্তর, আশির দশকের পোশাকের কাটছাঁট ও প্যাটার্ন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন উইকের ক্যাটওয়াকগুলোতে আশির দশকের আবহ প্রকাশ পেয়েছে। যেমন শার্ট থেকে শুরু করে জুতা পর্যন্ত সবকিছুতেই সাদার প্রাধান্য। আবার কেউ কেউ সাদা শার্টের বদলে একটা নীল ডেনিম শার্ট আর চেলসি বুট দিয়ে আউটফিট পেয়ার আপ করছেন। ব্যক্তিগত স্টাইল স্টেটমেন্টে সবই নিজের পছন্দকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। পোশাক কতটা কমফোর্টেবল করে তোলা যায়, চেষ্টা থাকছে সেদিকেও। নতুন স্টাইল ক্যারি করার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোকে অনেকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। স্ট্রাইপও এখন জনপ্রিয়। মোটা অথবা পাতলা ভার্টিক্যাল স্ট্রাইপের শার্ট, ট্রাউজার এমনকি ওভারকোট আছে। আগামী শীতেও স্ট্রাইপড আউটফিট ভালো চলবে বলে মনে হচ্ছে। স্ট্রাইপড বোম্বার, পুলওভার, টার্টেল নেক- এগুলোও দেখা যেতে পারে। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যেকোনো বডি শেপের মানুষকে ভালো লাগে স্ট্রাইপড আউটফিটে।
এমন পোশাক বাছাই করা উচিত, যেটা কমফোর্টেবল আর পুল অফ করা যায়। টার্টেন প্লেইড, প্রিন্টেড অথবা কিউবান শার্ট পরা যেতে পারে। আর সলিড কালারের শার্টগুলো তো সব সময়ই লিস্টে থাকবে। এগুলোর সঙ্গে স্ট্রাইপটা অ্যাড হয়েছে এবার। প্যান্টের বেলায় চিনোস, ডেনিম, জিনস, ডেনিম শর্টস দিয়ে আউটফিট বাছাই করা যেতে পারে। এবার সাদা জিনস, সাদা শর্টস- দুটোরই ট্রেন্ড এসেছে। সাদা ডেনিম শর্টসের পোলো টি-শার্ট পেয়ার আপ করা যেতে পারে। পোলো টি-শার্টের সঙ্গে সাদা শর্টসটা ভালোই পপ আপ করে। জুতার ক্ষেত্রে সাদা স্নিকার, চেলসি বুট, ডবল মঙ্ক স্ট্র্যাপস, ব্রোগ শু- এগুলো আউটফিটের সঙ্গে ভালো মিলে যায়। শুধু ঠিকমতো পেয়ার করলেই হবে। আর সানগ্লাস তো অ্যাড না করলেই নয়। ওয়েফারা, ক্লাবমাস্টার, এভিয়েটর, রাউন্ড ফ্রেম, ক্লিয়ার ফ্রেম এগুলো কালেকশনে থাকলে আউটফিট বুঝে ম্যাচ করা যেতে পারে। এই সামারে ক্লিয়ার ফ্রেমগুলো ভালোই চলেছে। অ্যাকসেসরিজের মধ্যে আরও যোগ করা যেতে পারে সাসপেন্ডার, ব্রেইডেড মেটাল আর বিডেড ব্রেসলেট। আবার হ্যাটও আসতে পারে লিস্টে। হোমবর্গ ফেডোরা, বোটার, গলফ ক্যাপ ইত্যাদি।
ফ্যাশনের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আউটফিটের রঙগুলো নিয়ে খেলা। যেকোনো একটি রঙ কেন্দ্রে রেখে অন্যগুলো পাল্টে দেয়ার এক্সপেরিমেন্টে একটা ভিন্ন রকমের আনন্দ পাওয়া যায়। আর এককথায় ফ্যাশন হতে হবে ‘সিম্পল, কমফোর্টেবল অ্যাড ইজি টু পুল অফ।’
Instagram:arnob.islam
Facebook:stylewitharnob
অর্ণব ইসলাম
ছবি: লেখক