নিউ ল্যান্ডস্কেপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং যুক্তরাজ্যের ফ্যাশন, টেক্সটাইল অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (এফটিটিআই) থেকে অনুদান পেয়েছে ব্যুরো ৫৫৫। ডিজিটাল কারুশিল্প প্রচারের মাধ্যমে এই শিল্প সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে স্টার্টআপ উদ্যোগটি। গত বছরের নভেম্বরে এই অনুদান ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ কাউন্সিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিউ ল্যান্ডস্কেপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ইউনিভার্সিটি আর্টস লন্ডনের এফটিটিআই’র সাথে অংশীদারিত্বে ব্রিটিশ কাউন্সিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন উদ্যোগগুলোর জন্য ওপেন কল করে। আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) এবং টেকসই ফ্যাশন, টেক্সটাইল এবং এ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে নতুন নতুন আইডিয়া ঘিরে বৈশ্বিক অংশিদারিত্বের জন্য সহায়তা প্রদানে নেওয়া হয় এ উদ্যোগ।
নিউ ল্যান্ডস্কেপস: ফ্যাশন, টেক্সটাইল এবং টেকনোলজি (এফটিটি) ক্যাটালিস্ট আর অ্যান্ড ডি গ্র্যান্ট স্কিমের অধীনে সাস্টেইনেবল ডিজাইন ও প্রোডাকশনের জন্য ১ লাখ পাউন্ডের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সহায়তা প্রদানের জন্য ৫টি যুক্তরাজ্য এবং অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) দেশের এসএমই অংশীদারিত্ব ঘোষণা করা হয়। যারা এই অনুদান পেয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যুরো ৫৫৫।
ব্যুরো ৫৫৫-এর লক্ষ্য স্থানীয় কারিগরদের কাজের ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরির মাধ্যমে তাদেরকে সহায়তা প্রদান করা, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের কাজের মর্মোপলদ্ধির পাশাপাশি এ বিষয়ে জানতে পারে ও গবেষণা চালিয়ে যেতে পারে।
কাপড়ের ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে আর্কাইভিং এবং টেক্সটাইলের ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে ব্যুরো ৫৫৫ এবং বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন গত ১১ মার্চ বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন, মুক্তি ট্যানারি ১, হাজারীবাগে কারুশিল্পে তাঁত, আর্কাইভিং এবং ডিজিটাইজিং বিষয়ক এক আলোচনার আয়োজন করে। ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) থেকে ডিজাইনার শৈবাল সাহা ও লিপি খন্দকার; অরণ্য থেকে নওশীন খায়ের; প্রাইড গ্রুপ থেকে সুম্বল মোমেন; প্রথম আলো ডিজিটাল টিম থেকে ইয়াসমিন জাহান নূপুর, আজিজি ও সাইফুর রহমান; স্ট্রাইডস অ্যান্ড কোং থেকে কনক চাঁপা ও আরিক মনসুর; ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এবং শিল্পী তেরেসা অ্যালবার (ব্রিটিশ হাই কমিশনারের স্ত্রী) এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও স্থিতিশীল কাপড় ও নকশাগুলোর টেকসই এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তুলতে ব্র্যান্ড এবং প্রস্তুতকারকদের পুরো সাপ্লাই চেইনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখিত বিষয়ে ব্যুরো ৫৫৫ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্যাব্রিয়েল শাইনার-হিল এবং মানসের প্রতিষ্ঠাতা ফাইজা আহমেদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গ্যাব্রিয়েল তার বুননের পেছনের গল্প, ইউরোপে নারীদের বুননের ইতিহাস এবং তার টেক্সটাইল ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ফাইজা আহমেদ টেক্সটাইলের বিকাশে নারীদের ভূমিকা এবং বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইনের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন।
ঐতিহ্যবাহী কাপড় ও নকশাগুলোর যথাযথ সংরক্ষণে ডিজিটাইজেশন কীভাবে কাজ করতে পারে তার ওপর জোর দিয়ে আলোচনা শেষ করা হয়।