জুরাসিক পার্ক নামটা শুনলেই একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয় সিনেমাপ্রেমীদের। গায়ে কাঁটা দেওয়া অনুভূতি। ১৯৯৩ সালের ১১ জুন মুক্তি পেয়েছিল স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি ‘জুরাসিক পার্ক’। প্রাগৈতিহাসিক, অতিদানবীয়দের পর্দায় দেখে শিহরিত হয়েছিল সবাই। তার পর কেটে গেছে কমবেশি দু’দশক। একে একে মুক্তি পেয়েছে জুরাসিক সিরিজের আরও ৫টি সিনেমা। আর এবার আসতে চলেছে সিরিজের ৬ষ্ঠ ছবি, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডমিনিয়ন’। কলিন ট্রেভরো পরিচালিত এ ছবির জন্য দীর্ঘদিন মুখিয়ে আছেন ভক্তরা। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে এবার। আগামী ১০ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত ছবিটি। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য সুখবর হলো, আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনেই (সেন্সর সাপেক্ষে) ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড সিরিজের এই নতুন ছবি। ৫ জুন থেকে অনলাইন এবং কাউন্টারে ছবির অগ্রীম টিকেট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ। এর পাশাপাশি আরেকটি বিশেষ অফার থাকছে দর্শকদের জন্য। সেটি হলো, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত যারা স্টার সিনেপ্লেক্সের টিকেট কিনবেন (যে কোন ছবির) তাদের টিকেটের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী একজন কক্সবাজারের হোটেল সায়মন-এ দুই রাত থাকা এবং বিমানে আসা-যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: দ্য ফলেন কিংডম’। এই ছবিটি ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ছবির সিক্যুয়েল হিসেবে তৈরি করেছিলেন নিবাহী প্রযোজক স্টিভেন স্পিলবার্গ। ভবিষ্যতের জন্য জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ট্রিলজির অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে এই চলচ্চিত্রটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় এর শুটিং শুরু হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে নিরাপত্তা মূলক সতর্কতা হিসেবে এর চিত্রায়ন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুলাই মাসে পুনরায় কাজ শুরু হয়।
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডমিনিয়ন’-এ রয়েছে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো সব দৃশ্য। ভয় ধরায় আকাশে ডাইনোসরের আক্রমণ বা বাইকের পিছনে ডাইনোসরের তাড়া করার দৃশ্য। জলের নিচে লুকিয়ে থাকা আর ঠিক তার ওপরেই ডাইনোসরের চিৎকার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেয়। মহাকাব্যিক এই উপসংহারের ট্রেলার মুক্তির পর রীতিমতো ঘুম হারাম সিনেপ্রেমীদের। প্রায় ৩ মিনিটের ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে শীতকালীন তন্দ্রায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অতিকায় ডায়নোসররা। জলে-জঙ্গলে-আকাশেও তারা ছড়িয়েছে তাদের ত্রাস। তবে তার সাথে মানুষের সহাবস্থানের সংকট নিয়েই যে গোটা গল্পটা ঘুরছে তার আভাস আগাগোড়া স্পষ্ট। আরও একটি দিক হল এর স্টারকাস্ট। ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্রিস প্র্যাট, ব্রিস ডালাস হাওয়ার্ড, স্যাম নিল, লরা ডার্ন এবং জেফ গোল্ডব্লাম প্রমুখ। পুরনো জুরাসিক পার্কের অনেক চরিত্রই নস্টালজিয়া সঙ্গে নিয়ে ফিরেছে এই শেষ অধ্যায়ে। এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক কলিন ট্রেভোরো বলেছেন, প্রজন্মগত দৃষ্টিকোণ থেকে এই সিনেমাটি গুরুত্বপূর্ণ। চিত্রনাট্যে, চরিত্রগুলিকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন যেখানে তাদের আবার কেবল একসাথে বেঁচে থাকতে হবে না, তবে নিশ্চিত করুন যেন আমরা সবাই ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে না যাই। ট্রেলার মুক্তির পর যে পরিমাণ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে দর্শকদের তাতে ধারণা করা হচ্ছে, আগের ছবিগুলোর মতো এ ছবিও বক্স অফিস মাতাবে।