ক্যানভাস রিপোর্ট:
দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পর্দায় আসছে জেমস ক্যামেরনের বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা ছবি ‘অ্যাভাটার’-এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়ার পর চলচ্চিত্র জগতে হইচই ফেলে দিয়েছিল ওই সময়ে। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত ‘অ্যাভাটার’।সেই অপেক্ষার পালা শেষ করে ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। বিশ্বমুক্তির দিনেই বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি। এরইমধ্যে অগ্রীম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সের সকল শাখা এবং অনলাইনে।
সিনেমাটি এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২৮০ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে ছবিটি। শুধু তাই নয়, ওই বছর অস্কারের ৯টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে তিনটি পুরস্কার জিতে নেয় ‘অ্যাভাটার’। এরপর থেকেই অগণিত দর্শকের অপেক্ষা পরবর্তী ছবির জন্য।
জেমস ক্যামেরনের ‘টারমিনেটর টু’ ছবিটি তাবৎ দুনিয়ার বক্সঅফিসে ঝড় তোলার পরপরই পরিচালক ভেবেছিলেন অ্যাভাটার নির্মাণের কথা। ১৯৯৪ সালে এর জন্য ৮০ পৃষ্ঠার একটি চিত্রনাট্য লিখেন ক্যামেরন। কিন্তু ছবিটি বানানোর মতো প্রযুক্তির অভাবে বাক্সবন্দি করেন পরকিল্পনা। নির্মাণ করেন টাইটানকি। রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসাসফল এই ছবি জিতে নেয় নয়টি অস্কার। ২০০৫ সালে ক্যামেরনের প্রতীক্ষার অবসান হয়। থ্রি-ডি প্রযুক্তির ভার্চুয়াল ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রানুষঙ্গ চলে আসে হাতের নাগালে। অ্যাভাটার নির্মাণে জেমস ক্যামেরন ব্যবহার করলেং সর্বাধুনিক সিনমোটিক গ্রাফিক্স। স্টোরিওস্কোপিক সাউন্ড সিস্টেম এই প্রথম কোনো ছবিতে ব্যবহার করা হলো। খুব স্বাভাবকিভাবেই এবাররে ছবি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ নিয়ে দর্শকদের কৌতুহল এখন চূড়ায়। এবার লড়াই চলবে জলে সে লড়াই কেমন হবে তার কিছু ধারণা দর্শকদের দিতে প্রকাশ করা হয়ছেে। সিনেমার ট্রেইলারে। টিজারে দেখা গেছে জেমস ক্যামরেন এবার একটি জলজ জগত সৃষ্টি করছেনে দর্শকদের জন্য। এ পর্বে আরও বেশি কাল্পনিক চরিত্রের সমাহার ঘটিয়েছেন তিনি। অ্যাভাটারের ভেরিফাইড ফেসবুক টিজার প্রকাশের ১৯ ঘণ্টার মধ্যেই তা ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে এট। আর এতেই স্পষ্ট, কতটা অধীর আগ্রহে সিনেমাটির জন্য অপেক্ষা করছেন ভক্তরা।