সেলিব্রিটি স্টাইল I সহাস্য পূর্ণিমা
এন্টারটেইনার, এন্টারটেইনার, এন্টারটেইনার- এভাবেই নিজের পরিচয় দিতে পছন্দ করেন তিনি। পর্দায় অভিষেক গানের অনুষ্ঠান দিয়ে। শিশুশিল্পী হিসেবে। পরবর্তী সময়ে পথ পাল্টে হয়ে ওঠেন পুরোদস্তুর অভিনেত্রী। বড় পর্দায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ব্লকবাস্টার সব সিনেমা। ঝুলিতে পুরেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেশ কিছু স্বীকৃতি। ছোট পর্দার নাটক আর উপস্থাপনায় সমান পারদর্শী। হাসতে পছন্দ করেন, হাসাতেও। তার অনেক অজানাকে জানাতে মুখোমুখি জাহেরা শিরীন
সম্প্রতি কিসে ঝোঁক?
সব সময় যেটায় থাকে। গান, নতুন গান। গান শোনা। এটা ছাড়া আমি থাকতেই পারি না।
অবসরে কী করা হয়?
ক্যারিওকে। গলা ছেড়ে গান গাওয়া হয়।
ঢাকার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার?
ট্রাফিক!
নিজের কেনা সবচেয়ে পছন্দের জিনিস?
সবকিছু। কারণ, নিজের পছন্দেই তো কেনা!
প্রথম কাজ?
বাংলাদেশ টেলিভিশনে। শিশুশিল্পী হিসেবে। ‘এসো গান শিখি’ নামের একটা অনুষ্ঠানে।
প্রথম উপার্জন?
আম্মু জানে!! ছোট ছিলাম তো, আমাকে দেয়নি।
যদি খেলোয়াড় হতেন, কী খেলতেন?
কাবাডি, হাডুডু, কুতকুত, লুডু। এর থেকে ভয়ানক খেলা আমি খেলতে পারব না। হা… হা… হা…।
আপনার করা সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র?
এখনো ওভাবে পাইনি। তবে বলতে যদি হয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাহিনি অবলম্বনে ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্রের ‘চন্দরা’ চরিত্রটা আমার খুব পছন্দ।
নতুন করে কী শিখতে চান?
মশা মারার অভিনব সব কৌশল। ডেঙ্গুর উপদ্রব থেকে বাঁচতে। হা… হা… হা…।
তিন শব্দে যদি নিজেকে বর্ণনা করতে হয়?
এন্টারটেইনার, এন্টারটেইনার, এন্টারটেইনার!!!
কিসে ভয় পান?
মানুষ।
কিসে রাগ হয়?
মানুষের ওপরই হয়।
পছন্দের ফ্যাশন ট্রেন্ড?
এই ব্যাপারে আমি বড্ড সেকেলে। তবে আরামদায়ক যেকোনো পোশাক আমার পছন্দ।
ফেবারিট বিউটি ট্রিক?
গান শোনা, গান গাওয়া আর সারাক্ষণ হাসি মুখ।
ওয়্যারড্রোবের এমন পোশাক, যা সবচেয়ে বেশি পরা হয়েছে?
আমার টি-শার্ট আর ট্রাউজারগুলো।
পছন্দের ফুল?
বেলি।
প্রিয় খাবার?
সবকিছু। এ ব্যাপারে আমার না নেই।
কারও কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে পছন্দের উপদেশ?
কাউকে বিশ্বাস করো না।
কিশোরী পূর্ণিমাকে কী উপদেশ দিতে চাইতেন?
ভুল সবই ভুল! হা… হা… হা…।
একটা সিনেমা, যা বারবার দেখতে চাইবেন?
অনেক আছে। তবে যেকোনো মুভি আমাকে বেশি টানে।
পছন্দের সহশিল্পী?
সবাই। কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। হা… হা… হা…।
জীবনের সেরা সারপ্রাইজ?
আমার মেয়ে। ওকে আমার পাশে দেখে মাঝেমধ্যেই আমি চমকে উঠি। আমার মেয়ে! কখন হলো! হা… হা… হা…।
জীবনে পাওয়া সেরা উপহার?
উপহার তো উপহারই। আমি পেলেই খুশি। সবই সেরা।
একটা মিথ্যা বলেন?
আমি অনেক ভালো!
এ বছর আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা?
এই যে ঘটছে এখন! এত সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।
পছন্দের ঋতু?
শীতকাল।
আপনার রাশি?
কর্কট।
ব্লো ড্রাই, কার্ল, না সটান সোজা চুল- কোনটা ভালো লাগে?
আমার চুল কার্লি, সেটা স্ট্রেইট করে রাখতেই ভালো লাগে।
মেকআপ ব্যাগে কী কী থাকেই?
হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পারফিউম, লিপস্টিক, লিপলাইনার, ওয়াইপ, চিরুনি- আরও কত কী…
আপনার সৌন্দর্যের রহস্য?
প্রেম। হা… হা… হা…।
প্রতিদিনকার বিউটি রুটিনে কী করা হয়?
ওই যে বললাম- সব সময় নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করি, প্রচুর হাসি। আর এত প্রেম আমার ভেতর, ওটাই আমাকে সুন্দর রাখে। হা… হা… হা…।
হিল, না ফ্ল্যাট?
ফ্ল্যাট।
ডায়মন্ড, না পার্ল?
অবশ্যই ডায়মন্ড!
অপ্রকাশ্য প্রতিভা?
সেটা অপ্রকাশিতই থাক!
প্রথম ক্রাশ?
উফ্! সেটা তো ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যায়। তবে সালমান খানের কথা বলতেই হবে।
প্রেম করার সুযোগ পেলে কার সঙ্গে করতে চাইবেন?
সবার সঙ্গে। ক্যামেরা, লাইট, আমার মোবাইল, এমনকি খাবারের সঙ্গেও আমি প্রেম করি। প্রেম ছাড়া কোনো কথা নেই!!
জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সেই সঙ্গে একজন পুরোদস্তুর মা- সামলাতে ঝামেলা হয়?
একদমই না। মায়ের জায়গায় আমি মা-ই। বরং আমি যে একজন অভিনেত্রী, সেটাই ভুলে যাই মাঝেমধ্যে।
আগেকার দিনে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো আর এখন দাঁড়ানোয় পার্থক্য খুঁজে পান?
আগে ক্যামেরার সামনে আঁকাবাঁকা হয়ে যেতাম। অনেক শিখে, অনেক অভিজ্ঞতার পর এখন মনে হয় ঠিকঠাক সোজা দাঁড়াতে পারি। হা… হা… হা…।
দশ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
এখন যেমন আছি, তেমনই দেখতে চাই। যেন মানুষের ঈর্ষা হয় এই ভেবে, পূর্ণিমা এখনো এমন কীভাবে আছে!
ছবি: সৈয়দ অয়ন
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
আর্ট ডিরেকশন: দিদারুল দিপু
ছবি: সৈয়দ অয়ন