skip to Main Content

বাইট

জমকালো ডিনার শো

৫৩ দুবাই

রেস্তোরাঁয় চিত্তবিনোদনের বাহারি আয়োজন রাখার রেওয়াজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেশ পুরোনো। ‘প্যাপিলনে’ ক্যাবারে ড্যান্সিং ও মেডিটেরিয়ান ডাইনিং, ‘হোয়াইট দুবাই’য়ে ক্যাবিয়ার ডিশ ও অ্যাক্রোবেটিক ডিসপ্লে, ‘দ্য থিয়েটারে’ এইটিজ পাওয়ার ব্যালাড ও ইন্টারন্যাশনাল স্যালাড—ভিন্ন ভিন্ন রেস্তোরাঁয় খাবার ও লাইভ পারফরম্যান্সের এমন যুগলবন্দি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কেমন হয় যদি একই রেস্তোরাঁয় সব কটি কুজিন ও জনরার মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন কিছু করা যায়?
সেটাই করেছে সম্প্রতি যাত্রা শুরু করা ‘৫৩ দুবাই’ রেস্তোরাঁটি। দুবাইয়ের শেরাটন গ্র্যান্ড হোটেলের ৫৪তম তলায় বসছে জমকালো ডিনার শো। ভোজনরসিক ও বিনোদনপ্রেমীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে এই আয়োজন।

স্ট্রিট ফুড ফিয়েস্তা

অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন টেন ডেজ

রাজধানীর ফাইভ স্টার হোটেল সারিনার সামারফিল্ড রেস্টুরেন্টে আয়োজিত হয়ে গেল স্ট্রিট ফুড ফিয়েস্তা—‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন টেন ডেজ’। ১০ থেকে ২০ আগস্ট—১০ দিনের এই উৎসবে ছিল ভারতীয়, এশীয়, মধ্যপ্রাচ্যীয় আর প্রতীচ্যের প্রায় দেড় শ পদের পথখাবারের সমাহার, যেগুলো সচরাচর রেস্তোরাঁর মেনুতে পাওয়া যায় না। ভারতীয় স্ট্রিট ফুডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন ধরনের চাট, পাওভাজি, ঝালমুড়ি, চিকেন পাক্কি বিরিয়ানি, ভাত, ভর্তা, ফিশ টিক্কা, রেশমি কাবাব, চানা ডাল বরফি, দই, ফিরনি; এশীয় খাবারের মধ্যে সুশি, টম ইয়াম গুং, পাড থাই, বিফ র‌্যান্ডাং, ফ্রায়েড রাইস, ম্যাংগো স্টিকি রাইস পুডিং, ফ্রায়েড ব্যানানা; আরব্য খাবারের মধ্যে চিকেন শরমা, মাটন উজি, জুজেহ কাবাব, মাটন কোফতা, বাসবুসা; প্রতীচ্য খাবারের মধ্যে নাচোস, টেক্সাস স্লাইডার, হট ডগ, বিভিন্ন পদের রুটি, লাজানা, ক্রেওল সিফুড ম্যাক অ্যান্ড চিজ, ফ্রুট স্যালাড প্রভৃতি। সঙ্গে পছন্দসই টপিং দিয়ে আইসক্রিম আর আনলিমিটেড কোকা-কোলা। হোটেল সারিনা ঢাকার এক্সিকিউটিভ শেফ কুলদীপ ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই ফিয়েস্তার বেভারেজ পার্টনার ছিল কোকা-কোলা।

নতুন সাজে অলেয়া

অলেয়া

নতুন সাজে খাঁটি তুর্কি রেস্তোরাঁ ‘অলেয়া’ চালু করেছে লা মেরিডিয়ান ঢাকা। এর আগে রেস্তোরাঁটি মেডিটেরিনিয়ান খাবার পরিবেশন করত। এবার ভিন্নতা আনার প্রচেষ্টায় অলেয়াকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। গত ২৯ জুলাই লা মেরিডিয়ানের ১৬ তলায় অলেয়ার প্রি-লঞ্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত হয় মিডিয়া গালা নাইট। তাতে অতিথিদের সামনে খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। এরপরের দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় অলেয়া।
অলেয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশে তুর্কি খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে; কিন্তু অথেনটিক তুর্কি খাবারের সন্ধান খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই এই উদ্যোগ। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ‘অলেয়া হলো বিলাসিতার বিবৃতি। রেস্তোরাঁর স্পেশাল মেনু ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় আধুনিক তুর্কি ভোজনকে প্রভাবিত করে। আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো, এই রেস্তোরাঁকে ছোট থেকে বড় দলের জন্য একটি উদযাপনের গন্তব্য হিসেবে প্রচার করা।’
অলেয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এলান এল ডেনিগা; সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ ই. আলদুহাইলান, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ফাম ভিয়েত চিয়েন, তুর্কি এয়ারলাইনসের জেনারেল ম্যানেজার এমরাহ কারাকা, পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার দেবাশীষ দেব প্রমুখ। অলেয়ার খাদ্যতালিকায় রয়েছে প্যাটলিকান সালাটা, অ্যাসিলি এজমে, বাবাগানাস, কোপোগলু, হুমাস, বিটরুট, মান্তার পিলাকি, আর্নাভুত সিগেরি, ইস্পানাক বোরানি, পেম্বে সুলতান, লাহানা ডলমা, গাজর ট্যারেটরসহ বিভিন্ন ধরনের মেজেস; সেহরিয়েলি তাভুক করবসি স্যুপ; খাস্তা গাভুরদাগি স্যালাড, চিংড়ি ও অক্টোপাস স্যালাড; ইচলি কোফতে; লহমাকুন, গরুর মাংসের সঙ্গে পাইড; হুংকার বেগেন্ডি, চোকারটমি কাবাব, মানটি; আদানা কাবাব, উরফা কাবাব, বেটি কাবাব, চিকেন কাবাব, ল্যাম্ব কাবাব, ল্যাম্ব চপ, বিফ কাবাব; ফিরিন সুতলাচ, বাকলাভা, ইরমিক হেলভাষীসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন প্রভৃতি খাদ্যসম্ভার।
 ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top