হরাইজন
প্রেম’স কালেকশনে পদ্মাবত
সাড়াজাগানো বলিউড সিনেমা পদ্মাবতে ব্যবহৃত জমকালো ডিজাইনের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রেম’স কালেকশন এক ফ্যাশন শোর আয়োজন করে। বেশ কয়েকটি কিউতে পদ্মাবত সিনেমার বিভিন্ন সিকোয়েন্স ও চরিত্র ফুটিয়ে তোলেন দেশের জনপ্রিয় মডেলরা। এর মধ্যে শহীদ কাপুরের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সিনেমায় ব্যবহৃত ডিজাইনের পোশাকে মঞ্চে আসেন মডেল ও অভিনেতা বাপ্পী। এরপর দীপিকা পাড়ুকোনের রাজকীয় শাড়ি এবং কস্টিউমে মঞ্চে আসেন মডেল হীরা। তাকে ঘিরে জমকালো শাড়িতে উপস্থিত হন অন্য মডেলরা। সিনেমার আবহে শুরু হয় ক্যাটওয়াক ও নৃত্য। এর আগে ফ্যাশন শো এবং বাংলাদেশে পদ্মাবত সিনেমায় ব্যবহৃত রাজকীয় ডিজাইনের পোশাকের উদ্বোধন করেন প্রেম’স কালেকশনের প্রধান ডিজাইনার এবং ডিরেক্টর প্রেম বম্বানি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, পদ্মাবত সিনেমার সব পোশাকের কপিরাইট প্রেম’স কালেকশনের। অন্য সিনেমা থেকে এই সিনেমার পোশাক ডিজাইন একেবারেই ভিন্ন। এই সিনেমায় ব্যবহৃত সব পোশাক গুলশান ১-এ অবস্থিত শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
বর্ষপূর্তিতে সেইলর
প্রতিষ্ঠার তিন বছরে ঢাকায় ফ্যাশন ব্র্যান্ড সেইলরের মোট ১০টি আউটলেট। ৬ এপ্রিল মিরপুর ২-এ নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন এবং নতুন কালেকশন প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সেইলর উদ্যাপন করে তৃতীয় বর্ষপূর্তি।
এ উপলক্ষে ৬ ও ১০ এপ্রিল আয়োজন করা হয় পৃথক দুটি ফ্যাশন শো। র্যাম্পে বিজনেস স্যুট, পার্টি কালেকশন, এথনিক, ট্র্যাডিশনাল ও ক্যাজুয়াল থিমে তৈরি পোশাক দেখানো হয়। ২৫ জনের বেশি র্যাম্প মডেল পৃথক ফ্যাশন কিউতে তুলে ধরেন বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তৈরি বিভিন্ন থিমের নতুন কালেকশন।
অন্যদিকে, ঢাকার বাইরে কুমিল্লায় ১১তম স্টোরের উদ্বোধন করা হয় ১০ এপ্রিল। ব্র্যান্ডটির প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা রেজাউল কবির জানান, সেইলর তারুণ্যের ফ্যাশন প্ল্যাটফর্ম। তাই তারুণ্যের জন্য সর্বশেষ ফ্যাশন ট্রেন্ড তুলে ধরার কাজ করবে ব্র্যান্ডটি। তিনি বলেন, কোনো ক্রেতা যদি পণ্যের গুণগত মান নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে যেকোনো সময় সেইলর সেই পণ্য পরিবর্তন করে। উল্লেখ্য, সেইলরের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল।
গরমে সুতি পাঞ্জাবি
পাঞ্জাবি এখন ট্রেন্ডি পোশাক। গরমে হালকা ডিজাইনের সুতির পাঞ্জাবির চাহিদা বেশ। এটি একাধারে স্বচ্ছন্দ ও আরামদায়ক। তাই গরম সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ সেজে উঠেছে নতুন ডিজাইনের সব পাঞ্জাবি নিয়ে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদি, মটকা, সুতি, রাজশাহী সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, কুশান, আদি, জয়শ্রী সিল্ক, অ্যান্ডি কটন, ইন্ডিয়ান সিল্ক, জাপানি ইউনিটিকা, তসর, সামু সিল্ক, ডুপিয়ান, ইন্ডিয়ান চিকেনসহ নানা ধরনের কাপড়। আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরে গরমের তীব্রতা বেশি। তাই অনেকেই আরামদায়ক শর্ট পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার প্রতি ঝুঁকছেন। জিনসের সঙ্গে মানানসই এই পোশাকগুলো। সুতি কাপড়ের শোষণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এটি গরমে ব্যবহারের জন্য বিশেষ উপযোগী। অন্যদিকে এ ধরনের পোশাকের যত্নও তুলনামূলক সহজ। সুতি ও লিনেন কাপড় বাতাস চলাচলে সহায়তা করে ও ঘাম শোষণ করে। সাধারণত ফরমাল, স্লিম আর শর্ট- এই তিন ধরনের পাঞ্জাবিই বেশি দেখা যায় বাজারে। গরমে সাধারণত বেশির ভাগ মানুষই একটু হালকা রঙের দিকে ঝোঁকেন অথবা কেউ বেছে নেন সাদা। তাই পাঞ্জাবির নতুনত্ব দেখা যায় এর ডিজাইনে। প্রিন্টের মধ্যেই দেখা যায় চোখধাঁধানো আর জমকালো ডিজাইন। কিছু কলার আর বোতামের নতুনত্ব এসব নকশার বিশেষ আকর্ষণ।