হরাইজন
বনানীতে বিয়িং হিউম্যান
বলিউড হার্টথ্রব সালমান খানের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিয়িং হিউম্যান। সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সুশিক্ষা আর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়েই ২০০৭ সালে চালু হয় এর কার্যক্রম। ২০০৯ সালে এইচডিআইএল কতুর উইকে লঞ্চ হয় বিয়িং হিউম্যান ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন ব্র্যান্ড। যার মার্চেন্ডাইজ থেকে বিক্রীত অর্থের পুরোটা ব্যয় হয় ফাউন্ডেশনের কাজে। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে বিয়িং হিউম্যানের প্রথম আউটলেটের উদ্বোধন করেন সালমান খানের ছোট ভাই অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক সোহেল খান। সঙ্গে ছিলেন বিয়িং হিউম্যান ক্লদিংয়ের সিইও সঞ্জীব রাও। বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েছেন ক্রিমসন কাপ বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা রেহান রহমান ও মোহাইমিন মোস্তফা। দুই হাজার বর্গফুটের এই আউটলেটে মিলবে ব্র্যান্ডটির সব ধরনের মার্চেডাইজ। উদ্বোধন উপলক্ষে সালমান নিজে উপস্থিত না থাকলেও ভক্তদের জন্য পাঠিয়েছিলেন তার সাইন করা ক্যাপ।
আরিয়ানের প্রথম এন্ডোর্সমেন্ট
আবারও চর্চায় বলিউড কিং খ্যাত অভিনেতা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। তবে কোনো কনট্রোভার্সি নয়। সম্প্রতি কোলাবোরেট করেছেন স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড অ্যাডিডাসের সঙ্গে। তাদের অরিজিনালস এনএমডি-ভি থ্রি সিরিজের জুতার জন্য তোলা আরিয়ানের ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ড্রেসড টু ইমপ্রেস প্রতিটি লুকেই দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন এই তারকাপুত্র। একটি ছবিতে তাকে দেখা গেছে ব্ল্যাক এবং পিঙ্ক জ্যাকেটের সঙ্গে ট্র্যাক প্যান্টের জোড়ে। কো-অর্ড সেটটি স্টাইলিংয়ে ব্যবহৃত হয় সিম্পল সিলভার চেইন আর ব্রেসলেট। সেকেন্ড লুকে জুনিয়র খানকে দেখা গেছে স্পোর্টি শিক স্টাইলে। সাদা টি-শার্ট, গ্রে জগার সঙ্গে অফ ব্ল্যাক চেকারড জ্যাকেটে দারুণ দেখাচ্ছিল আরিয়ানকে। গলায় চেইনের লকেট আর পায়ে অরেঞ্জ স্নিকারে কমপ্লিট হয়েছিল সেই লুক। আর তৃতীয় লুকে আরিয়ানের পরনে ছিল হলুদ জ্যাকেট ও কালো সোয়েটপ্যান্ট।
রানির প্রয়াণে প্রভাবিত লন্ডন ফ্যাশন উইক
দীর্ঘ দুই বছর করোনাকাল থাকায় এবারের লন্ডন ফ্যাশন উইক স্বাভাবিকভাবেই বহুল প্রতীক্ষিত ছিল। ছিল বাড়তি প্রত্যাশাও। কিন্তু রানির হঠাৎ প্রয়াণে ভেস্তে যায় সবই। একদিকে জাতীয় শোক, অন্যদিকে শেষকৃত্যের সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় লন্ডন ফ্যাশন উইক বাতিলের। সেই সঙ্গে রানির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বারবেরি ঘোষণা দেয় ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ না করার। ড্রপ আউটের তালিকায় নাম লেখান প্রাদার কো ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর রাফ সিমন্সও। তবে শোর চার দিন আগে স্বস্তির সংবাদ আসে ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিল থেকে। বলা হয় ফ্যাশন উইক চলবে নির্ধারিত সময়েই। তবে আড়ম্বরহীন হবে আয়োজন, সেই সঙ্গে শেষকৃতের দিনের শো রিশিডিউলড করা হবে। আর যেকোনো ধরনের পার্টি ব্যান। ফলে অনেক ব্র্যান্ডই প্রস্তুতির সময় কম পায়। ডিজাইনাররা শোর সাউন্ডট্র্যাক পাল্টে ফেলেন। সেই সঙ্গে গেস্টদেরকেও গাইডলাইন মেনে আয়োজনে অংশগ্রহণের অনুরোধ করা হয়। গাইডলাইন অনুসারে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট আর স্ট্রিট স্টাইলিংয়ের ছবি জাতীয় শোক শেষ হওয়া অব্দি পোস্ট করার ক্ষেত্রে বিরত থাকতে বলা হয়।
i ফ্যাশন ডেস্ক