অ্যাডভারটোরিয়াল I আমিসে: নারীর ক্ষমতায়নে
আমিসে। আস্থা ও নির্ভরতার নাম। এই নামের পেছনের গল্পে জানা যায়, এটি এসেছে ‘আই অ্যাম শি’ [বাংলায় আমি সে] থেকে। আনকোরা এই নামে লুকিয়ে আছে নারীদের আত্মকথা। সবাই যেন আমিসের গয়নার মাঝে নিজেকে খুঁজে পান, সে উদ্দেশ্য নিয়েই ব্র্যান্ডটির গয়নাগল্প। আমিসে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। নিজের প্রতি আস্থা নিয়ে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নারীদের জন্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ইউনিক ডিজাইনের জুয়েলারি এনেছে দেশি এই গয়নার ব্র্যান্ড। আমিসের পথচলাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন নারী। তিনি ব্র্যান্ডটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোহানা রউফ চৌধুরী। বাংলাদেশের জুয়েলারি ব্যবসায় তিনিই প্রথম নারী।
প্রিমিয়াম কোয়ালিটির গয়নার লেবেল আমিসে। মানের ক্ষেত্রে আপোস করার অভিপ্রায় কখনোই তৈরি হয়নি। তাই সেরা মানের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ব্র্যান্ডটির পক্ষে। ডিজাইনের ক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বের চাহিদা নিয়ে কাজ হয়। শুধু দেশীও কিংবা উপমহাদেশীয় নয়, বরং পুরো বিশ্ব এবং এর ট্রেন্ড এখানে ভূমিকা রাখে।
ব্র্যান্ডটির প্রডাক্ট লাইনে রয়েছে গোল্ড, ডায়মন্ড এবং আনকাট ডায়মন্ড। নকশা আর ব্যবহৃত উপাদান—দুটিতেই বিশ্বমানের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় আমিসের কাছে। আমিসে পরিবার জানে, গয়নার ক্রেতাদের বড় অংশ নারী। আর নারীরা যখন গয়না কেনেন, তখন প্রতিটি পিস কেনার পেছনে তাদের আবেগ লুকিয়ে থাকে। গয়না শুধু একটি স্টেটমেন্ট পিস নয়, ইমোশনাল পিসও বটে। আমিসে তাই ক্রেতাদের সার্ভিস দেয় যত্নের সঙ্গে। প্রত্যেক বায়ারের জন্য প্রিমিয়াম সেবা নিশ্চিতে প্রত্যয় প্রতিদিনের। গ্রাহকের আগ্রহে পরামর্শও দিয়ে থাকে টিম আমিসে। ক্রেতার চাহিদা বুঝে সে অনুযায়ী গয়না হাজির করা হয়। রুচির বহিঃপ্রকাশ তখন সহজ হয়। আমিসেকে চিনতে পারেন ক্রেতা, আর আমিসে বুঝতে পারে ক্রেতাকে। যেহেতু ক্রেতার পছন্দ-অপছন্দকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাই আমিসের যাত্রায় বিশাল ভূমিকা রাখে ক্রেতার পরামর্শ। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিতে কাজ করে এই ব্র্যান্ড।
আমিসে বিশ্বাস করে, অলংকারে প্রকাশিত হয় আত্মকথা; ব্যক্তিত্বের এক ঝলক দেখে নেওয়া যায় সেখানে। তাই ওয়ার্ক ওয়্যার জুয়েলারি থেকে ফেস্টিভ—এই ব্র্যান্ডের কাছে পাওয়া যায় উপযোগী রত্নরাজি। আমিসে যেসব উপাদানে গয়না প্রস্তুত করে, সেগুলোর মধ্যে আছে স্বর্ণ, ডায়মন্ড এবং আনকাট ডায়মন্ড। তিন ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মানের উপাদান বেছে নেওয়া হয়। তৈরি করা হয় নান্দনিক নকশা। যাতে সব গয়নার মাঝে দ্যুতি ছড়িয়ে প্রকাশিত হয় আমিসে। প্রত্যেক নারী যেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে আমিসের স্পর্শে। কাঁচামাল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিশ্বের নানান দেশ ঘুরে তবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এই ব্র্যান্ড।
বাংলাদেশের আমিসে পৌঁছে যাবে বিশ্বের সব দেশে, এমনটাই স্বপ্ন দেখেন কর্ণধার সোহানা রউফ চৌধুরী। অল্প সময়েই দেশের বাজারে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরে সিঙ্গাপুরে পা রেখেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিশ্বদরবারে নিজেদের অবস্থান তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত আন্তর্জাতিক জুয়েলারি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে সুনাম কুড়াচ্ছে। নিজের দেশের মানুষের মন জয় করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে আমিসের এই যাত্রা।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: আমিসের সৌজন্যে