বিশেষ ফিচার I নক্ষত্রের রাত থেকে
দ্য মোস্ট ওয়াচড রেড কার্পেট ইভেন্ট। যেখানে শুধু তারকাদের কাজই নয়, বহুল চর্চিত বিষয় তাদের সাজপোশাকও। এবারের আসরের লালগালিচায় পষ্ট প্রকাশিত হয়েছে আয়োজনের প্রকৃত রূপ। অভিজাত, ওভার দ্য টপ এমনকি রাজনৈতিক মতপ্রকাশের মাধ্যম। লিখেছেন শেখ সাইফুর রহমান
করোনাকালের ধকল কাটিয়ে, ২০২২ সালের অস্কার ফ্যাশনে তারুণ্যের হিল্লোল লক্ষ করা গিয়েছিল। সেই ধারা যে অব্যাহত আছে, তার প্রমাণ মিলেছে এবারও। ১০ মার্চের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের ৯৬তম আসরেও তাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি আর গ্ল্যামারের ঝলক দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাতে রবীন্দ্রনাথ যেন বড্ড বেশি অনুরণিত হয়েছেন! স্মৃত হয়েছেন। কারণ, নবীন আর কাঁচারা ঠিকই আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচিয়ে তুলেছেন। তুলছেনও। ফলে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডই বলি বা অস্কার, এর ফ্যাশনে বেশ একটা পরিবর্তন দেখা গেছে। তারুণ্যের উচ্ছলতা সেখানে উছলে পড়েছে। ডিজাইনাররাও ভাবতে পারছেন সমসময়ের আঙ্গিকে। দ্রুত বদলে যাওয়ার পৃথিবীর নানা উপাদানও তাদের সৃজনশীলতার ভাবনাকে উসকে দিচ্ছে।
আমরা কে না জানি, অস্কারে যা দেখা যায়, সেটাই হয়ে ওঠে ভূলোকের ফ্যাশন ধারা। এমন অজস্র উদাহরণ আছে। এই যেমন ধরা যাক লুপিটা এনইয়োঙ্গোর কথা। ২০১৪ সাল। ঠিক এক দশক আগে তিনি অস্কার জিতেছিলেন। সেই সময়ে ইতালিয়ান লাক্সারি ব্র্যান্ড প্রাদার হেড ডিজাইনার মিউসিয়া প্রাদা অস্কারের জন্য ডিজাইন করতে ততটা আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু নানাভাবে সেবার তাকে রাজি করিয়ে লুপিটার গাউন ডিজাইন করানো হয়। আর সেই আসরেই বাজিমাত করেন লুপিটা। জিতে যান অস্কার। ব্যস, আর যাবে কোথায়! প্রাদা হয়ে ওঠেন বিশেষ আদৃত। অবশ্য প্রাদাও অনুধাবন করেন অস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে। সেই থেকে তার ব্র্যান্ড অস্কারের জন্য পোশাক নকশা করে আসছে। এবারও ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে সেবার লুপিটাও ফ্যাশন আর বিউটি ওয়ার্ল্ডে বিশেষভাবে সমাদৃত হন। এমনকি তাকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে ল্যানকম। হন ভোগের প্রচ্ছদকন্যাও।
এবার যাওয়া যাক প্রসঙ্গান্তরে। আঁতেলরা এই সম্মাননা অনুষ্ঠানকে সমাজের দর্পণ অভিহিত করেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারা এই আসরে আগত তারকাদের পোশাকের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয় বলেই তারা মনে করেন। এমনকি ডিজাইনাররা নানা পরিবর্তন মাথায় রেখেই প্রিয় তারকার জন্য পোশাক নকশা করেন। এবারও তারই পুনরাবৃত্তি অবলোকন করেছেন তারা। বলেছেন পোশাক, সাজ, অনুষঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রতীয়মান হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ইমপ্যাক্টফুল ট্রেন্ড।
মারমেইডকোরের জয়জয়কার
বারবিকোর মাতাতে পারুক আর না পারুক, এবারের অস্কারে লালগালিচায় যেন অঘোষিত ট্রেন্ড ছিল মারমেইডকোর। এমা স্টোন আর আনিয়া টেলর-জয় বলতে গেলে এই ট্রেন্ডের হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। টেলর-জয় যেমন পরেছিলেন বত্তিচেল্লির ‘দ্য বার্থ অব ভেনাস’ প্রাণিত ক্রিস্তিয়ঁ দিওরের ওত্ কতুর; আবার এমা আলো ছড়িয়েছেন লুই ভিতোঁর টেইলর মেড গাউনে, এতে ছিল খুবই সূক্ষ্ম ঝিনুকের প্যাটার্ন।
ফ্লোরেন্স পিউ পরেছিলেন ভ্যালেন্তিনোর গাউন। হালকা নীলের ছোঁয়ায় দৃষ্টিসুখের কারণ হওয়া আরমানি প্রিভির দারুণ এক গাউনে হাজির হয়েছিলেন লুপিটা। হেইলি স্টিনফিল্ডও ছিলেন টিল ব্লু আর সোনালির সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত, এলি সাব-গাউনে উদ্ভাসিত। লুই ভিতোঁর গাউনে আরও এসেছিলেন ডেভাইন জয় র্যানডলফও। কেবল তাদের পোশাক নয়, সজ্জায়ও ছিল কল্লোলের উদ্ভাস।
ফিরে আসা গ্ল্যামার
সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞদের মতে এবারের অস্কার অনুষ্ঠান ছিল অতিমারিপূর্ব গ্ল্যামারের পুনরাবির্ভাবের আসর। হেয়ার কালার আর আইশ্যাডোর রঙে লালগালিচা উজ্জ্বল হয়েছে। আবার হেয়ারকাটেও মাত করেছেন তারকারা। বব হেয়ারকাটে নজর কেড়েছেন জেন্ডায়া, ফ্লোরেন্স পিউ আর জুলিয়েন হাফ। অন্যদিকে ইসা রে, গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন ও গ্রেটা লি চমকে দিয়েছে আকর্ষণীয় হেয়ার ডুতে। মেকআপেও তারা ছিলেন অনন্য। তবে সবার নজর কেড়েছেন এমা স্টোন। কেবল পোশাক নয়; মেকআপ আর হেয়ারস্টাইলেও। এবার কিন্তু বেশির ভাগেরই পছন্দ ছিল চুড়ো করে খোঁপা করা। যাকে পরিভাষায় বলে টপ নট। তবে সবার এই হেয়ারস্টাইল অবিকল ছিল না। বরং তাতে টুইস্ট ছিল যার যার হেয়ারস্টাইলিস্টের কল্যাণে। এই যেমন ইসা রে টুইস্টেড নট আপডু করেছেন। এমিলি ব্লান্টের স্টাইল ছিল বেণি করে খোঁপা। আবার গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন স্বচ্ছন্দ ছিলেন মসৃণ টপ নটে। লেভার্ন কক্স চমকে দেন কোঁকড়ানো খোঁপায়। রায়ান মিশেলের চুড়ো-খোঁপায় ছিল রাজকীয় আভিজাত্য। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই খোঁপা এখন ঢুকে গেল ট্রেন্ডে। এখন থেকেই সবাইকে দেখা যাবে এই খোঁপায়।
এবার লালগালিচায় সমুদ্রপ্রাণিত সৌন্দর্য ছিল সর্বত্র বিরাজিত। রত্নখচিত পোশাক থেকে ঝিনুকের অনুষঙ্গ—সবখানেই ছিল সুনীল জলরাশির অপার আহ্বান।
আলো করা কালো
আলোচনায় ছিল বারবিকোর। যে চলচ্চিত্রের সূত্র ধরে, সেই ‘বারবি’ অন্য আসরে পুরস্কারও তো পেয়েছে; এখানে না হয় নাই-বা পেল! অবশ্য ‘ওপেনহেইমার’-এর সঙ্গে ‘বারবি’র তুলনা চলে না! সে যা-ই হাক, অনেকেই বারবির গোলাপির সঙ্গে রং মিলিয়েছেন। কম হোক আর বেশি; সেটি কিন্তু নারী-পুরুষনির্বিশেষে।
‘অ্যানাটমি অব আ ফল’-এর জন্য সেরা নারী অভিনয়শিল্পীর নমিনেশন পাওয়া স্যান্ড্রা হালার পরেছিলেন কালো গাউন; যার নেকলাইন ছিল নাটকীয়। কালোতেই এসেছিলেন ইভা লঙ্গোরিয়া ও রিটা মোরেনো। অন্যদিকে, সবুজে সুন্দর ছিলেন এমা স্টোন আর সিনথিয়া এরিভো।
বারবির আমেরিকা ফেরেরার স্পার্কলি পিংক নজর এড়ায়নি। নারী তারকাদের অনেকে আবার মিডনাইট ব্লুকেই প্রিয় করেছেন। লিলি গ্ল্যাডস্টোন, অ্যানেট বেনিং বা জডি ফস্টার এদের অন্যতম। ডেভাইন জয়ও ছিলেন এই দলে।
এবার সবার ছিল ধ্রুপদী পোশাকের প্রতি আনুগত্য। তাই টাই না পরলেও কালো টাক্সিডোকে বেছে নেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে কোলম্যান ডমিনিগো ছিলেন। স্যুট পরেছিলেন রায়ান গসলিং আর ব্র্যাডলি কুপার। তবে টাই ছাড়া। আবার প্যান্টস্যুটে মানিয়ে যান জাস্টিন ট্রিয়েট।
ফিলিস্তিনের গাজার প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন অনেকে। যুদ্ধবিরতির পক্ষে যারা ছিলেন, তারা পরেছিলেন লাল পিন। বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল, মার্ক রাফেলো ছিলেন এই দলে।
লৈঙ্গিক সমতার অস্কার
লৈঙ্গিক সমতা নিয়ে নানা কথা হয়। কিন্তু নমিনেশনে অন্য চিত্র ধরা পড়ে। যেমন ধরা যাক ১৯২৯ সালের কথা। মাত্র ১৭ শতাংশ নমিনি ছিল নারী। আর বাদামি বা কালো গায়ের রঙের নমিনি মাত্র ২ শতাংশ। তবে কাল পরিক্রমা পার করে বর্তমান আসর একটি সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত হতে পেরেছে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ’২২ ও ’২৩ সাল বাদ দিলে প্রতিবছরই নারী নমিনির সংখ্যা বেড়েছে। এবার সেটা হয়েছে ৩২ শতাংশ। এমনকি এবার একজন নারী নমিনেশন পান সেরা পরিচালকের ক্যাটাগরিতেও। একটু বিশদে বললে ডকুমেন্টারিতে নারী ও পুরুষদের অবস্থান সমান সমান। মেকআপ আর হেয়ারস্টাইলে অবশ্য নারী এগিয়ে। ৬৯ শতাংশ। প্রোডাকশন আর আর্ট ডিজাইনে ৬৪ শতাংশ। কস্টিউম ডিজাইনেও তারা এগিয়ে। ৮৩ শতাংশ।
আবার, একটাও অস্কার না জিতলেও গেল বছরের নারীপ্রধান মুভি ‘বারবি’র আয় ছিল ১১৪ কোটি ডলার। আটটি নমিনেশন পায়। এবার অবশ্য একজন নেটিভ আমেরিকান নমিনি ছিলেন, লিলি গ্ল্যাডস্টোন। ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ চলচ্চিত্রের জন্য। তার রয়্যাল ব্লু ভেলভেট গাউন যৌথভাবে ডিজাইন করেন গুচির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সাবাতো ডি সার্নো এবং ইন্ডিজেনাস আর্টিস্ট জো বিগ মাউন্টেইন। এই গাউনের নেকলাইন আর কেপে ছিল ঐতিহ্যবাহী কুইলওয়ার্ক এমব্রয়ডারি। হাই ফ্যাশনে তাদের নিজস্ব সূচিকর্মের ব্যবহার তাকে আনন্দ দিয়েছে। লাল, নীল, সবুজের মতো রংগুলোই তার পছন্দ। ফলে এই আভিজাত্যের দ্যুতি ছড়ানো নীলে তিনি ছিলেন স্বচ্ছন্দ।
এমিলি ব্লান্ট এবার পরেছিলেন শিয়াপারেল্লির রুপালি রঙের গাউন। এর কাঁধে স্ট্র্যাপ ছিল দুই ইঞ্চি ওপরে। সচরাচর আমরা দেখে থাকি গাউনের স্ট্র্যাপ কাঁধের সঙ্গে লেগে থাকে। কিন্তু এটি অন্য রকম। তবে দেখতে বেশ লাগছিল। এই গাউনে আরও ছিল চমৎকার এমবেলিশমেন্ট। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয় পুরুষের ওয়াই-ফ্রন্ট।
তার মতো ওপরে তোলা কাঁধের পোশাক পরেছিলেন ফ্লোরেন্স পিউও। তার পোশাক ডিজাইন করেন মিলানের ব্র্যান্ড দেল কোর। এ ছাড়া তিনি পরেছিলেন ৭০০ হিরে খচিত নেকলেস। অবশ্য গয়নার ব্র্যান্ড তাকে সম্মানিতও করবে। এই প্রসঙ্গে এমা স্টোনের কথা না বললেই নয়। লুই ভিতোঁ তাকে প্রতিবছর অন্তত ২০ লাখ ডলার দেয় বিশ্বের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের পোশাকে উপস্থিত থাকার জন্য।
এবার ব্র্যান্ডগুলো অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি খরচ করেছে তারকাদের পোশাকের পেছনে। টেলিভিশনের দর্শকের অবশ্য তাতে কিছু যায়-আসে না। কারণ, উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বোকাবাক্সের দর্শক। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে ছিল এই অনুষ্ঠান। আলোচনা চলেছে তারকাদের সফলতা-ব্যর্থতা আর সাজপোশাক নিয়ে। তবে এবার ব্র্যান্ডগুলো চমৎকার এক কৌশল খাটিয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হতো। এবার সেটা তারা না করে বরং তারকাদের পোশাকের পেছনে ব্যয় করেছে। আর এই কৌশল করেছে বাজিমাত।
‘ওপেনহাইমার’ টিমের অনেকে যে পোশাক পরেছিলেন, তা দেখে মনে হতেই পারে সায়েন্স কলেজের প্রম ড্রেস। সিলিয়ান মারফি পরেন ভারসাচির টাক্সেডো।
নবীনেরাও আদৃত যেভাবে
একজন সুবেশী তারকার উপস্থিতির নেপথ্যে থাকেন কিছু মানুষ। এখন পর্যন্ত বিখ্যাত তারকাদের সঙ্গে কাজ করা এমন স্টাইলিস্টরা হলেন ড্যানি মিশেল, মেভ রাইলি, কারলা ওয়েলচ, ল রোশ প্রমুখ। এরা এবার কাজ করেছেন তুলনায় তরুণদের সঙ্গে। কাইলি জেনার, জিজি হাদিদ, হেইলি বিবার, জেন্ডায়াদের লুক তৈরি করে দিয়েছেন তারা। আরিয়ানা গ্রিনব্লাট, স্যাডি সিংক, অলিভিয়া রডরিগেজ, জেনা ওরটেগো এদের অন্যতম।
জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্ব
এবারের অস্কারে একটি নতুন বিষয় যোগ হয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ রিয়েলিটি চেক। এর কিছু ক্রাইটেরিয়াও আছে। যেমন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতাকে মানতে হবে। ছবির অন্তত একজন চরিত্রকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। এই পরীক্ষায় উতরেছে এবার ‘বারবি’, ‘মিশন ইমপসিবল: ডেড রেকনিং’ ও ‘নিয়াড’। এখানেই শেষ নয়, আগামী বছরের একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে সম্পূর্ণ রিনিউয়েবল এনার্জি ব্যবহার করে, আর শিগগির এই অনুষ্ঠান হয়ে উঠবে পুরোপুরি কার্বন নিউট্রাল।
অগ্রাধিকারে টেকসই ফ্যাশন
টেকসই ফ্যাশনের গুরুত্বকে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়; বরং তারকারা বিষয়টি অনুধাবন করছেন। অনেকে অনুসরণও করছেন। এবারের অস্কারে বেশ কয়েকজন তারকা যেমন জুলেখা জাওয়াদ, ম্যাগি বেয়ার্ড, ক্যারি মুলিগান, লিলি গ্ল্যাডস্টোন, লেভার্ন কক্স, ইউজিন লি ইয়াং এই অনুশীলনের মধ্যে ছিলেন। অস্কারের অবশ্য কিছু নিয়মকানুনও আছে টেকসই অনুশীলনের।
টেকসই বিষয়ের অনুশীলনকে অব্যাহত রাখতে এগিয়ে এসেছেন জো সালদানা। তিনি এ জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরসি গ্লোবালের সঙ্গে। এ ছাড়া এই উদ্যোগে আরও শামিল হয়েছেন ক্লোয়ি ইস্ট ও বেইলিস ব্যাস। আরও অনেক নবীন তারকা এখন ভাবছেন বিশ্ব নিয়ে। বিশ্বের পরিবেশ নিয়ে।
ছবি: ইন্টারনেট