ই-শপ I কে জে
জামাকাপড় থেকে শুরু করে অ্যাকসেসরিজ- সবই আজকাল ভার্চ্যুয়াল অর্ডারের আওতায়। তবে হ্যান্ডমেইড জুতার পেজ বেশি নেই। কারণ, এই উদ্যোগে ঝুঁকি আছে। অনলাইন থেকে শু কেনার ক্ষেত্রে ভোক্তার ভরসা কম। জুতা কতটা টেকসই, কতটা আরামদায়ক- এসব ভাবনার পাশাপাশি মাপে সঠিক হবে কি না, সেই উদ্বেগ তো আছেই।
এই ভাবনাকে সাধারণ ‘বিজনেস রিস্ক ফ্যাক্টর’ হিসেবে গণ্য করে খান জামশেদ খুলেছেন অনলাইন পেজ কে জে। অল্প ক’দিনেই ৮ হাজারের বেশি ফলোয়ার জুটেছে। এই বছরের জানুয়ারিতেই নিজস্ব একটা ব্যবসার উদ্যোগ কীভাবে নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলাপ হয়েছিল ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সঙ্গে। তবে অনলাইনে বিজনেস সম্পর্কে তার ধারণা ছিল সামান্যই। তাই প্রায় এক মাস ধরে অনলাইন মার্কেট নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে মনস্থির করেন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বানানোর, যাতে যে কেউ প্রতিদিনের আউটফিটকে স্টাইলআপ করতে পারেন। পণ্য হিসেবে তিনি বেছে নেন সিম্পল হ্যান্ডমেইড লোফার ও স্যান্ডেল।
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য জামশেদ নিজেই লোফার ডিজাইন করেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু নিজের জন্য এক জোড়া জুতা তৈরি করে পরা আর ব্যবসার কাজে ফ্যাক্টরিতে জুতা তৈরি করার মধ্যে পার্থক্য অনেক। তিনি বলেন, ‘নিজের ফ্যাক্টরিতে জুতা তৈরি করতে গিয়েই এসবের কোয়ালিটি কিংবা কোন ম্যাটেরিয়ালে জুতা কতটা টেকসই হবে, তা ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করলাম। আর এভাবে এগোতে এগোতেই এ বছরের মার্চ মাসে আমি নিজের বিজনেস মডেল নিয়ে সম্পূর্ণ তৈরি হলাম।’
মার্চের ১২ তারিখ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে যাত্রা শুরু করে কে জে। তখন থেকে আজ অব্দি নিত্যনতুন ম্যাটেরিয়াল, ভিন্ন ধরনের বাকেল ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জুতা প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে এর প্রডাক্ট লাইনে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই ট্রেন্ডি সব লোফার এখানে পাওয়া যায়। ছেলেদের জন্য রয়েছে দুই ধরনের লোফার রেঞ্জ। একটা হচ্ছে ‘সিজন ওয়ান’। এই লোফারগুলো ভেলভেটে তৈরি এবং খুব সিম্পল ডিজাইনের। এই রেঞ্জের সব জুতাই ১৪৯৯ টাকা। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কালেকশনে রাখা যায় এগুলো। আরেকটা রেঞ্জ হচ্ছে ‘কে জে প্রিমিয়াম’। প্রিমিয়াম শু তৈরি হয় সোয়েড ফ্যাব্রিক এবং এলিগেন্ট সব বাকেল দিয়ে, যা জুতায় ভিন্ন এক লুক এনে দেয়। এগুলোর দাম ১৯৯৯ টাকা। যেকোনো পার্টি, ফ্যান্সি ইভেন্ট কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানে পরা যায়। তা ছাড়া এই অনলাইন পেজে পাওয়া যায় সিলিকন গ্রিপ দেওয়া আরামদায়ক মোজা। এগুলো সারা দিন পরে থাকার মতো। জোড়া ৪৯৯ টাকা। এই মোজাগুলোকে ‘নো শো সক্স’ বলা হয়। আমদানি করা এই মোজা মূলত লোফারের সঙ্গে পরার জন্যই। রঙ ও ডিজাইনের যথেষ্ট তারতম্য দেখা যায় এগুলোতে। ব্যবহার করতে পারেন ছেলে মেয়ে উভয়ই। পেজটির লিঙ্ক https://www.facebook.com/KJClothing/
শুধু আরাম আর ডিজাইনে নয়, জামশেদ খেয়াল রাখেন এর সহজলভ্যতার দিকেও। ফলে জুতাগুলোর দাম সঙ্গতির মধ্যেই। তিনি চান যেন কমপক্ষে ৯ থেকে ১০ শতাংশ ভোক্তা কে জের জুতা পরে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়ের জন্যই টেইলরড শার্ট ও প্যান্ট প্রডাক্ট লিস্টে যোগ করতে চান। এসব শার্ট-প্যান্টে থাকবে ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুটি আলাদা সেকশন। তবে কে জের প্রধান কাজ এখন লোফার কিংবা স্যান্ডেলকেন্দ্রিক।
শিরিন অন্যা
ছবি: কে জে
Thankyou Team Canvas for this. Thankyou