ব্লগার’স ডায়েরি I ক্যাজুয়ালে কমফোর্ট
কর্মব্যস্ততার মাঝেও আমরা চাই নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজিয়ে তুলতে। আর সে জন্য হতে হবে ফ্যাশন-সচেতন। এই গরমে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরির আগে চিন্তা করতে হবে কোন পোশাকটি বেশি আরামদায়ক। অর্থাৎ স্বস্তি ও আরামের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। তারপর স্টাইলিং। প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে বা বিভিন্ন উপলক্ষে ফরমাল অথবা ক্যাজুয়াল-এই দুয়ের মাঝে যেকোনো একটি বেছে নিতে হয়। তবে ক্যাজুয়াল পোশাকই থাকে সবার পছন্দের শীর্ষে। কমফোর্টের জন্যই ক্যাজুয়াল পোশাক প্রাধান্য পায়। আর পাবেই না কেন? দৈনন্দিন ফরমাল লুক একঘেয়ে ও বৈচিত্র্যহীন। ক্যাজুয়াল পোশাক যতটা আরামদায়ক, ফরমাল পোশাক ততটা নয়। কর্মস্থলে অথবা যেকোনো জায়গায় নিজেকে ভিন্ন লুকে উপস্থাপন করতে চাইলে ক্যাজুয়াল পোশাকই ভালো। কারণ, ক্যাজুয়াল মানেই ভেরিয়েশন। শুধু গরম নয়, শীতেও ক্যাজুয়াল আউটফিট আরামদায়ক। সারা দিন কাজের মাঝে স্বস্তিতে থাকাটা খুব জরুরি। কমফোর্ট দেহমনে এনে দেয় প্রফুল্লতা। আপনার কাজেও তা সঞ্চারিত হবে। সতেজ ও প্রফুল্ল থাকাটা জরুরি। তাই প্রতিদিন কর্মব্যস্ততার মাঝে নিজেকে প্রাণবন্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। সে জন্য বেছে নিতে হবে ক্যাজুয়াল পোশাক। শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, আড্ডা বা কোনো দাওয়াতে ক্যাজুয়াল পোশাক মানিয়ে যায় সহজে। সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হলেও সবার পছন্দের তালিকায় ক্যাজুয়াল পোশাক শীর্ষে থাকে। আজকাল অনেক অফিসেই পোশাকের কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম রয়েছে। যেমন ছেলেদের জিনস, কলার ছাড়া শার্ট, ঢিলেঢালা কটন ট্রাউজার, পলো টি-শার্ট, ব্লেজার এবং সঙ্গে টি-শার্ট পরা যায়। মেয়েদের ক্যাজুয়াল পোশাকেও দেখা যায়। শার্ট, লং শার্ট, কুর্তি, লং টপস, টিউনিক, ভিন্ন প্যাটার্নের ব্লেজার, ফুল টপস ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়। উৎসব বা অনুষ্ঠানে আপনি ক্যাজুয়াল পোশাকে নিজেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন লুকে উপস্থাপন করতে পারেন। ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? হালকা নকশার লিনেন বা সিল্কের কুর্তির সঙ্গে মিলিয়ে প্যান্ট পরুন। সঙ্গে ভিন্ন ডিজাইনের গয়না আপনার লুককে মুহূর্তেই পাল্টে দেবে। এ ধরনের লুক যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে মোটেও বেমানান লাগবে না। উৎসব-পার্বণে নানান কাজের মাঝে নিজেকে ঝামেলামুক্ত রাখতে এবং স্টাইলে পারফেক্ট থাকতে ক্যাজুয়াল পোশাকই সহজ সমাধান। বন্ধুদের সঙ্গে ঘরোয়া বা বাইরের আড্ডায় এই গরমে নিজেকে পরিপাটি রাখতে এর জুড়ি নেই।
আজকাল বাজারে নানান ডিজাইনের লং কুর্তি, টপস ও সালোয়ার-কামিজ দেখা যায়। হাতার প্যাটার্নে কুঁচি, ফ্লেয়ারড ভিন্নতার সঙ্গে সঙ্গে এনে দেয় কমফোর্ট। কামিজ অথবা টপস কুর্তিতে কুঁচি, ফ্লেয়ারড, হালকা ডিজাইনে ফুল, এসিমেট্রিক ডিজাইন, কাপ্তান ডিজাইন বেশি চোখে পড়ে। এ ধরনের ডিজাইনের ভেরিয়েশন স্টাইলে এনে দেবে স্নিগ্ধতা। গরমের প্রশান্তির জন্য বেছে নিন প্যাস্টেল হালকা রঙ। প্যান্টের ডিজাইনের মাঝে রয়েছে বৈচিত্র্য। প্যান্টের হেমে ব্যবহার করতে পারেন পম পম, টাসেল, নানান ডিজাইনের লেইস। কুঁচি দিয়ে তৈরি করতে পারেন প্যান্ট। আবার টিউলিপ ডিজাইনের প্যান্টও আজকাল ট্রেন্ডি। পোশাকগুলো পরতে যেমন আরামদায়ক তেমনি ফ্যাশনেবলও বটে। গয়না সিলেকশন করবেন একদমই হালকা ধরনের। আজকাল স্ট্রিট স্টাইলেও ক্যাজুয়াল পোশাকের জনপ্রিয়তা অনেক। টি-শার্ট, জিনস, নানান হালকা ডিজাইনের টপস, ওভারসাইজ শার্ট, ওভেন স্কার্ট, ওয়াইড লেগ প্যান্ট ইত্যাদি ট্রেন্ডি পোশাকের তালিকায় শীর্ষে। আর ক্যাজুয়াল পোশাকের রঙের মাঝেও কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। কারণ, ক্যাজুয়াল মানেই কমফোর্ট।
আফসানা খান তুরা
ছবি: রায়হান চৌধুরী বাপ্পী
Instagram: adsanakhan003
Facebook: Afsana Khan Tura
Web: afsanakhantura