দেশব্যাপী চলমান লকডাউনে ঘরের বাইরে চলাচলে সাময়িক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য ও পানীয়র মতো নিত্যপণ্যের দোকান মালিকেরা যেন ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হন, সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সহজেই দ্রুত ও কার্যকরী অর্ডার সুবিধা চালু করেছে কোমলপানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ। পণ্য অর্ডার প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় করার পাশাপাশি দেশের খুচরা বিক্রেতা ও পণ্য বিতরণকারীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়াই এই উদ্যোগের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দোকান মালিক ও ভোক্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নেওয়া এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো- নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোর ব্যবসাকে চাঙ্গা রাখা এবং চরম এই সংকটকালে খাদ্য ও কোমলপানীয় ব্যবসার দ্রুত প্রসারে সহযোগিতা করা।
ব্যবসায়িক অংশীদারদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এই ডিজিটাল সল্যুশন চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো কোকা-কোলা। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে খুচরা বিক্রেতারা খুব সহজেই বিতরণকারীদের কাছে পণ্যের অর্ডার দিতে পারবেন। এতে যোগাযোগ করা সহজ হওয়ায় তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি শারীরিক সংস্পর্শের ঝুঁকিও কমে যাবে।
লকডাউন চলাকালে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ঘরের বাইরে সাধারণ মানুষের চলাচল কমিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে সমর্থনের পাশাপাশি অ্যাপভিত্তিক এই সমাধানের মাধ্যমে আউটলেটগুলোতেও কোকা-কোলার পণ্যের সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা যাবে, যা ক্রেতা ও ভোক্তাদের চাহিদা পূরণেও সহায়ক হবে। এছাড়া মহামারিকালে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আউটলেট মালিকদেরকে দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিয়ে তাদের স্টক নিশ্চিত করার সুযোগ করে দেবে। ফলে পণ্যের জন্য তাদেরকে আর নির্দিষ্ট ডেলিভারি তারিখের অপেক্ষায় থাকার প্রয়োজন পড়বে না। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্যোগটির বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বলেছে, “ছোট কিংবা বড়- সব ধরনের ব্যবসার জন্যই ২০২০ সালটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বছরগুলোর একটি। মহামারিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিরুপন এবং তা কাটিয়ে ওঠার উপায় খোঁজার কাজটি আমরা অব্যাহত রেখেছি। আর এক্ষেত্রে সারা দেশের ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোই আমাদের বাজার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ, যা আমাদেরকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। আর অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আমাদের সাহায্য তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে কারণেই দোকান মালিকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোকা-কোলা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। চরম এই ক্রান্তিলগ্নে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কোকা-কোলা সেসব ছোট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে, যারা টিকে থাকার জন্য যুদ্ধ করার পাশাপাশি আবারও ভালো ব্যবসা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে , “শারীরিক সুরক্ষা বজায় রেখেই হাতের কাছের আউটলেট থেকে পণ্য কিনতে ভোক্তাদেরকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ব্যবসাকে পুনরায় চাঙ্গা করতে দোকান মালিকদেরকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নানান ডিজিটাল অপশন প্রদান করা হয়েছে যেন ক্রেতাদের পাশাপাশি তারা আমাদের সাথেও সহজে যুক্ত থাকতে পারেন।”
ব্যবসা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে খাপ-খাইয়ে নেওয়ার বিষয়টি এখন অন্যতম বড় পার্থক্যকারীরূপে আবির্ভূত হয়েছে। চলমান মহামারি আমাদেরকে চরম সংকটের মাঝেও ব্যবসাকে সক্রিয় ও কার্যকরী রাখার জন্য প্রস্তুত থাকার শিক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অংশীদার ও ভোক্তাদেরকে তাদের পছন্দের ব্র্যান্ডটির সঙ্গে নির্বিঘ্ন যোগাযোগ রক্ষায় সহযোগিতা করাই কোকা-কোলার লক্ষ্য।